
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

কওমি মাদরাসা বন্ধ সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য দেননি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, ‘কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, ভবিষ্যতে থাকবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই বক্তব্য কয়েকটি গণমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের থেকে একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল যে অনিবন্ধিত নাম-পরিচয়হীন কিছু প্রতিষ্ঠান নূরানী মাদরাসা হিসেবে গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি মন্তব্য করেছিলাম যে, যেসব নূরানী মাদরাসা গড়ে উঠছে সেগুলো যদি কওমি মাদরাসার বোর্ড থেকে নিবন্ধিত হয়ে থাকলে তাদের সঙ্গে কাজ করে, যথাযথ নিবন্ধন তাদের কাছে আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সেটা কীভাবে আমাদের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় সে ধরনের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো, কীভাবে সেটা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়।
তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সোমবার একটি রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক নামধারী কিছু সংগঠন থেকে বলা হয়েছে, আমি বলেছি যে নূরানী বা কওমি মাদরাসার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলছি যে এ আলোচনা এসেছে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে যে অনিবন্ধিত অনেক প্রতিষ্ঠান চলছে, সেগুলোর নিয়ন্ত্রক কারা। এ ধরনের মন্তব্য (কওমি মাদরাসা বন্ধ) আমি করিনি। যারা এ আলোচনা সৃষ্টি করে একটা গুজব রটাচ্ছে, অপপ্রচার। আমার বক্তব্য ভিডিওসহ আছে। গুজব রটিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।’
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, তারা এ অপরাজনীতি প্রাক্কালে আরও অনেক ধরনের মানহানিকর এবং আপত্তিকর কথা বলছে। এর মধ্যে একটি ছিল যে আমি ইসকন নামের একটি সংগঠনের সদস্য এবং ইসকনের সদস্য হয়ে আমি ভিন্ন সংস্কৃতি শিক্ষাক্রমে ঢোকানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত আছি। আমার বক্তব্য হচ্ছে এটা একেবারে আপত্তিকর, মানহানিকর এবং ষড়যন্ত্রমূলক।
তিনি বলেন, আমি ইসকনের সদস্য বলে প্রচার করছে। আমি ইসকনের সদস্য না। আমি একজন অসাম্প্রদায়িদক মানুষ হিসেবে আমার বাবা বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের তীর্থ কেন্দ্রে, পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইসকনের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়া মানে এ নয় যে আমি ইসকনের সদস্য। ইসকনের সদস্য হিসেবে আমাকে প্রচার করা হচ্ছে, আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বার বার বলছি যে কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে। অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দ্বারা কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসা শিক্ষা সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স স্বীকৃতি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ন্যূনতম লিটারিসির কথা বলছি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায় সেসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একসঙ্গ কাজ করতে চাচ্ছি, আগামীতেও কাজ করবো। তাদের বার বার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এখানে মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা কেউ কখনো বলেনি।

কওমি মাদরাসা বন্ধ সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য দেননি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, ‘কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, ভবিষ্যতে থাকবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই বক্তব্য কয়েকটি গণমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের থেকে একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল যে অনিবন্ধিত নাম-পরিচয়হীন কিছু প্রতিষ্ঠান নূরানী মাদরাসা হিসেবে গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি মন্তব্য করেছিলাম যে, যেসব নূরানী মাদরাসা গড়ে উঠছে সেগুলো যদি কওমি মাদরাসার বোর্ড থেকে নিবন্ধিত হয়ে থাকলে তাদের সঙ্গে কাজ করে, যথাযথ নিবন্ধন তাদের কাছে আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সেটা কীভাবে আমাদের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় সে ধরনের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো, কীভাবে সেটা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়।
তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সোমবার একটি রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক নামধারী কিছু সংগঠন থেকে বলা হয়েছে, আমি বলেছি যে নূরানী বা কওমি মাদরাসার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলছি যে এ আলোচনা এসেছে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে যে অনিবন্ধিত অনেক প্রতিষ্ঠান চলছে, সেগুলোর নিয়ন্ত্রক কারা। এ ধরনের মন্তব্য (কওমি মাদরাসা বন্ধ) আমি করিনি। যারা এ আলোচনা সৃষ্টি করে একটা গুজব রটাচ্ছে, অপপ্রচার। আমার বক্তব্য ভিডিওসহ আছে। গুজব রটিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।’
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, তারা এ অপরাজনীতি প্রাক্কালে আরও অনেক ধরনের মানহানিকর এবং আপত্তিকর কথা বলছে। এর মধ্যে একটি ছিল যে আমি ইসকন নামের একটি সংগঠনের সদস্য এবং ইসকনের সদস্য হয়ে আমি ভিন্ন সংস্কৃতি শিক্ষাক্রমে ঢোকানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত আছি। আমার বক্তব্য হচ্ছে এটা একেবারে আপত্তিকর, মানহানিকর এবং ষড়যন্ত্রমূলক।
তিনি বলেন, আমি ইসকনের সদস্য বলে প্রচার করছে। আমি ইসকনের সদস্য না। আমি একজন অসাম্প্রদায়িদক মানুষ হিসেবে আমার বাবা বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের তীর্থ কেন্দ্রে, পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইসকনের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়া মানে এ নয় যে আমি ইসকনের সদস্য। ইসকনের সদস্য হিসেবে আমাকে প্রচার করা হচ্ছে, আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বার বার বলছি যে কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে। অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দ্বারা কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসা শিক্ষা সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স স্বীকৃতি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ন্যূনতম লিটারিসির কথা বলছি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায় সেসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একসঙ্গ কাজ করতে চাচ্ছি, আগামীতেও কাজ করবো। তাদের বার বার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এখানে মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা কেউ কখনো বলেনি।

তিনি জানান, ভূমিকম্পের সময় গুরুতর আহত কয়েকজনকে নরসিংদী থেকে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়েছে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর আহত একজনের চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে তিনজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেফতার ব্যক্তিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। কিবরিয়া হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি মোক্তারের হেফাজতে আছে বলে জানান তারা। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি দল গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পল্লবীর একটি গ্যারেজে অভিযান চালায়। ডিবির উপস্থিতি টের পে
১০ ঘণ্টা আগে
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১০ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিবের আলোচনায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছিল সরকার। সেই আলোকে
১০ ঘণ্টা আগে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে তাৎক্ষণিক একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বরে ০২৫৮৮১১৬৫১ সবাইকে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এ নিয়ে কোনো ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তিতে কান না দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানে সরকার প্রতিশ্রুত
১০ ঘণ্টা আগে