ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
মেছতা বা মেলাজমা এক ধরনের ত্বকের সমস্যা, যেখানে গালের ওপরে, কপালে, ঠোঁটের ওপরের অংশে কিংবা নাকের দুই পাশে বাদামি বা ছাই রঙের দাগ দেখা যায়। এটি সাধারণত সূর্যালোক, হরমোনের পরিবর্তন, গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ অথবা জিনগত কারণে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, সূর্যের তাপে কাজ করেন এমন নারীদের মধ্যে মেছতার প্রবণতা বেশি। আবার গর্ভবতী নারীদের মধ্যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও এটি দেখা যায়। যদিও চিকিৎসা ও কসমেটিক পদ্ধতিতে মেছতা কমানো যায়, তবে অনেকেই ঘরোয়া উপায়কে নিরাপদ ও সহজ মনে করেন। এই ফিচারে আমরা জানব কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায়, পাশাপাশি বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে কী বলেন তাও তুলে ধরা হবে।
প্রথমেই বলা দরকার, মেছতা চট করে সেরে যায় না। এটি একটি ধৈর্যের খেলা। তবে নিয়মিত যত্ন নিলে মেছতার দাগ অনেকটাই হালকা করা সম্ভব। এর জন্য ঘরোয়া উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কাঁচা আলু, লেবুর রস, মধু, টমেটো, দুধ, হলুদ এবং অ্যালোভেরা। এগুলো ব্যবহারে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে এবং দাগ হালকা হতে শুরু করে। যেমন কাঁচা আলুর রস ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। আলুতে থাকা ক্যাটেকোলেস নামের একটি উপাদান মেলানিন উৎপাদনে ভারসাম্য আনে। একইভাবে লেবুর রসের ভিটামিন সি ও ব্লিচিং প্রভাব ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে, যদিও এটি সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালাভাব তৈরি করতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে একটু সতর্কতা জরুরি।
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালের ক্লিনিকাল ইনস্ট্রাক্টর ড. মিশেল গ্রিন বলেন, ‘অ্যালোভেরা, হলুদ বা অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের মতো ঘরোয়া উপাদানে মেছতার উন্নতি ধীরে ধীরে দেখা যেতে পারে, তবে এটি একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম ফল দেয়।’
অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য একেবারে প্রাকৃতিক ও মৃদু একটি উপাদান। এটি শুধু ত্বকের দাগ হালকা করে না, বরং ভেতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখে। দিনে দুইবার অ্যালোভেরা জেল মেছতার জায়গায় লাগালে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। হলুদও একটি পুরনো ও পরীক্ষিত উপাদান, যা ত্বকে প্রদাহ কমাতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। বিশেষ করে কাঁচা দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক একদিকে যেমন নরম হয়, তেমনই দাগ হালকা হয়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ক্রিস্টিনা ব্যাসকুয়েজ বলেন, “হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য রাখে। নিয়মিত ব্যবহারে এটি মেছতা হালকা করতে সহায়তা করতে পারে।’
অনেকেই টমেটো রস ব্যবহার করে উপকার পান, কারণ এতে আছে লাইকোপিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আবার দুধ ও মধুর সংমিশ্রণ ত্বকে এক ধরনের কোমলতা আনে এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘরোয়া উপায়গুলো তখনই কার্যকর হয় যখন এগুলো সঠিকভাবে ও নিয়মিত ব্যবহার করা হয়।
তবে ঘরোয়া উপায়ের পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনধারা পরিবর্তনও দরকার। যেমন—রোদে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই ভাবেন, শুধুমাত্র রোদের সময়ে সানস্ক্রিন লাগানোর দরকার, কিন্তু বাস্তবে ঘরের মধ্যে থাকলেও সূর্যের আলো জানালা দিয়ে ত্বকে পড়তে পারে। তাই প্রতিদিন সকালে মুখ ধুয়ে অন্তত SPF ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর গবেষক ড. লরা ম্যাকডারমট বলেন, “মেছতা সূর্যরশ্মির সংস্পর্শের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। নতুন দাগ পড়া রোধ করাই শুধু পুরনো দাগ কমানোর চেয়ে বেশি কার্যকর।”
এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, সুষম খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করাও মেছতা দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শরীরের ভেতরের ভারসাম্য যদি ভালো থাকে, তাহলে তা ত্বকে প্রতিফলিত হয়।
সবশেষে বলা যায়, মেছতা একটি অস্বস্তিকর ও দৃশ্যমান সমস্যা হলেও এটি প্রতিরোধযোগ্য এবং ধৈর্য ও যত্নে হালকা করা সম্ভব। ঘরোয়া উপায় যেমন নিরাপদ, তেমনই ব্যয়বহুল নয়। তবে ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এগুলোর ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। কারণ প্রত্যেকের ত্বকের ধরন আলাদা, এবং কখনও কখনও ঘরোয়া উপাদানেও অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তাই সচেতনতা, ধৈর্য আর নিয়মিত যত্নের মাধ্যমেই মেছতা দূর করার পথ প্রশস্ত হয়।
সুত্র: ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ
মেছতা বা মেলাজমা এক ধরনের ত্বকের সমস্যা, যেখানে গালের ওপরে, কপালে, ঠোঁটের ওপরের অংশে কিংবা নাকের দুই পাশে বাদামি বা ছাই রঙের দাগ দেখা যায়। এটি সাধারণত সূর্যালোক, হরমোনের পরিবর্তন, গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ অথবা জিনগত কারণে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, সূর্যের তাপে কাজ করেন এমন নারীদের মধ্যে মেছতার প্রবণতা বেশি। আবার গর্ভবতী নারীদের মধ্যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও এটি দেখা যায়। যদিও চিকিৎসা ও কসমেটিক পদ্ধতিতে মেছতা কমানো যায়, তবে অনেকেই ঘরোয়া উপায়কে নিরাপদ ও সহজ মনে করেন। এই ফিচারে আমরা জানব কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায়, পাশাপাশি বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে কী বলেন তাও তুলে ধরা হবে।
প্রথমেই বলা দরকার, মেছতা চট করে সেরে যায় না। এটি একটি ধৈর্যের খেলা। তবে নিয়মিত যত্ন নিলে মেছতার দাগ অনেকটাই হালকা করা সম্ভব। এর জন্য ঘরোয়া উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কাঁচা আলু, লেবুর রস, মধু, টমেটো, দুধ, হলুদ এবং অ্যালোভেরা। এগুলো ব্যবহারে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে এবং দাগ হালকা হতে শুরু করে। যেমন কাঁচা আলুর রস ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। আলুতে থাকা ক্যাটেকোলেস নামের একটি উপাদান মেলানিন উৎপাদনে ভারসাম্য আনে। একইভাবে লেবুর রসের ভিটামিন সি ও ব্লিচিং প্রভাব ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে, যদিও এটি সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালাভাব তৈরি করতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে একটু সতর্কতা জরুরি।
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালের ক্লিনিকাল ইনস্ট্রাক্টর ড. মিশেল গ্রিন বলেন, ‘অ্যালোভেরা, হলুদ বা অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের মতো ঘরোয়া উপাদানে মেছতার উন্নতি ধীরে ধীরে দেখা যেতে পারে, তবে এটি একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম ফল দেয়।’
অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য একেবারে প্রাকৃতিক ও মৃদু একটি উপাদান। এটি শুধু ত্বকের দাগ হালকা করে না, বরং ভেতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখে। দিনে দুইবার অ্যালোভেরা জেল মেছতার জায়গায় লাগালে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। হলুদও একটি পুরনো ও পরীক্ষিত উপাদান, যা ত্বকে প্রদাহ কমাতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। বিশেষ করে কাঁচা দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক একদিকে যেমন নরম হয়, তেমনই দাগ হালকা হয়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ক্রিস্টিনা ব্যাসকুয়েজ বলেন, “হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য রাখে। নিয়মিত ব্যবহারে এটি মেছতা হালকা করতে সহায়তা করতে পারে।’
অনেকেই টমেটো রস ব্যবহার করে উপকার পান, কারণ এতে আছে লাইকোপিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আবার দুধ ও মধুর সংমিশ্রণ ত্বকে এক ধরনের কোমলতা আনে এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘরোয়া উপায়গুলো তখনই কার্যকর হয় যখন এগুলো সঠিকভাবে ও নিয়মিত ব্যবহার করা হয়।
তবে ঘরোয়া উপায়ের পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনধারা পরিবর্তনও দরকার। যেমন—রোদে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই ভাবেন, শুধুমাত্র রোদের সময়ে সানস্ক্রিন লাগানোর দরকার, কিন্তু বাস্তবে ঘরের মধ্যে থাকলেও সূর্যের আলো জানালা দিয়ে ত্বকে পড়তে পারে। তাই প্রতিদিন সকালে মুখ ধুয়ে অন্তত SPF ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর গবেষক ড. লরা ম্যাকডারমট বলেন, “মেছতা সূর্যরশ্মির সংস্পর্শের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। নতুন দাগ পড়া রোধ করাই শুধু পুরনো দাগ কমানোর চেয়ে বেশি কার্যকর।”
এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, সুষম খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করাও মেছতা দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শরীরের ভেতরের ভারসাম্য যদি ভালো থাকে, তাহলে তা ত্বকে প্রতিফলিত হয়।
সবশেষে বলা যায়, মেছতা একটি অস্বস্তিকর ও দৃশ্যমান সমস্যা হলেও এটি প্রতিরোধযোগ্য এবং ধৈর্য ও যত্নে হালকা করা সম্ভব। ঘরোয়া উপায় যেমন নিরাপদ, তেমনই ব্যয়বহুল নয়। তবে ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এগুলোর ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। কারণ প্রত্যেকের ত্বকের ধরন আলাদা, এবং কখনও কখনও ঘরোয়া উপাদানেও অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তাই সচেতনতা, ধৈর্য আর নিয়মিত যত্নের মাধ্যমেই মেছতা দূর করার পথ প্রশস্ত হয়।
সুত্র: ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ
অভিনন্দন বার্তায় ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, ৫০ বছর আগে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ বিকশিত হয়েছে এবং সহযোগিতা ফলপ্রসূ ফলাফল এনেছে, যা উদযাপনের যোগ্য।
১৬ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৯৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০২ জন, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে