প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
নিয়োগবিধি সংশোধন, চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’ দেওয়াসহ ছয় দাবিতে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সব সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
রোববার (২৫ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, কেন্দ্রীয় পরিষদের ব্যানারে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে দেশে প্রায় ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী আছেন। এই সংখ্যা স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত মোট জনবলের ৩১ শতাংশ। তারা শিশু, গর্ভবর্তী নারী ও কিশোরীদের টিকাদান ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করেন।
স্বাস্থ্য সহকারীরা যে ছয়টি দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছেন সেগুলো হলো—
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। ছবি: রাজনীতি ডটকম
আন্দোলনকারীরা বলেন, তাদের সমমর্যাদার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষক, ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, সহকারী তহশিলদারসহ আরও অনেক দপ্তরের কর্মচারী নির্বাহী আদেশে কর্মরত গ্রেড থেকে উচ্চতর গ্রেডে আসীন হয়েছেন। অথচ নিয়োগবিধি সংশোধন করে টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি বা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাসের পর্যায়ে রয়েছে। এ জন্য নিয়োগবিধি সংশোধন করে ইন-সার্ভিস ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য সহকারীরা আরও বলেন, সমপর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের তুলনায় তারা বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য থেকে তারা মুক্তি চান। সমপর্যায়ের অন্য দপ্তরের কর্মীদের সমান সুযোগ-সুবিধা তারাও চান। সরকার ছয় দফা দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারি দেন তারা। বলেন, দাবি আদায় না হলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ স্বাস্থ্য সেবার সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা শাখা থেকেও বেশ কয়েকজন প্রেস ক্লাবে এসেছিলেন বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে।
এই কমিটির উপদেষ্টা ও বেড়া উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী মো. খুরশীদ আলম রাজনীতি ডটকমকে বলেন, টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনের মূল কারিগর আমরা স্বাস্থ্য সহকারীরা। অথচ আমাদের বেতন ১৬তম গ্রেড দিয়ে শুরু হয়। ১০-১৫ বছরে প্রমোশন হলেও বেতন কাঠামোর কোনো পরিবর্তন হয় না।
খুরশীদ আলম আরও বলেন, আমদের এ দাবি আজকের না। বছরের পর বছর ধরে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে আসছি। সব সরকারই আমাদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন স্কেল উন্নতির দাবি-দাওয়া যৌক্তিক অভিহিত করে সেসব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে এসেছে। কিন্তু কোনো সরকারই শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ করেনি। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. আখিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে সদস্য সচিব মো. মোজাম্মেল হক ছাড়াও ওয়াসিউদ্দিন রানা, এ কে এম মাইনউদ্দীন খোকন, ১১-২০ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানসহ অন্যরা বক্তৃতা করেন।
নিয়োগবিধি সংশোধন, চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’ দেওয়াসহ ছয় দাবিতে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সব সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
রোববার (২৫ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, কেন্দ্রীয় পরিষদের ব্যানারে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে দেশে প্রায় ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী আছেন। এই সংখ্যা স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত মোট জনবলের ৩১ শতাংশ। তারা শিশু, গর্ভবর্তী নারী ও কিশোরীদের টিকাদান ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করেন।
স্বাস্থ্য সহকারীরা যে ছয়টি দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছেন সেগুলো হলো—
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। ছবি: রাজনীতি ডটকম
আন্দোলনকারীরা বলেন, তাদের সমমর্যাদার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষক, ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, সহকারী তহশিলদারসহ আরও অনেক দপ্তরের কর্মচারী নির্বাহী আদেশে কর্মরত গ্রেড থেকে উচ্চতর গ্রেডে আসীন হয়েছেন। অথচ নিয়োগবিধি সংশোধন করে টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি বা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাসের পর্যায়ে রয়েছে। এ জন্য নিয়োগবিধি সংশোধন করে ইন-সার্ভিস ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য সহকারীরা আরও বলেন, সমপর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের তুলনায় তারা বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য থেকে তারা মুক্তি চান। সমপর্যায়ের অন্য দপ্তরের কর্মীদের সমান সুযোগ-সুবিধা তারাও চান। সরকার ছয় দফা দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারি দেন তারা। বলেন, দাবি আদায় না হলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ স্বাস্থ্য সেবার সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা শাখা থেকেও বেশ কয়েকজন প্রেস ক্লাবে এসেছিলেন বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে।
এই কমিটির উপদেষ্টা ও বেড়া উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী মো. খুরশীদ আলম রাজনীতি ডটকমকে বলেন, টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনের মূল কারিগর আমরা স্বাস্থ্য সহকারীরা। অথচ আমাদের বেতন ১৬তম গ্রেড দিয়ে শুরু হয়। ১০-১৫ বছরে প্রমোশন হলেও বেতন কাঠামোর কোনো পরিবর্তন হয় না।
খুরশীদ আলম আরও বলেন, আমদের এ দাবি আজকের না। বছরের পর বছর ধরে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে আসছি। সব সরকারই আমাদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন স্কেল উন্নতির দাবি-দাওয়া যৌক্তিক অভিহিত করে সেসব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে এসেছে। কিন্তু কোনো সরকারই শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ করেনি। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. আখিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে সদস্য সচিব মো. মোজাম্মেল হক ছাড়াও ওয়াসিউদ্দিন রানা, এ কে এম মাইনউদ্দীন খোকন, ১১-২০ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানসহ অন্যরা বক্তৃতা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এখন যেহেতু পরনির্ভর হয়ে আছি, এর থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বের হওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এর বাইরে আর আমাদের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য আমাদের অভ্যাস পাল্টাতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেকমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর নিয়ে সনদের পূর্ণাঙ্গ রূপ প্রকাশের লক্ষ্য নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন সময়ে নানা ঝড়-ঝঞ্ঝায় কোথাও পালিয়ে যায়নি উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগামীতেও দেশে থাকবো। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে, কারা সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) চায়।
৫ ঘণ্টা আগেএ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান (বরখাস্ত)-সহ র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে