ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
কাঁচা কলা আমাদের দেশে খুবই পরিচিত একটি খাদ্য। এটি দিয়ে তরকারি, ভাজি, ভর্তা থেকে শুরু করে অনেকরকম রান্না হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই সাধারণ কাঁচা কলার মধ্যে রয়েছে অসাধারণ কিছু পুষ্টিগুণ, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। শুধু খাদ্য হিসেবে নয়, এটি রোগ প্রতিরোধেও বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে যাদের হজমজনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, কিংবা ওজন বৃদ্ধির সমস্যা আছে, তাদের জন্য কাঁচা কলা একরকম ওষুধের মতোই কাজ করে।
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। এই আঁশ হজমে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় দেখা যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা মানুষ দিনের পর দিন ওষুধ খাচ্ছেন। অথচ নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে তারা অনেকটা স্বস্তি পেতে পারেন। কারণ, কাঁচা কলা প্রাকৃতিকভাবে হজম শক্তি বাড়ায়।
কাঁচা কলার আরেকটি বড় গুণ হলো, এতে থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ। এই স্টার্চ আমাদের শরীরে খুব সহজে হজম হয় না, বরং এটি হজম প্রক্রিয়ার গতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে দেয় না। এজন্য অনেক গবেষক মনে করেন, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা কলা খুব উপকারী।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন ডিপার্টমেন্টের গবেষক ড. মার্সি ল্যান্সি বলেন, “কাঁচা কলায় থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীর রক্তের গ্লুকোজ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।”
শুধু ডায়াবেটিস নয়, কাঁচা কলা রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কাজ করে। অনেক উচ্চ রক্তচাপের রোগীকেই ডাক্তাররা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। কাঁচা কলা এমন একটি খাবার, যা সহজে পাওয়া যায় এবং এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর।
এছাড়া কাঁচা কলা শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের খাদ্যবিজ্ঞানী ড. এলিজাবেথ স্টোন বলেন, “কাঁচা কলার রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ এবং ফাইবার একসঙ্গে কাজ করে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।”
অনেকেই ওজন কমাতে নানা রকম ডায়েট অনুসরণ করেন। তাদের জন্য কাঁচা কলা হতে পারে একটি চমৎকার খাবার। এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে থাকে।
পাশাপাশি কাঁচা কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান, যা আমাদের শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকর। আর ম্যাগনেশিয়াম পেশী ও স্নায়ুর কাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব শিশু বা বয়স্ক মানুষ ঘন ঘন পেটের গণ্ডগোলে ভোগেন, তাদের জন্য কাঁচা কলা হতে পারে প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং পেটের ক্ষতিকর জীবাণুকে প্রতিরোধ করে।
তবে কাঁচা কলা খাওয়ার কিছু নিয়মও আছে। একেবারে কাঁচা কলা না খেয়ে রান্না করে খাওয়া ভালো। বেশি তেল দিয়ে ভাজা না করে কম তেলে সিদ্ধ বা ভাপে রান্না করা উচিত। অনেক সময় অতিরিক্ত খেলে পেট একটু গ্যাস বা ফাঁপা ভাব দিতে পারে, বিশেষ করে যারা আগে কাঁচা কলা খেতে অভ্যস্ত নন। তাই শুরুতে অল্প করে খাওয়া উচিত।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের গবেষক ড. রাচেল হারমনি বলেন, “প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি পরিমিতভাবে কাঁচা কলা যুক্ত করা যায়, তবে এটি হজম, ওজন, রক্তচাপ, এমনকি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।”
কাঁচা কলার গুণাগুণ নিয়ে আরও অনেক গবেষণা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। বর্তমানে অনেক দেশে কাঁচা কলা শুকিয়ে পাউডার আকারে বিক্রি হচ্ছে, যাকে বলা হয় "গ্রিন বেনানা ফ্লাওয়ার" বা “রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ পাউডার”। এসব পাউডার অনেকেই স্মুদি বা স্যুপে ব্যবহার করছেন। যদিও বাংলাদেশে এই পদ্ধতি এখনো তেমন জনপ্রিয় নয়, তবু ভবিষ্যতে হয়তো এটি আমাদের রান্নাঘরেও জায়গা করে নেবে।
সবশেষে বলা যায়, কাঁচা কলা শুধু পেট ভরানোর খাবার নয়, এটি শরীরের জন্যও এক শক্তিশালী সহকারী। প্রতিদিনের খাবারে পরিমিত কাঁচা কলা রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে, ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমবে। তবে যেকোনো খাবারের মতোই, এটি খাওয়ার সময়ও আমাদের শরীরের প্রয়োজন ও সহনশীলতা বুঝে খেতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রকৃতির দেওয়া এই সাধারণ খাবারগুলোই আমাদের দীর্ঘমেয়াদে সুস্থতার চাবিকাঠি হতে পারে।
কাঁচা কলা আমাদের দেশে খুবই পরিচিত একটি খাদ্য। এটি দিয়ে তরকারি, ভাজি, ভর্তা থেকে শুরু করে অনেকরকম রান্না হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই সাধারণ কাঁচা কলার মধ্যে রয়েছে অসাধারণ কিছু পুষ্টিগুণ, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। শুধু খাদ্য হিসেবে নয়, এটি রোগ প্রতিরোধেও বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে যাদের হজমজনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, কিংবা ওজন বৃদ্ধির সমস্যা আছে, তাদের জন্য কাঁচা কলা একরকম ওষুধের মতোই কাজ করে।
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। এই আঁশ হজমে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় দেখা যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা মানুষ দিনের পর দিন ওষুধ খাচ্ছেন। অথচ নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে তারা অনেকটা স্বস্তি পেতে পারেন। কারণ, কাঁচা কলা প্রাকৃতিকভাবে হজম শক্তি বাড়ায়।
কাঁচা কলার আরেকটি বড় গুণ হলো, এতে থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ। এই স্টার্চ আমাদের শরীরে খুব সহজে হজম হয় না, বরং এটি হজম প্রক্রিয়ার গতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে দেয় না। এজন্য অনেক গবেষক মনে করেন, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা কলা খুব উপকারী।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন ডিপার্টমেন্টের গবেষক ড. মার্সি ল্যান্সি বলেন, “কাঁচা কলায় থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীর রক্তের গ্লুকোজ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।”
শুধু ডায়াবেটিস নয়, কাঁচা কলা রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কাজ করে। অনেক উচ্চ রক্তচাপের রোগীকেই ডাক্তাররা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। কাঁচা কলা এমন একটি খাবার, যা সহজে পাওয়া যায় এবং এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর।
এছাড়া কাঁচা কলা শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের খাদ্যবিজ্ঞানী ড. এলিজাবেথ স্টোন বলেন, “কাঁচা কলার রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ এবং ফাইবার একসঙ্গে কাজ করে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।”
অনেকেই ওজন কমাতে নানা রকম ডায়েট অনুসরণ করেন। তাদের জন্য কাঁচা কলা হতে পারে একটি চমৎকার খাবার। এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে থাকে।
পাশাপাশি কাঁচা কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান, যা আমাদের শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকর। আর ম্যাগনেশিয়াম পেশী ও স্নায়ুর কাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব শিশু বা বয়স্ক মানুষ ঘন ঘন পেটের গণ্ডগোলে ভোগেন, তাদের জন্য কাঁচা কলা হতে পারে প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং পেটের ক্ষতিকর জীবাণুকে প্রতিরোধ করে।
তবে কাঁচা কলা খাওয়ার কিছু নিয়মও আছে। একেবারে কাঁচা কলা না খেয়ে রান্না করে খাওয়া ভালো। বেশি তেল দিয়ে ভাজা না করে কম তেলে সিদ্ধ বা ভাপে রান্না করা উচিত। অনেক সময় অতিরিক্ত খেলে পেট একটু গ্যাস বা ফাঁপা ভাব দিতে পারে, বিশেষ করে যারা আগে কাঁচা কলা খেতে অভ্যস্ত নন। তাই শুরুতে অল্প করে খাওয়া উচিত।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের গবেষক ড. রাচেল হারমনি বলেন, “প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি পরিমিতভাবে কাঁচা কলা যুক্ত করা যায়, তবে এটি হজম, ওজন, রক্তচাপ, এমনকি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।”
কাঁচা কলার গুণাগুণ নিয়ে আরও অনেক গবেষণা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। বর্তমানে অনেক দেশে কাঁচা কলা শুকিয়ে পাউডার আকারে বিক্রি হচ্ছে, যাকে বলা হয় "গ্রিন বেনানা ফ্লাওয়ার" বা “রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ পাউডার”। এসব পাউডার অনেকেই স্মুদি বা স্যুপে ব্যবহার করছেন। যদিও বাংলাদেশে এই পদ্ধতি এখনো তেমন জনপ্রিয় নয়, তবু ভবিষ্যতে হয়তো এটি আমাদের রান্নাঘরেও জায়গা করে নেবে।
সবশেষে বলা যায়, কাঁচা কলা শুধু পেট ভরানোর খাবার নয়, এটি শরীরের জন্যও এক শক্তিশালী সহকারী। প্রতিদিনের খাবারে পরিমিত কাঁচা কলা রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে, ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমবে। তবে যেকোনো খাবারের মতোই, এটি খাওয়ার সময়ও আমাদের শরীরের প্রয়োজন ও সহনশীলতা বুঝে খেতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রকৃতির দেওয়া এই সাধারণ খাবারগুলোই আমাদের দীর্ঘমেয়াদে সুস্থতার চাবিকাঠি হতে পারে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচন এখন রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেই বেরোবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলা একাডেমির একজন কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে ফেব্রুয়ারি তো বটেই, জানুয়ারি মাসেও বইমেলা আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আবার রমজান শেষ হতে হতে মার্চের শেষভাগ চলে আসবে। তখন মেলা নিয়ে যেতে হবে এপ্রিলে, যখন আবার থাকবে গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপ।
৬ ঘণ্টা আগেদেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে। এ দুই ধরনের আদালত এখন থেকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে কাজ করবে। এর ফলে মামলার সময় বাঁচবে এবং নিষ্পত্তি হওয়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করছে সরকার।
৬ ঘণ্টা আগেসারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৬৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
৮ ঘণ্টা আগে