
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

ত্রিফলা—একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক মিশ্রণ, যার নাম শুনলেই ভারতের আয়ুর্বেদ চিকিৎসার দীর্ঘ ইতিহাসের কথা মনে পড়ে। এই তিনটি ফলের সংমিশ্রণ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে ধরা হয়। ত্রিফলার তিনটি উপাদান হলো—আমলকি, হরীতকি ও বহেড়া। এই তিনটি ফলই আলাদাভাবে নানা রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু যখন এদের একত্র করা হয়, তখন তা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বহু শতাব্দী ধরে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রাকৃতিক চিকিৎসাপদ্ধতিতে ত্রিফলা ব্যবহার হয়ে আসছে। আজও আধুনিক গবেষণায় প্রমাণ মিলছে যে, ত্রিফলা শুধুমাত্র একটি গুঁড়ো মিশ্রণ নয়—এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ, যেটি শরীরের নানা দিক থেকে উপকার করে।
ত্রিফলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো এটি প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে। যাঁরা নিয়মিত ত্রিফলা খান, তাঁদের হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাগুলো অনেকাংশে দূর হয়। ত্রিফলা আমাদের অন্ত্রের গতিশীলতা বাড়িয়ে দেয় এবং মলত্যাগকে সহজ করে। বিশেষ করে হারীতকি উপাদানটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে, ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আমলকি বা আমলকী ভিটামিন সি-তে ভরপুর, যা আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ও চুল ভালো রাখে। অন্যদিকে বিভীতকি লিভারকে সুস্থ রাখে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
২০০৬ সালে জার্নাল অব অল্টারনেটিভ অ্যা কমপ্লিমেন্টরি মেডিসিন -এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ত্রিফলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। ক্যালিফোর্নিয়ার ইউনিভার্সিটি অব লস অ্যাঞ্জেলেস-এর গবেষক ড. মারিয়া রোমারো বলছেন—“আমরা যখন ল্যাবরেটরিতে ত্রিফলার এক্সট্রাক্ট নিয়ে পরীক্ষা করি, দেখি এটি কোষের মধ্যে ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করতে পারে, যা বার্ধক্যজনিত রোগ ও ক্যানসারের মতো জটিল রোগের জন্য দায়ী।” ড. রোমারোর মতে, “ত্রিফলার এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা শুধু ত্বক নয়, হৃদযন্ত্রকেও সুরক্ষা দিতে পারে।” তাঁর গবেষণায় উল্লেখ করা হয় যে, ত্রিফলা নিয়মিত সেবনে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
আরেকজন মার্কিন গবেষক ড. জেফ্রি ব্ল্যান্ড, যিনি ইনস্টিটিউট ফর ফাংশনাল মেডিসিনের প্রতিষ্ঠাতা, বলেন—“ত্রিফলা আসলে গাট হেলথ-এর জন্য এক দুর্দান্ত টনিক। আমরা এখন জানি, আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যই নির্ধারণ করে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন হবে। ত্রিফলা সেই অন্ত্রকে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যবান রাখতে কাজ করে।” তিনি আরও বলেন, “যাঁদের দীর্ঘদিনের ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস রয়েছে, তাঁদের জন্য ত্রিফলা প্রাকৃতিক ও নিরাপদ বিকল্প হতে পারে।”
ত্রিফলার উপকারিতা শুধু হজমে নয়, এটি চোখের জন্যও ভালো। ভারতের আয়ুর্বেদ গ্রন্থ চরক সংহিতা-তেও চোখের রোগ নিরাময়ে ত্রিফলার ব্যবহার উল্লেখ আছে। আজকের দিনে এসে বিজ্ঞান এই দাবিকে সমর্থন করছে। ২০১৮ সালে ভারতের ব্যাঙ্গালোরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব আয়ুর্বেদ-এর একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, চোখ ধোয়ার জন্য ত্রিফলার জল ব্যবহার করলে কনজাংকটিভাইটিসের উপসর্গ কমে যায়। একই সঙ্গে এটি চোখের ক্লান্তি ও খিচখিচে ভাব দূর করে।
ত্রিফলা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়—এটা প্রাচীনকাল থেকেই জানা। কিন্তু আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি দেহে টি-সেলস এবং ন্যাচরাল কিলার সেল-এর সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়, যেগুলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ইমিউনোলজিস্ট ড. লরা ক্যাম্পবেল বলেন—“আমরা ত্রিফলার উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে, এতে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো ইমিউন সিস্টেমকে প্রাকৃতিকভাবেই সক্রিয় করে তোলে। বিশেষত, বিভীতকিতে থাকা গ্যালিক অ্যাসিড এবং এলাজিক অ্যাসিড শরীরে ভাইরাসের বিস্তার রোধে ভূমিকা রাখতে পারে।”
চুল ও ত্বকের ক্ষেত্রেও ত্রিফলার ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। ত্রিফলা খেলে যেমন শরীরের ভেতরের পুষ্টির ভারসাম্য ঠিক থাকে, তেমনি বাইরে থেকে ব্যবহার করলে তা ত্বকের ব্রণ, দাগছোপ কমাতে সাহায্য করে। অনেকে ত্রিফলা গুঁড়ো জল মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করেন। এটি প্রাকৃতিক স্ক্রাবারের মতো কাজ করে। ত্রিফলার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আধুনিক জীবনে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ড. রাজেশ মেহতা বলেন—“ত্রিফলা মস্তিষ্কের অস্থিরতা কমাতে পারে। এটি ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে, এবং যারা ইনসমনিয়ায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও উপকারী।” গবেষণায় দেখা গেছে, ত্রিফলায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান মস্তিষ্কের স্নায়ুকে শান্ত করে।
অবশ্যই বলা দরকার, ত্রিফলা সব রোগের যাদুকাঠি নয়। যাঁদের ডায়রিয়া বা অতিরিক্ত পাতলা পায়খানার সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ত্রিফলা কখনো কখনো বিরূপ হতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও ত্রিফলা ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ত্রিফলা পাউডার, ক্যাপসুল, ট্যাবলেট—বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। তবে খাঁটি গুঁড়ো আকারেই এটি সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করেন বহু আয়ুর্বেদ চিকিৎসক।
ত্রিফলা আসলে একধরনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী। এটি শরীরকে শুধু রোগমুক্ত রাখে না, শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেন নিজের স্বাভাবিক ছন্দে কাজ করে, সেই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। তাই বহু শতাব্দী পার হয়ে গেলেও ত্রিফলা আজও প্রাসঙ্গিক, কার্যকর ও শ্রদ্ধেয় হয়ে রয়েছে আয়ুর্বেদের জগতে। আধুনিক বিজ্ঞান আর প্রাচীন জ্ঞান যখন হাত মেলায়, তখনই তো সত্যিকারের চিকিৎসা জন্ম নেয়—ত্রিফলা যেন তারই এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

ত্রিফলা—একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক মিশ্রণ, যার নাম শুনলেই ভারতের আয়ুর্বেদ চিকিৎসার দীর্ঘ ইতিহাসের কথা মনে পড়ে। এই তিনটি ফলের সংমিশ্রণ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে ধরা হয়। ত্রিফলার তিনটি উপাদান হলো—আমলকি, হরীতকি ও বহেড়া। এই তিনটি ফলই আলাদাভাবে নানা রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু যখন এদের একত্র করা হয়, তখন তা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বহু শতাব্দী ধরে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রাকৃতিক চিকিৎসাপদ্ধতিতে ত্রিফলা ব্যবহার হয়ে আসছে। আজও আধুনিক গবেষণায় প্রমাণ মিলছে যে, ত্রিফলা শুধুমাত্র একটি গুঁড়ো মিশ্রণ নয়—এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ, যেটি শরীরের নানা দিক থেকে উপকার করে।
ত্রিফলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো এটি প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে। যাঁরা নিয়মিত ত্রিফলা খান, তাঁদের হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাগুলো অনেকাংশে দূর হয়। ত্রিফলা আমাদের অন্ত্রের গতিশীলতা বাড়িয়ে দেয় এবং মলত্যাগকে সহজ করে। বিশেষ করে হারীতকি উপাদানটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে, ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আমলকি বা আমলকী ভিটামিন সি-তে ভরপুর, যা আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ও চুল ভালো রাখে। অন্যদিকে বিভীতকি লিভারকে সুস্থ রাখে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
২০০৬ সালে জার্নাল অব অল্টারনেটিভ অ্যা কমপ্লিমেন্টরি মেডিসিন -এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ত্রিফলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। ক্যালিফোর্নিয়ার ইউনিভার্সিটি অব লস অ্যাঞ্জেলেস-এর গবেষক ড. মারিয়া রোমারো বলছেন—“আমরা যখন ল্যাবরেটরিতে ত্রিফলার এক্সট্রাক্ট নিয়ে পরীক্ষা করি, দেখি এটি কোষের মধ্যে ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করতে পারে, যা বার্ধক্যজনিত রোগ ও ক্যানসারের মতো জটিল রোগের জন্য দায়ী।” ড. রোমারোর মতে, “ত্রিফলার এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা শুধু ত্বক নয়, হৃদযন্ত্রকেও সুরক্ষা দিতে পারে।” তাঁর গবেষণায় উল্লেখ করা হয় যে, ত্রিফলা নিয়মিত সেবনে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
আরেকজন মার্কিন গবেষক ড. জেফ্রি ব্ল্যান্ড, যিনি ইনস্টিটিউট ফর ফাংশনাল মেডিসিনের প্রতিষ্ঠাতা, বলেন—“ত্রিফলা আসলে গাট হেলথ-এর জন্য এক দুর্দান্ত টনিক। আমরা এখন জানি, আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যই নির্ধারণ করে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন হবে। ত্রিফলা সেই অন্ত্রকে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যবান রাখতে কাজ করে।” তিনি আরও বলেন, “যাঁদের দীর্ঘদিনের ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস রয়েছে, তাঁদের জন্য ত্রিফলা প্রাকৃতিক ও নিরাপদ বিকল্প হতে পারে।”
ত্রিফলার উপকারিতা শুধু হজমে নয়, এটি চোখের জন্যও ভালো। ভারতের আয়ুর্বেদ গ্রন্থ চরক সংহিতা-তেও চোখের রোগ নিরাময়ে ত্রিফলার ব্যবহার উল্লেখ আছে। আজকের দিনে এসে বিজ্ঞান এই দাবিকে সমর্থন করছে। ২০১৮ সালে ভারতের ব্যাঙ্গালোরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব আয়ুর্বেদ-এর একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, চোখ ধোয়ার জন্য ত্রিফলার জল ব্যবহার করলে কনজাংকটিভাইটিসের উপসর্গ কমে যায়। একই সঙ্গে এটি চোখের ক্লান্তি ও খিচখিচে ভাব দূর করে।
ত্রিফলা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়—এটা প্রাচীনকাল থেকেই জানা। কিন্তু আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি দেহে টি-সেলস এবং ন্যাচরাল কিলার সেল-এর সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়, যেগুলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ইমিউনোলজিস্ট ড. লরা ক্যাম্পবেল বলেন—“আমরা ত্রিফলার উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে, এতে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো ইমিউন সিস্টেমকে প্রাকৃতিকভাবেই সক্রিয় করে তোলে। বিশেষত, বিভীতকিতে থাকা গ্যালিক অ্যাসিড এবং এলাজিক অ্যাসিড শরীরে ভাইরাসের বিস্তার রোধে ভূমিকা রাখতে পারে।”
চুল ও ত্বকের ক্ষেত্রেও ত্রিফলার ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। ত্রিফলা খেলে যেমন শরীরের ভেতরের পুষ্টির ভারসাম্য ঠিক থাকে, তেমনি বাইরে থেকে ব্যবহার করলে তা ত্বকের ব্রণ, দাগছোপ কমাতে সাহায্য করে। অনেকে ত্রিফলা গুঁড়ো জল মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করেন। এটি প্রাকৃতিক স্ক্রাবারের মতো কাজ করে। ত্রিফলার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আধুনিক জীবনে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ড. রাজেশ মেহতা বলেন—“ত্রিফলা মস্তিষ্কের অস্থিরতা কমাতে পারে। এটি ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে, এবং যারা ইনসমনিয়ায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও উপকারী।” গবেষণায় দেখা গেছে, ত্রিফলায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান মস্তিষ্কের স্নায়ুকে শান্ত করে।
অবশ্যই বলা দরকার, ত্রিফলা সব রোগের যাদুকাঠি নয়। যাঁদের ডায়রিয়া বা অতিরিক্ত পাতলা পায়খানার সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ত্রিফলা কখনো কখনো বিরূপ হতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও ত্রিফলা ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ত্রিফলা পাউডার, ক্যাপসুল, ট্যাবলেট—বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। তবে খাঁটি গুঁড়ো আকারেই এটি সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করেন বহু আয়ুর্বেদ চিকিৎসক।
ত্রিফলা আসলে একধরনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী। এটি শরীরকে শুধু রোগমুক্ত রাখে না, শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেন নিজের স্বাভাবিক ছন্দে কাজ করে, সেই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। তাই বহু শতাব্দী পার হয়ে গেলেও ত্রিফলা আজও প্রাসঙ্গিক, কার্যকর ও শ্রদ্ধেয় হয়ে রয়েছে আয়ুর্বেদের জগতে। আধুনিক বিজ্ঞান আর প্রাচীন জ্ঞান যখন হাত মেলায়, তখনই তো সত্যিকারের চিকিৎসা জন্ম নেয়—ত্রিফলা যেন তারই এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

তার জন্মক্ষণ স্মরণ করতেই ২৫ ডিসেম্বর দিনটিকে সারা বিশ্বে তার অনুসারীরা বড়দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। তার স্মরণে গির্জা গির্জায় প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে বাজানো হয় ঘণ্টাধ্বনি, যা মানুষের কাছে শুভ সংবাদের বার্তা বয়ে নিয়ে যায় বলে বিশ্বাস করেন খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরা।
১২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের ১০ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে খোদা বকশ চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা ও তার মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতে কয়েকদিন ধরে এমন বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কলকাতায় উপতদূতাবাসের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। শিলিগুড়িতে ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ডিএমপি জানায়, তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানানো ব্যক্তিদের কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করতে অনুরোধ করা হলো; অভ্যর্থনাকারীরা কোন যানবাহন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গাড়িবহরে যুক্ত হতে পারবেন না।
১৬ ঘণ্টা আগে