অরুণ কুমার
বিজ্ঞানীদের কাজ সাধারণ মানুষ খুব কমই বোঝেন। তাঁদের কাজ সাধারণের কাছে অদ্ভুত মনে। পাগল ঠাওরে বসেন কেউ কেউ। কিন্তু বিখ্যাত জ্যোতিঃপদার্থবিদ নিল ডি গ্রাস টাইসনকে নিয়ে যে কাণ্ড করেছিলেন তাঁর প্রতিবেশীরা, তা ইতিহাসে বিরল।
নিল ডি গ্রাসস টাইসন। কসমস টিভি সিরিজের কারণেই তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। টিভি শো করা আর গবেষণা এক ব্যাপার নয়। গবেষণার পথ কখনো মসৃণ হয় না।
টাইসনের জীবনেও বাধা এসেছে। তবে সে বাধাটাকে মোটেও কঠিন বাধা বলার উপায় নেই। তবে পুলিশের হাঙ্গামাকে স্রেফ মজার বলে উড়িয়ে দেওয়ার উপায়ও নেই।
টাইসন ছোট বেলা থেকেই মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী। জ্যোতির্পদার্থবিদ হওয়ার সংকল্প করেন সেই স্কুল জীবনেই। স্কুলেই টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং বাড়িতেও যে সময় পেলে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতে নেমে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক গবেষণা করতেই গিয়েই বেশ কয়েকবার পুলিশের হাঙ্গামা পোহাতে হয়েছে।
টাইসন তখন বয়সে বেশ তরুণ। মাঝে মাঝে নিজের বাসার ছাদে বসে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করেন। এজন্য ছাদে টেলিস্কোপও বসিয়ে রেখেছেন কয়েকটা। অন্ধকার মাঝরাতেই আকাশ পর্যবেক্ষণের সুবিধা, তাই প্রায় রাতেই ছাদে গিয়ে টেলিস্কোপের নলে চোখ লাগান। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।
তারা হয়তো টাইসনকে চেনে না। জানে না, ছেলেটা তরুণ জ্যোতির্পদার্থবিদ। তাই পুলিশকে ফোন করে। জানায় কেউ পাশের ছাদে বসে চুরির পরিকল্পনা করছেন। টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে প্রতিবেশিদের বাড়ির ভেতরের খবর নিচ্ছেন। তারপর সুযোগ বুঝে করবেন চুরি। এই অভিযোগে পুলিশও টাইসনের বাসায় হানা দিয়েছে কয়েকবার।
পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা—এ প্রবাদ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধুনিক দেশেও সত্যি। টাইসনকেও যে তারা ছেড়ে কথা বলবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু টাইসনও বাগ্মীতায় কম যান না। সেটা ছোটবেলা থেখেই। তার প্রমাণ মেলে ‘কসমস’ সিরিজ দেখলেই। তিনি ঠাণ্ডা মাথায় পুলিশকে বোঝান, তিনি একজন তরুণ জ্যোতির্বিদ, কোনো ক্রিমিনাল নন। কিন্তু পুলিশ তা মানবে কেন?
তখন টাইসন পুলিশকে প্রস্তাব দেন, মহাকাশ পর্যবেক্ষণের। তিনি টেলিস্কোপের লেন্স ফোকাস করেন শনির বলয়ের দিকে। তারপর পুলিশকে নলে চোখ রেখে সেটা দেখতে বলেন। পুলিশ এমন সুন্দর গ্রহ আর তার বলয় দেখে মুগ্ধ হন। আর বিশ্বাস করতেও বাধ্য হন টাইসন আসলেই জ্যোতির্পদার্থবিদ।
এভাবে বেশ কয়েকবার স্রেফ শনির বলয় দেখিয়েই পুলিশের হাঙ্গামা থেকে বেঁচে গিয়েছেন টাইসন।
সূত্র: অ্যাস্ট্রোফিজিকস ফর ইয়ং পিপল ইন আ হারি
বিজ্ঞানীদের কাজ সাধারণ মানুষ খুব কমই বোঝেন। তাঁদের কাজ সাধারণের কাছে অদ্ভুত মনে। পাগল ঠাওরে বসেন কেউ কেউ। কিন্তু বিখ্যাত জ্যোতিঃপদার্থবিদ নিল ডি গ্রাস টাইসনকে নিয়ে যে কাণ্ড করেছিলেন তাঁর প্রতিবেশীরা, তা ইতিহাসে বিরল।
নিল ডি গ্রাসস টাইসন। কসমস টিভি সিরিজের কারণেই তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। টিভি শো করা আর গবেষণা এক ব্যাপার নয়। গবেষণার পথ কখনো মসৃণ হয় না।
টাইসনের জীবনেও বাধা এসেছে। তবে সে বাধাটাকে মোটেও কঠিন বাধা বলার উপায় নেই। তবে পুলিশের হাঙ্গামাকে স্রেফ মজার বলে উড়িয়ে দেওয়ার উপায়ও নেই।
টাইসন ছোট বেলা থেকেই মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী। জ্যোতির্পদার্থবিদ হওয়ার সংকল্প করেন সেই স্কুল জীবনেই। স্কুলেই টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং বাড়িতেও যে সময় পেলে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতে নেমে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক গবেষণা করতেই গিয়েই বেশ কয়েকবার পুলিশের হাঙ্গামা পোহাতে হয়েছে।
টাইসন তখন বয়সে বেশ তরুণ। মাঝে মাঝে নিজের বাসার ছাদে বসে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করেন। এজন্য ছাদে টেলিস্কোপও বসিয়ে রেখেছেন কয়েকটা। অন্ধকার মাঝরাতেই আকাশ পর্যবেক্ষণের সুবিধা, তাই প্রায় রাতেই ছাদে গিয়ে টেলিস্কোপের নলে চোখ লাগান। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।
তারা হয়তো টাইসনকে চেনে না। জানে না, ছেলেটা তরুণ জ্যোতির্পদার্থবিদ। তাই পুলিশকে ফোন করে। জানায় কেউ পাশের ছাদে বসে চুরির পরিকল্পনা করছেন। টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে প্রতিবেশিদের বাড়ির ভেতরের খবর নিচ্ছেন। তারপর সুযোগ বুঝে করবেন চুরি। এই অভিযোগে পুলিশও টাইসনের বাসায় হানা দিয়েছে কয়েকবার।
পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা—এ প্রবাদ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধুনিক দেশেও সত্যি। টাইসনকেও যে তারা ছেড়ে কথা বলবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু টাইসনও বাগ্মীতায় কম যান না। সেটা ছোটবেলা থেখেই। তার প্রমাণ মেলে ‘কসমস’ সিরিজ দেখলেই। তিনি ঠাণ্ডা মাথায় পুলিশকে বোঝান, তিনি একজন তরুণ জ্যোতির্বিদ, কোনো ক্রিমিনাল নন। কিন্তু পুলিশ তা মানবে কেন?
তখন টাইসন পুলিশকে প্রস্তাব দেন, মহাকাশ পর্যবেক্ষণের। তিনি টেলিস্কোপের লেন্স ফোকাস করেন শনির বলয়ের দিকে। তারপর পুলিশকে নলে চোখ রেখে সেটা দেখতে বলেন। পুলিশ এমন সুন্দর গ্রহ আর তার বলয় দেখে মুগ্ধ হন। আর বিশ্বাস করতেও বাধ্য হন টাইসন আসলেই জ্যোতির্পদার্থবিদ।
এভাবে বেশ কয়েকবার স্রেফ শনির বলয় দেখিয়েই পুলিশের হাঙ্গামা থেকে বেঁচে গিয়েছেন টাইসন।
সূত্র: অ্যাস্ট্রোফিজিকস ফর ইয়ং পিপল ইন আ হারি
ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগ কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন ১০ জন, ক্যাটাগরি-২ বা ঢাকার ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১২ জন। ক্যাটাগরি-৩ অর্থাৎ সাবেক ক্রিকেটার এবং বিভিন্ন সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোটা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১ জন।
২ ঘণ্টা আগেসৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি। এর আগে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানো হতো অনানুষ্ঠানিকভাবে। ১৯৭৬ সালে প্রথম বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখের বেশি বাং
৪ ঘণ্টা আগেতাজুল ইসলাম বলেন, ‘গতকালই বলে দিয়েছি। এ সপ্তাহের মধ্যে গুমের মামলার বেশ অনেকগুলো ঘটনার কথা বলেছি, অনেকগুলো ঘটনা ঘটবে, আপনারা দেখবেন। আমরা আজকে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
৪ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৭৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে