
অরুণ কুমার

যে মুলোটা বড় তা নাকি পত্তনেই বোঝা যায়! তবে এই প্রবাদের ব্যতিক্রমের যেমন অভাব নেই, তেমনি এর স্বপক্ষের উদহারণও কম নয়। জার্মান গণিতজ্ঞ কার্ল ফ্রেডেরিখ গাউস ছিলেন এর সাক্ষাত উদাহরণ। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই গণিতবিদ ছেলেবেলা থেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন।
গাউস তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়েন। ক্লাস নিচ্ছেন তাঁর শিক্ষক বাটনার। কিন্তু গাউস ক্লাসে বক বক করেই যাচ্ছেন। বাটনার বিরক্ত হলেন।
কিন্তু আমাদের দেশের মতো জার্মনিতে শিক্ষার্থীদের মারপিট করতেন না শিক্ষককেরা। তাই তাদের শান্ত করতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হতো। বটনার সেদিন কিছুতিই গাউসকে শান্ত করতে পারছিলেন না। তিনি জানতেন মেধাবী গাউস গণিতের সমাধান করতে ভালোবাসে।
তাই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কথা ভাবলেন বাটনার। গাউসকে দিলেন বিশাল এক যোগ অংক করতে।
বাটনার ভেবেছিলেন, এই অংকটা কষতে বাটনারের নিশ্চয়ই অনেক সময় লাগবে। ততক্ষণে তিনি লেকচার শেষ করে ফেলবেন। যোগটা শুনে মনে হতে পারে সহজ।
কিন্তু অনেক বড় যোগ, তাই সময় লাগবেই। বাটনার বললেন, ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সবগুলো সংখ্যা পর পর যোগ করে নিয়ে এসো। বাটনার ভেবেছিলেন ১+২+৩+৪.....+১০০ এভাবে যোগ করবে গাউস। তাই সময় লাগবেই।
গাউস অংক কষতে গেলেন। কিন্তু দুমিনিট পরেই ফিরে এসে বললেন, স্যার অংক কষা শেষ?
বাটনারের তো চোখ চড়কগাছ! এই ছেলে এত বড় যোগ এত দ্রুত করল কীভাবে? বাটনার গাউসকে জিজ্ঞেস করলেন সে কথা। গাউস তখন শিক্ষককেই শিখিয়ে দিলেন পদ্ধতিটা।
গাউস পুরো ১০০টা সংখ্যাকে দুইভাগে ভাগ করে ফেলেন। ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত একভাগ, দ্বিতীয় ভাগে ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত। এবার তিনি দেখলেন ১-এর ১০০ যোগ করলে হয় ১+১০০ =১ ০১। তেমনি ২+৯৯=১০১; ৩+৯৮ = ১০১; ৪+৯৭ = ১০১...তেমনি ৫০+৫১ = ১০১; ৪৯+৫২ = ১০১ এভাবে ১ থেকে ৫০ প্রতিটা সংখ্যার সঙ্গে ১০০ থেকে ৫১ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে যোগ করলে প্রতিটার যোগফল পাওয়া যাবে ১০১। অর্থাৎ ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত ৫০টা ১০১ পাওয়া যাবে। তাহলে ৫০ দিয়ে এগুলো গুন করলে যে সংখ্যাটা পাওয়া যাবে, সেটাই হলো ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত প্রতিটা সংখ্যার যোগফল-
৫০´১০০ = ৫০৫০!
বাটনারে এই ছেলের প্রতিভা দেখে হতবাক! একে থামাবেন কীভাবে?
সূত্র: নিউরণে অনুরণন/মুহাম্মদ জাফর ইকবার ও মোহাম্মদ কায়কোবাদ

যে মুলোটা বড় তা নাকি পত্তনেই বোঝা যায়! তবে এই প্রবাদের ব্যতিক্রমের যেমন অভাব নেই, তেমনি এর স্বপক্ষের উদহারণও কম নয়। জার্মান গণিতজ্ঞ কার্ল ফ্রেডেরিখ গাউস ছিলেন এর সাক্ষাত উদাহরণ। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই গণিতবিদ ছেলেবেলা থেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন।
গাউস তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়েন। ক্লাস নিচ্ছেন তাঁর শিক্ষক বাটনার। কিন্তু গাউস ক্লাসে বক বক করেই যাচ্ছেন। বাটনার বিরক্ত হলেন।
কিন্তু আমাদের দেশের মতো জার্মনিতে শিক্ষার্থীদের মারপিট করতেন না শিক্ষককেরা। তাই তাদের শান্ত করতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হতো। বটনার সেদিন কিছুতিই গাউসকে শান্ত করতে পারছিলেন না। তিনি জানতেন মেধাবী গাউস গণিতের সমাধান করতে ভালোবাসে।
তাই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কথা ভাবলেন বাটনার। গাউসকে দিলেন বিশাল এক যোগ অংক করতে।
বাটনার ভেবেছিলেন, এই অংকটা কষতে বাটনারের নিশ্চয়ই অনেক সময় লাগবে। ততক্ষণে তিনি লেকচার শেষ করে ফেলবেন। যোগটা শুনে মনে হতে পারে সহজ।
কিন্তু অনেক বড় যোগ, তাই সময় লাগবেই। বাটনার বললেন, ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সবগুলো সংখ্যা পর পর যোগ করে নিয়ে এসো। বাটনার ভেবেছিলেন ১+২+৩+৪.....+১০০ এভাবে যোগ করবে গাউস। তাই সময় লাগবেই।
গাউস অংক কষতে গেলেন। কিন্তু দুমিনিট পরেই ফিরে এসে বললেন, স্যার অংক কষা শেষ?
বাটনারের তো চোখ চড়কগাছ! এই ছেলে এত বড় যোগ এত দ্রুত করল কীভাবে? বাটনার গাউসকে জিজ্ঞেস করলেন সে কথা। গাউস তখন শিক্ষককেই শিখিয়ে দিলেন পদ্ধতিটা।
গাউস পুরো ১০০টা সংখ্যাকে দুইভাগে ভাগ করে ফেলেন। ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত একভাগ, দ্বিতীয় ভাগে ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত। এবার তিনি দেখলেন ১-এর ১০০ যোগ করলে হয় ১+১০০ =১ ০১। তেমনি ২+৯৯=১০১; ৩+৯৮ = ১০১; ৪+৯৭ = ১০১...তেমনি ৫০+৫১ = ১০১; ৪৯+৫২ = ১০১ এভাবে ১ থেকে ৫০ প্রতিটা সংখ্যার সঙ্গে ১০০ থেকে ৫১ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে যোগ করলে প্রতিটার যোগফল পাওয়া যাবে ১০১। অর্থাৎ ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত ৫০টা ১০১ পাওয়া যাবে। তাহলে ৫০ দিয়ে এগুলো গুন করলে যে সংখ্যাটা পাওয়া যাবে, সেটাই হলো ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত প্রতিটা সংখ্যার যোগফল-
৫০´১০০ = ৫০৫০!
বাটনারে এই ছেলের প্রতিভা দেখে হতবাক! একে থামাবেন কীভাবে?
সূত্র: নিউরণে অনুরণন/মুহাম্মদ জাফর ইকবার ও মোহাম্মদ কায়কোবাদ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৪০ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনা হচ্ছে না। যেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, কেবল সেখানে (বডি ওর্ন ক্যামেরা) দেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কেনা হবে। ইসি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনা করে ঠিক করবে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার এ রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির কাছে পাঠানোর কথা ছিল। এ সত্যায়িত কপিতে চেয়ারম্যানসহ তিন বিচারকের সই প্রয়োজন। ট্রাইব্যুনাল প্রশাসন বলছে, চেয়ারম্যান অসুস্থ থাকার কারণেই সেটি পাঠানো সম্ভব হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘এনজিও-গ্রাম’ অভিহিত করে যারা সমালোচনা করে থাকেন, তাদের জবাব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ১৪টি বিষয়ে সরকারের ‘অর্জন’ তুলে ধরে বলেছেন, সরকারের সমালোচনাকারীর সমালোচনা অন্যায্য।
২ ঘণ্টা আগে