অরুণ কুমার
রাতের আকাশে অসংখ্য তারার ঝিলমিল দেখা যায়, কিন্তু তাদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল হলো লুব্ধক। এর ইংরেজি নাম সিরিয়াস, আরেকটি পরিচিত নাম আলফা ক্যানিস মেজরিস। কেবল উজ্জ্বলতার কারণেই নয়, এর রহস্যময় বৈশিষ্ট্য এবং মহাকাশ বিজ্ঞানে গুরুত্বের কারণেও লুব্ধককে ঘিরে রয়েছে বিশেষ কৌতূহল।
লুব্ধক হলো ক্যানিস মেজর নক্ষত্রমণ্ডলের প্রধান তারা। একে অনেক সময় “ডগ স্টার” বা “বৃহৎ কুকুর” নক্ষত্রও বলা হয়। পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান তারাগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং সূর্যের পর আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। “সিরিয়াস” শব্দটির উৎস গ্রিক শব্দ Seirios, যার অর্থ ‘জ্বলন্ত’ বা ‘উজ্জ্বল’।
এই তারা পৃথিবী থেকে প্রায় ৮.৬ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। দক্ষিণ গোলার্ধে এর অবস্থান হওয়ায় শীতকালের আকাশে এটি বিশেষভাবে চোখে পড়ে। তবে লুব্ধক আসলে একক তারা নয়, বরং দুটি তারার যুগল ব্যবস্থা। এর প্রধান তারাটি সিরিয়াস এ—একটি প্রধান অনুক্রম তারা, যা সূর্যের চেয়ে প্রায় ২৫ গুণ উজ্জ্বল। এর সঙ্গী হলো সিরিয়াস বি, একটি শ্বেত বামন তারা, যা সিরিয়াস এ-এর চারপাশে ঘুরছে। সিরিয়াস এ-এর বিশাল আকার এবং তীব্র উজ্জ্বলতাই একে রাতের আকাশে এতটা দীপ্ত করে তুলেছে।
সিরিয়াস বি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শ্বেত বামন তারাদের গবেষণায় এক অনন্য ভূমিকা রাখে। শ্বেত বামন হলো বৃহৎ তারার মৃত্যুর পর সুপারনোভা বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে থাকা অবশেষ। তাই সিরিয়াস যুগল ব্যবস্থা জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণায় এক মূল্যবান বিষয়।
তবে কেবল বৈজ্ঞানিক দিক থেকেই নয়, লুব্ধক মানব ইতিহাস ও সংস্কৃতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রাচীন মিশরীয়রা একে দেবী আইসিসের প্রতীক হিসেবে দেখতেন। নীল নদের বার্ষিক বন্যার সময় আকাশে লুব্ধকের আবির্ভাবকে শুভ লক্ষণ হিসেবে ধরা হত। গ্রিক ও রোমান পুরাণেও এ তারার উল্লেখ রয়েছে। এর উজ্জ্বলতা, অবস্থান ও প্রভাব মানুষকে যুগে যুগে মুগ্ধ করেছে।
সব মিলিয়ে লুব্ধক কেবল রাতের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা নয়, বরং মহাবিশ্বের এক অভিজাত ও রহস্যময় অংশ। এর দীপ্তি, পৃথিবীর নিকটবর্তী অবস্থান, বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব এবং ইতিহাস-সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব একে সত্যিই অনন্য করেছে। তাই, যখন রাতের আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটি ঝলমল করতে দেখবেন, মনে রাখবেন আপনি তাকিয়ে আছেন মহাবিশ্বের এক অসাধারণ তারার দিকে—যার নাম লুব্ধক।
রাতের আকাশে অসংখ্য তারার ঝিলমিল দেখা যায়, কিন্তু তাদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল হলো লুব্ধক। এর ইংরেজি নাম সিরিয়াস, আরেকটি পরিচিত নাম আলফা ক্যানিস মেজরিস। কেবল উজ্জ্বলতার কারণেই নয়, এর রহস্যময় বৈশিষ্ট্য এবং মহাকাশ বিজ্ঞানে গুরুত্বের কারণেও লুব্ধককে ঘিরে রয়েছে বিশেষ কৌতূহল।
লুব্ধক হলো ক্যানিস মেজর নক্ষত্রমণ্ডলের প্রধান তারা। একে অনেক সময় “ডগ স্টার” বা “বৃহৎ কুকুর” নক্ষত্রও বলা হয়। পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান তারাগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং সূর্যের পর আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। “সিরিয়াস” শব্দটির উৎস গ্রিক শব্দ Seirios, যার অর্থ ‘জ্বলন্ত’ বা ‘উজ্জ্বল’।
এই তারা পৃথিবী থেকে প্রায় ৮.৬ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। দক্ষিণ গোলার্ধে এর অবস্থান হওয়ায় শীতকালের আকাশে এটি বিশেষভাবে চোখে পড়ে। তবে লুব্ধক আসলে একক তারা নয়, বরং দুটি তারার যুগল ব্যবস্থা। এর প্রধান তারাটি সিরিয়াস এ—একটি প্রধান অনুক্রম তারা, যা সূর্যের চেয়ে প্রায় ২৫ গুণ উজ্জ্বল। এর সঙ্গী হলো সিরিয়াস বি, একটি শ্বেত বামন তারা, যা সিরিয়াস এ-এর চারপাশে ঘুরছে। সিরিয়াস এ-এর বিশাল আকার এবং তীব্র উজ্জ্বলতাই একে রাতের আকাশে এতটা দীপ্ত করে তুলেছে।
সিরিয়াস বি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শ্বেত বামন তারাদের গবেষণায় এক অনন্য ভূমিকা রাখে। শ্বেত বামন হলো বৃহৎ তারার মৃত্যুর পর সুপারনোভা বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে থাকা অবশেষ। তাই সিরিয়াস যুগল ব্যবস্থা জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণায় এক মূল্যবান বিষয়।
তবে কেবল বৈজ্ঞানিক দিক থেকেই নয়, লুব্ধক মানব ইতিহাস ও সংস্কৃতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রাচীন মিশরীয়রা একে দেবী আইসিসের প্রতীক হিসেবে দেখতেন। নীল নদের বার্ষিক বন্যার সময় আকাশে লুব্ধকের আবির্ভাবকে শুভ লক্ষণ হিসেবে ধরা হত। গ্রিক ও রোমান পুরাণেও এ তারার উল্লেখ রয়েছে। এর উজ্জ্বলতা, অবস্থান ও প্রভাব মানুষকে যুগে যুগে মুগ্ধ করেছে।
সব মিলিয়ে লুব্ধক কেবল রাতের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা নয়, বরং মহাবিশ্বের এক অভিজাত ও রহস্যময় অংশ। এর দীপ্তি, পৃথিবীর নিকটবর্তী অবস্থান, বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব এবং ইতিহাস-সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব একে সত্যিই অনন্য করেছে। তাই, যখন রাতের আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটি ঝলমল করতে দেখবেন, মনে রাখবেন আপনি তাকিয়ে আছেন মহাবিশ্বের এক অসাধারণ তারার দিকে—যার নাম লুব্ধক।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাদের দুইদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিন অপর আসামি মো. শাহিন হোসেনকে (৩৮) প্রয়োজনবোধে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর আসামিদের কারাগারে পাঠান আদালত।
৬ ঘণ্টা আগেচিঠিতে আরো বলা হয়, এরইমধ্যে ‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’ ঘোষণা করা হয়েছে। কোটা পূরণ এবং হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইনের নির্দেশনার আলোকে এজেন্সিগুলোর জরুরি ভিত্তিতে সমন্বয় করে লিড গঠন করা প্রয়োজন। ‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’ এর অনুচ্ছেদ ১৩ (২) ও (৩) অনুযায়ী লিড এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয়কারী সব এজেন্সি একই ধর
৭ ঘণ্টা আগে