সীমান্তে গরু চোরাচালান কমলেও হত্যা থামেনি: আজাদ মজুমদার

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, সীমান্তে পশু আনা-নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএসএফের গুলিতে অনেক বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। গরু চোরাচালান বর্তমানে অনেকটাই কমে এলেও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড থামেনি। ভারতীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশের অনেক মন্ত্রী-এমপিও নিহতদের চোরাচালানি আখ্যা দিয়ে এসব হত্যাকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

আজাদ মজুমদার জানান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তে অন্তত ছয়জন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং হচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, ব্যাংককে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সীমান্ত হত্যাকাণ্ড দিয়েই আলোচনা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সীমান্তরক্ষীরা যখন আমাদের নাগরিকদের গুলি করেন, তখন সেই গুলি এসে আমার বুকে লাগে।’

আসলে এই গুলি শুধু প্রফেসর ইউনূসের বুকে নয়, বরং বিবেকবান প্রতিটি বাংলাদেশির বুকে লাগে।

তিনি আরও জানান, কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং এর বেচাকেনা চলমান। এটি একটি আশার খবর।

শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় দেখতাম, রুগ্ন ও সাদা ভারতীয় গরুতে বাজার সয়লাব থাকত। কিন্তু গত কয়েক বছর কোরবানির হাটে সেই দৃশ্য অনুপস্থিত।’

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশ পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, আর পশুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশিদের সঙ্গে পাশবিক আচরণ বন্ধ হোক—এই প্রত্যাশা রাখি। সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা।’

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

আ.লীগের অপরাধ তদন্ত শুরু হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

প্রসিকিউটর বলেন, এই মুহূর্তে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারেই তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি প্রয়োজন মনে হয় যে আরও কোনো দলও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সেক্ষেত্রে তাদের ব্যাপারেও আমাদের তদন্ত সংস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৫ ঘণ্টা আগে

দেশে এখনও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও এখনো আমরা এমন একটি স্থায়ী রাজনৈতিক কাঠামো গড়তে পারিনি, যা জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে। ফলে বর্তমান বাস্তবতায় কিছু মৌলিক ও সীমিত লক্ষ্য অর্জনই এখন প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৬ ঘণ্টা আগে

এবারের নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি

৭ ঘণ্টা আগে

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে নিয়োগ, লাগবে বিএসসি ডিগ্রি

৭ ঘণ্টা আগে