
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

নতুন প্রণীত শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির বইয়ে থাকা ‘শরিফ-শরীফার গল্প’ নামক লেখাটি বাদ দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এ সুপারিশের প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে উদীচী।
এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, ‘শরীফ-শরীফার গল্প’ লেখাটিতে ১৯টি শব্দ ‘সমাজব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়’ বলে মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এসব শব্দ ছাড়া গল্পটি অপূর্ণ থাকে উল্লেখ করে কমিটি পুরো গল্পটিই বাদ দেয়ার সুপারিশ করেছে বলে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে উদীচীর নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলত ‘শরীফ-শরীফা’ গল্পটিতে সমাজের অন্যতম একটি জনগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ বা ‘হিজড়া’দের নিয়ে একটি নিরীহ কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে এই জনগোষ্ঠীর মানুষের প্রতি সমাজের বাকিরা কী ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করে, তা বর্ণনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সব মানুষকে সমান চোখে দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের পর থেকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ গল্পটিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। গল্পটিতে সমকামিতা ও যৌনতাকে উসকে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে যে দাবি করা হচ্ছে, সেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে উদীচী। সচেতন মানুষ যারা গল্পটি পড়েছেন তারা সবাই একমত হয়েছেন যে এখানে শুধুমাত্র থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার ইতিবাচক প্রয়াস করা হয়েছে। সমকামিতা বা যৌনতার মতো কোনো বিষয়ের অবতারণা করা হয়নি। উদীচী মনে করে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে গল্পটি বাদ দেওয়া হলে তা পক্ষান্তরে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকেই প্রশ্রয় দেওয়ার সামিল হবে।
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে রাষ্ট্র তাদেরকে নাগরিক হিসেবে অনেক আগেই স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের বাকি সকল নাগরিকের মতো ভোটাধিকারসহ অন্য সব নাগরিক অধিকারই তারা ভোগ করেন। দুঃসহ জীবনযাপন ও ভিক্ষাবৃত্তি থেকে তাদের মুক্ত করতে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের অনেকেই তাদের মেধার পরিচয় দিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সম্মানজনক অবস্থানে থেকে দেশসেবা করছেন। তাদের এই পথচলাকে আরো সুগম করতে এবং কোমলমতি শিশুরা যাতে তাদের বিষয়ে কোনো বিরূপ বা বৈষম্যমূলক মনোভাব পোষণ না করে সেজন্য সপ্তম শ্রেণির বইয়ে ‘শরফ-শরীফার গল্প’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম মানুষে মানুষে ভেদাভেদ শিখবে না বলে মনে করে উদীচী।
নতুন প্রণীত শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির বইয়ে থাকা ‘শরিফ-শরীফার গল্প’ নামক লেখাটি বাদ দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের প্রতিবাদে আগামীকাল ১৮ মে শনিবার বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উদীচীর প্রতিবাদ সমাবেশে সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানান উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

নতুন প্রণীত শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির বইয়ে থাকা ‘শরিফ-শরীফার গল্প’ নামক লেখাটি বাদ দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এ সুপারিশের প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে উদীচী।
এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, ‘শরীফ-শরীফার গল্প’ লেখাটিতে ১৯টি শব্দ ‘সমাজব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়’ বলে মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এসব শব্দ ছাড়া গল্পটি অপূর্ণ থাকে উল্লেখ করে কমিটি পুরো গল্পটিই বাদ দেয়ার সুপারিশ করেছে বলে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে উদীচীর নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলত ‘শরীফ-শরীফা’ গল্পটিতে সমাজের অন্যতম একটি জনগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ বা ‘হিজড়া’দের নিয়ে একটি নিরীহ কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে এই জনগোষ্ঠীর মানুষের প্রতি সমাজের বাকিরা কী ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করে, তা বর্ণনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সব মানুষকে সমান চোখে দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের পর থেকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ গল্পটিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। গল্পটিতে সমকামিতা ও যৌনতাকে উসকে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে যে দাবি করা হচ্ছে, সেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে উদীচী। সচেতন মানুষ যারা গল্পটি পড়েছেন তারা সবাই একমত হয়েছেন যে এখানে শুধুমাত্র থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার ইতিবাচক প্রয়াস করা হয়েছে। সমকামিতা বা যৌনতার মতো কোনো বিষয়ের অবতারণা করা হয়নি। উদীচী মনে করে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে গল্পটি বাদ দেওয়া হলে তা পক্ষান্তরে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকেই প্রশ্রয় দেওয়ার সামিল হবে।
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে রাষ্ট্র তাদেরকে নাগরিক হিসেবে অনেক আগেই স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের বাকি সকল নাগরিকের মতো ভোটাধিকারসহ অন্য সব নাগরিক অধিকারই তারা ভোগ করেন। দুঃসহ জীবনযাপন ও ভিক্ষাবৃত্তি থেকে তাদের মুক্ত করতে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের অনেকেই তাদের মেধার পরিচয় দিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সম্মানজনক অবস্থানে থেকে দেশসেবা করছেন। তাদের এই পথচলাকে আরো সুগম করতে এবং কোমলমতি শিশুরা যাতে তাদের বিষয়ে কোনো বিরূপ বা বৈষম্যমূলক মনোভাব পোষণ না করে সেজন্য সপ্তম শ্রেণির বইয়ে ‘শরফ-শরীফার গল্প’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম মানুষে মানুষে ভেদাভেদ শিখবে না বলে মনে করে উদীচী।
নতুন প্রণীত শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির বইয়ে থাকা ‘শরিফ-শরীফার গল্প’ নামক লেখাটি বাদ দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের প্রতিবাদে আগামীকাল ১৮ মে শনিবার বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উদীচীর প্রতিবাদ সমাবেশে সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানান উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যে বয়সের ছেলে-মেয়েদের দেখেছিলাম, ২৪ এর যুদ্ধে আবার সেই তরুণ ছেলে-মেয়েদেরকে রাস্তায় খুব কাছে থেকে তোমাদের পাশে থেকে দেখলাম।
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশে কোনো অস্থিরতা দেখা দিয়েছে কি না এবং আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কোনো শঙ্কা আছে কি না—জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রায় হওয়ার পরে কোনো রকম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি। বিজয় দিবসেও কোনো অস্থিরতার শঙ্কা নেই।’
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়েও ভোটে বড় ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলোর। দলগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করলে নির্বাচন কমিশনকে বাড়তি চাপ নিতে হয় না।
৪ ঘণ্টা আগে