
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত ১০ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আইআরআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা জানিয়েছে।
প্রতিনিধি দলের প্রধান ও আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার জে ফুসনার বলেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে একটি শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ মিশন পরিচালনা করব। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকলে নির্বাচনে সহিংসতার ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।’
বৈঠকে আরআইআরের প্রতিনিধিরা আগের নির্বাচনি অভিজ্ঞতা থেকে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচনি সংস্কার ও রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে মতবিনিময় করেন। প্রতিনিধি দল বর্তমান রাজনৈতিক আবহকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করে।
ফুসনার বলেন, ‘সব দলই এখন নির্বাচনের পক্ষে। আগের নির্বাচনের তুলনায় এবার পরিস্থিতি অনেক ভালো মনে হচ্ছে। পার্থক্যটা স্পষ্ট।’ তারা নাগরিক সমাজ ও শিক্ষার্থীদের মতো স্থানীয় পর্যবেক্ষক অন্তর্ভুক্ত করার ওপরও জোর দেন এবং ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একমত হন যে ভুয়া তথ্য গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি। তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। এটি পরিকল্পিত, অর্থায়িত ও মুহূর্তেই উত্তেজনা তৈরি করে। সত্য প্রকাশ পেতে পেতে মানুষ আগেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলে।’
ফুসনার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ছবি জালিয়াতি ও জনমত প্রভাবিত করার ঝুঁকি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের পথে অগ্রসর হচ্ছে। এটি হবে অসংখ্য তরুণের জীবনের প্রথম ভোটের অভিজ্ঞতা। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ২৭ বছরের নিচে, তারা প্রথমবার ভোট দেবে। আমরা চাই তারা সন্তুষ্ট হোক। নির্বাচন হবে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।
জুলাই সনদকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে এতে সই করেছে। বাকিরাও শিগগিরই যোগ দেবে বলে আশা করছি। এটি আমাদের নির্বাচনের আরও এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
আইআরআই প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে অধ্যাপক ইউনূসের ভূমিকার প্রশংসা করে। এক প্রতিনিধি বলেন, আপনি রূপান্তরের এই সময়ে অসাধারণ কাজ করছেন। আরেকজন বলেন, আপনার নেতৃত্ব সত্যিই অনন্য ও প্রশংসনীয়।
আরআইআর প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সেন্টার ফর আ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির (সিএনএএস) ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো ও পরিচালক লিসা কার্টিস, আইআরআইয়ের গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াবিষয়ক কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আইআরআইয়ের রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি বর্তমানে নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। দেশের সব প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে আরআইআরের এই প্রতিনিধি দলের।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত ১০ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আইআরআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা জানিয়েছে।
প্রতিনিধি দলের প্রধান ও আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার জে ফুসনার বলেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে একটি শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ মিশন পরিচালনা করব। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকলে নির্বাচনে সহিংসতার ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।’
বৈঠকে আরআইআরের প্রতিনিধিরা আগের নির্বাচনি অভিজ্ঞতা থেকে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচনি সংস্কার ও রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে মতবিনিময় করেন। প্রতিনিধি দল বর্তমান রাজনৈতিক আবহকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করে।
ফুসনার বলেন, ‘সব দলই এখন নির্বাচনের পক্ষে। আগের নির্বাচনের তুলনায় এবার পরিস্থিতি অনেক ভালো মনে হচ্ছে। পার্থক্যটা স্পষ্ট।’ তারা নাগরিক সমাজ ও শিক্ষার্থীদের মতো স্থানীয় পর্যবেক্ষক অন্তর্ভুক্ত করার ওপরও জোর দেন এবং ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একমত হন যে ভুয়া তথ্য গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি। তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। এটি পরিকল্পিত, অর্থায়িত ও মুহূর্তেই উত্তেজনা তৈরি করে। সত্য প্রকাশ পেতে পেতে মানুষ আগেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলে।’
ফুসনার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ছবি জালিয়াতি ও জনমত প্রভাবিত করার ঝুঁকি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের পথে অগ্রসর হচ্ছে। এটি হবে অসংখ্য তরুণের জীবনের প্রথম ভোটের অভিজ্ঞতা। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ২৭ বছরের নিচে, তারা প্রথমবার ভোট দেবে। আমরা চাই তারা সন্তুষ্ট হোক। নির্বাচন হবে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।
জুলাই সনদকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে এতে সই করেছে। বাকিরাও শিগগিরই যোগ দেবে বলে আশা করছি। এটি আমাদের নির্বাচনের আরও এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
আইআরআই প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে অধ্যাপক ইউনূসের ভূমিকার প্রশংসা করে। এক প্রতিনিধি বলেন, আপনি রূপান্তরের এই সময়ে অসাধারণ কাজ করছেন। আরেকজন বলেন, আপনার নেতৃত্ব সত্যিই অনন্য ও প্রশংসনীয়।
আরআইআর প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সেন্টার ফর আ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির (সিএনএএস) ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো ও পরিচালক লিসা কার্টিস, আইআরআইয়ের গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াবিষয়ক কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আইআরআইয়ের রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি বর্তমানে নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। দেশের সব প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে আরআইআরের এই প্রতিনিধি দলের।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই বিচারক ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য পাঁচ হাজার নৌ সদস্যকে প্রস্তুত করা হয়েছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শওকত মাহমুদ বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানও।
৪ ঘণ্টা আগে
অভিযোগে বলা হয়েছে, বাড়ির দুপাশের রাস্তায় হাঁটার পথ বন্ধ করা, নান্দনিক ডেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ এবং খালসংলগ্ন এলাকায় অত্যাধুনিক ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সরকারের বিপুল অঙ্কের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব ব্যয়-সংক্রান্ত অনিয়ম ও সম্পদ অর্জনের উৎস খতিয়ে দেখছে দুদক।
৪ ঘণ্টা আগে