
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, সাংবাদিকতা এমন এক পেশা, যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই বললেই চলে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এই কথা উল্লেখ করেন।
ফেসবুকে পোস্টে আজাদ মজুমদার লিখেছেন, ‘ইদানীং দেখি, অনেক সাংবাদিক নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য সরকারি লোকজনের কাছে আর্জি জানান। এই বিষয়টা আমাদের জন্য বিব্রতকর। যাদের কলম ও কণ্ঠে প্রতিদিন মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের কথা উঠে আসে, তারাই যখন নিজেদের প্রাপ্যটুকুর জন্য অসহায় হয়ে পড়েন- সেটি আসলে সবার জন্যই হতাশার।’
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘সাংবাদিকতা এমন এক পেশা, যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই বললেই চলে। অধিকাংশের বেতনও অন্যান্য পেশার তুলনায় অনেক কম। কিন্তু সবচেয়ে বড় অবিচার ঘটে তখন, যখন কেউ বহু বছরের পরিশ্রম শেষে প্রতিষ্ঠান ছাড়েন- আর প্রাপ্য টাকা-পয়সা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যান।’
উপ-প্রেস সচিব লেখেন, ‘টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমের সাংবাদিকরা একেবারে খালি হাতে ফিরে যান। পত্রিকার ক্ষেত্রে যারা ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আছেন, তাদের পাওনাটা আইনসিদ্ধ- কিন্তু বাস্তবে সেটিও পেতে হয় অনেক টানাপোড়েনের মধ্যদিয়ে।’
আজাদ মজুমদার লেখেন, ‘এমন অনেক সাংবাদিককে দেখেছি, বছরের পর বছর মনপ্রাণ ঢেলে কাজ করেছেন; টানা মাসের পর মাস এমনকি সাপ্তাহিক ছুটিও নেননি। অর্জিত ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি- সবই ফেলে রেখেছেন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। ১৬ বছর চাকরি করলেও, যদি কেউ ছুটি না নেন, আইন অনুযায়ী তাকে মাত্র দুই মাসের অর্জিত ছুটির অর্থ দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাকি এক বছর দুই মাসের মতো সময় তিনি লিটারেলি বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেন!’
তিনি লেখেন, ‘আর যখন সেই দুই মাসের পাওনা চাইতে যান, তখন এমন আচরণ করা হয় যেন সাংবাদিকটিকে কোনো ‘দয়া’ করা হচ্ছে। শ্রম আইনে মামলা করার সুযোগ থাকলেও, সেটিও প্রায়ই মালিকদের পক্ষেই যায়। কারণ মামলা হলে রায় না হওয়া পর্যন্ত টাকা দিতে হয় না- আর বাংলাদেশের মামলার দীর্ঘসূত্রতা তো সবাই জানে। অনেক ক্ষেত্রে ১০ বছরেও রায় হয় না।’
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরও লেখেন, ‘এই অবস্থায় মালিক বা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোই হওয়ার কথা ছিল শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু বাস্তবে সেগুলোও আজ অনেকটাই নিরুত্তর। ইউনিয়ন নেতারা আসলে কী করেন কেউ জানে না।’

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, সাংবাদিকতা এমন এক পেশা, যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই বললেই চলে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এই কথা উল্লেখ করেন।
ফেসবুকে পোস্টে আজাদ মজুমদার লিখেছেন, ‘ইদানীং দেখি, অনেক সাংবাদিক নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য সরকারি লোকজনের কাছে আর্জি জানান। এই বিষয়টা আমাদের জন্য বিব্রতকর। যাদের কলম ও কণ্ঠে প্রতিদিন মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের কথা উঠে আসে, তারাই যখন নিজেদের প্রাপ্যটুকুর জন্য অসহায় হয়ে পড়েন- সেটি আসলে সবার জন্যই হতাশার।’
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘সাংবাদিকতা এমন এক পেশা, যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই বললেই চলে। অধিকাংশের বেতনও অন্যান্য পেশার তুলনায় অনেক কম। কিন্তু সবচেয়ে বড় অবিচার ঘটে তখন, যখন কেউ বহু বছরের পরিশ্রম শেষে প্রতিষ্ঠান ছাড়েন- আর প্রাপ্য টাকা-পয়সা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যান।’
উপ-প্রেস সচিব লেখেন, ‘টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমের সাংবাদিকরা একেবারে খালি হাতে ফিরে যান। পত্রিকার ক্ষেত্রে যারা ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আছেন, তাদের পাওনাটা আইনসিদ্ধ- কিন্তু বাস্তবে সেটিও পেতে হয় অনেক টানাপোড়েনের মধ্যদিয়ে।’
আজাদ মজুমদার লেখেন, ‘এমন অনেক সাংবাদিককে দেখেছি, বছরের পর বছর মনপ্রাণ ঢেলে কাজ করেছেন; টানা মাসের পর মাস এমনকি সাপ্তাহিক ছুটিও নেননি। অর্জিত ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি- সবই ফেলে রেখেছেন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। ১৬ বছর চাকরি করলেও, যদি কেউ ছুটি না নেন, আইন অনুযায়ী তাকে মাত্র দুই মাসের অর্জিত ছুটির অর্থ দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাকি এক বছর দুই মাসের মতো সময় তিনি লিটারেলি বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেন!’
তিনি লেখেন, ‘আর যখন সেই দুই মাসের পাওনা চাইতে যান, তখন এমন আচরণ করা হয় যেন সাংবাদিকটিকে কোনো ‘দয়া’ করা হচ্ছে। শ্রম আইনে মামলা করার সুযোগ থাকলেও, সেটিও প্রায়ই মালিকদের পক্ষেই যায়। কারণ মামলা হলে রায় না হওয়া পর্যন্ত টাকা দিতে হয় না- আর বাংলাদেশের মামলার দীর্ঘসূত্রতা তো সবাই জানে। অনেক ক্ষেত্রে ১০ বছরেও রায় হয় না।’
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরও লেখেন, ‘এই অবস্থায় মালিক বা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোই হওয়ার কথা ছিল শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু বাস্তবে সেগুলোও আজ অনেকটাই নিরুত্তর। ইউনিয়ন নেতারা আসলে কী করেন কেউ জানে না।’

শনিবার সন্ধ্যায় (৮ নভেম্বর) এসব পরিবারের সদস্যরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এসে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ করে এমন আশ্বাস দেন।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২১ নির্বাচন কর্মকর্তা ও দুজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় বদলি করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ বিকেলে তিনদফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের শাহবাগ অভিমুখী পদযাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বলেন, “শাহবাগে পুলিশের হামলায় বহু শিক্ষক আহত হয়েছেন। কলম সমর্পণ কর্মসূচি শেষে আমাদের শহীদ মিনারে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।”
১৯ ঘণ্টা আগে