৮ উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রত্যাখ্যান মন্ত্রিপরিষদ সচিবের

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৩০
ড. শেখ আব্দুর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

আট উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে করা এমন অভিযোগকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও জনআস্থার জন্য ক্ষতি হিসেবেও বিবেচনা করছে সরকার।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা বিবৃতিতে সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নজরে এসেছে যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবিএম আবদুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের শনাক্ত না করে ঢালাওভাবে অভিযোগ করা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনআস্থার জন্য ক্ষতিকর।

এতে আরো বলা হয়েছে, আমাদের প্রশাসন স্বচ্ছতা, সততা এবং জবাবদিহিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি আবদুস সাত্তারের কাছে কোনো অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকে, আমরা তাকে যথাযথ আইনগত ও তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তা দ্রুত জমা দেওয়ার আহ্বান জানাই। যতক্ষণ না এমন প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে, আমরা সকল অংশীজনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, জনপরিসরের আলোচনা অনুমান নয়, বরং তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া সমীচীন।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক সেমিনারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার দাবি করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন এই উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হয় না, বদলিও হয় না। তবে তিনি উপদেষ্টাদের নাম বলেননি।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচের এই কর্মকর্তা বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি।

আব্দুস সাত্তার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমলাদের চরিত্র না হয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারব। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না’। এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তারা ‘ঠিক ঠিক’ বলে হাততালি দেন।

সাবেক এই সচিব বলেন, কষ্ট লাগে একজন উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি প্রশ্ন করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতো একটি মন্ত্রণালয় নূরজাহান বেগম চালাতে পারেন? স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় একজন অনভিজ্ঞ উপদেষ্টা দিয়ে চালানো ঠিক হচ্ছে?

সাবেক এই সচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দুর্নীতি না কমে বরং আগের চেয়ে বেড়েছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি স্কুলের নামজারিতে ৩০ লাখ টাকা চেয়েছেন এবং ঢাকার আশপাশের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একটি কারখানার লে-আউট অনুমোদনের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেছেন।

সেমিনারে উপস্থিত সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, আব্দুস সাত্তার একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং তথ্যপ্রমাণ ছাড়া তিনি এমন কথা বলবেন না। তাঁর এই অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ওই আটজন উপদেষ্টাকে চিহ্নিত করা উচিত।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আন্দোলনের জেরে এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা হলেন চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী, পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল, এনবিআর; মো. মামুন মিয়া, যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-দিনাজপুর; মো. মেসবাহ উদ্দিন খান, যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-ফরিদপুর; সেহেলা সিদ্দিকা, অতিরিক্ত কর কমিশনার, আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট

১৪ ঘণ্টা আগে

২০০০ কোটি টাকা দেনা রেখে ৯৩৭ কোটির রেকর্ড মুনাফা দেখালো বিমান

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, গত জুনের হিসাব অনুযায়ী, তারা জেট ফুয়েল বিক্রি বাবদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে প্রায় ২১০০ কোটি টাকা পাবে। জুলাইয়ে কিছু বকেয়া পরিশোধ করেছে বিমান। তারপরও বকেয়ার পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকার বেশি হবে। দেনার এ অর্থ পরিশোধ না করেই মুনাফা ঘোষণা করেছ

১৪ ঘণ্টা আগে

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব হলেন রেহেনা পারভীন

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার পর এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিলম্বের ঘটনায় আলোচিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে ২২ জুলাই প্রত্যাহার করা হয়। ২৩ জুলাই তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

১৪ ঘণ্টা আগে

ডাকসু নির্বাচন: কেন্দ্রীয় ও হলে প্রার্থী ১৭৯১

তথ্য অনুযায়ী, সোমবার কেন্দ্রে ৪৪২ জন মনোনয়ন নিয়েছেন। এছাড়াও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৭১, ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ হলে ৯৭, জগন্নাথ হলে ৬৬, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৭৮, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৯৩, রোকেয়া হলে ৪৬, মাস্টার দা সূর্যসেন হলে ৯০, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৭৪, শামসুন্নাহার হলে ৩৭, কবি জসীম উদ্দিন হলে ৭৪

১৫ ঘণ্টা আগে