সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি: পুলিশ

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৫৯

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চার পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হলেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জের ধরে কোনো সংখ্যালঘু নাগরিককে হত্যার তথ্য অস্বীকার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি বলছে, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বা আর্থিক লেনদেনের দ্বন্দ্ব থেকে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ঘটনাগুলোতে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এর আগে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ২৭ জন সংখ্যালঘু নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ১১ মাসে দুই হাজার ৪৪২টি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, নিহত ২৭ জনের মৃত্যুর পেছনে সাম্প্রদায়িক কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এসব ঘটনায় ২২টি হত্যা ও পাঁচটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্তে অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যক্তিগত বিরোধ, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আর্থিক লেনদেন বা ডাকাতির মতো অপরাধমূলক কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে।

এ পর্যন্ত এসব মামলায় ৪৮ জন গ্রেপ্তার ও ১৫ জনের আদালতে আত্মসমর্পণের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। সংস্থাটি বলছে, ১৮ জন আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, কোনো ঘটনাই সাম্প্রদায়িক ঘৃণা বা বিদ্বেষ থেকে ঘটেনি।

যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে উল্লিখিত ২০টি ঘটনার মধ্যে ১৬টিতে মামলা হয়েছে এবং ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিগুলোর তদন্ত চলছে। পুলিশের ভাষ্য, কয়েকটি ঘটনায় পারিবারিক দ্বন্দ্ব বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক জড়িত রয়েছে।

২০২৪ সালের ৪ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত দুই হাজার ১০টি সহিংসতার মধ্যে এক হাজার ৭৬৯টিকে ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও পুলিশ যাচাই করে ৫৬টি জেলার এক হাজার ৪৫৭টি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। এর মধ্যে ৬২টি ঘটনায় মামলা ও ৯৫১টি ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক বিরোধের প্রভাব পাওয়া গেছে।

পূজা মণ্ডপ, মন্দির, প্রতিমা ভাঙচুর ও জমি দখলের মতো ৬০টি অভিযোগের মধ্যে পুলিশ ২০টি চুরি, ২৪টি ভাঙচুর ও চারটি অগ্নিসংযোগের তথ্য পেয়েছে। এসব ঘটনায় ৩২টি মামলা ও ৯টি জিডি হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ১৫ জন এবং ১০ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।

পুলিশ জানায়, কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা মেলেনি, আবার কিছু ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে।

একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায় রাজধানীর খিলক্ষেতে একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ উচ্ছেদ করা হয় রেলওয়ের জমিতে অবৈধ দখলের অভিযোগে। পুলিশ জানিয়েছে, এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয় আইনি প্রক্রিয়ায়, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে। এ ছাড়া বগুড়ার একটি শ্মশানঘাটে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশাসন নিজ উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ কাজ শেষ করেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সংগঠনটির পাঠানো অন্যান্য অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং যাচাই শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত স্থাপনার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

বুধবার কিছুটা কমবে বৃষ্টি

সংস্থাটি বলছে, দিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে তাড়াশে ১৪৫ মিলিমিটার। এ ছাড়া বগুড়া, রাজশাহী, মাদারীপুর ও যশোরেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪১ মিলিমিটার।

৫ ঘণ্টা আগে

৩ মাসের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন চেয়ে নোটিশ

সরকারি উন্নয়নের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই তাদের অনুপস্থিতিতে দেশের স্থানীয় জনগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব পদ ১১ মাস ধরে খালি রয়েছে। অথচ পদ খালি হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে বাধ্য।

৫ ঘণ্টা আগে

বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালতে কিল-ঘুষি, ডিম নিক্ষেপ

সিএমএম আদালতের গেটে পৌঁছা মাত্রই তার ওপর ডিম নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে তাকে দ্রুত সিএমএম আদালতের তৃতীয় তলায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালতে নেওয়া হয়। পথে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা ভুক্তভোগীরা তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। আদালতকক্ষে ঢোকার সময়ও তার ওপর হামলা চালানো হয়, অকথ্য ভাষায়

৬ ঘণ্টা আগে

সমাবেশ সফল করতে জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ ৫ সিদ্ধান্ত

সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমীর মো. সেলিম উদ্দিন, ইসলামিক দাওয়াহ সার্কেল মালয়েশিয়ার সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর, মহানগর পর্যায়ের নেতৃব

৬ ঘণ্টা আগে