সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়: আইএসপিআর

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ২১: ৫৩
রাত ৮টা থেকে কারফিউ বলবৎ হবে গোপালগঞ্জে। ছবি: ফোকাস বাংলা

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষা করতে গিয়ে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে দিনভর ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় আইএসপিআর গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী হামলাকারীদের মাইকে বারবার ঘোষণা দিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা সেনাবাহিনীর ওপর বিপুলসংখ্যক ককটেল ও ইট-পাটকেল ছুড়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। পরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

গোপালগঞ্জ ইস্যুতে গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বানও জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জ জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আহ্বান করা জনসমাবেশ ঘিরে এলাকার একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা সংঘবদ্ধভাবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

সমাবেশ চলাকালে মঞ্চে ফের হামলা চালানো হয় এবং একই সঙ্গে কারাগারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের খুলনায় স্থানান্তর করা হয়। সর্বোপরি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেশাদারি ও ধৈর্যের সঙ্গে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও প্রশাসনের জারি করা কারফিউ চলমান রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

গতকাল বুধবার সকাল থেকে চলমান এই রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলায়, গোপালগঞ্জ জেলার জনসাধারণও অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে নিজেদের নিবৃত্ত রেখে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় সরকার। দিনভর সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

গোপালগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জের ঘটনায় যারা অন্যায় করেছে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

১৪ ঘণ্টা আগে

প্রশাসনের অনুষ্ঠানে উপেক্ষিত ‘জুলাই শহীদ’ হৃদয়ের পরিবার

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ‘জুলাই বিপ্লবে’ পুলিশের গুলিতে নিহত কলেজছাত্র হৃদয়ের পরিবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় জেলাজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

১৫ ঘণ্টা আগে

সুপার মার্কেটের আগুনে ইরাকে ৫০ জনের মৃত্যু

ইরাকের একটি শপিংমলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১৬ ঘণ্টা আগে

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ১৪

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

১৬ ঘণ্টা আগে