ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে তুলসী পাতাকে বলা হয় "জীবন্ত ওষুধের ভাণ্ডার"। হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছকে দেবী রূপে পূজা করা হয়। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠোনে বা বারান্দায় একটি তুলসী গাছ থাকাটাই একসময় ছিল চিরাচরিত দৃশ্য। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাস ছাড়াও তুলসী পাতার রয়েছে অনেক বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত উপকারিতা, আবার কিছু অপকারিতাও আছে যা জানা খুবই জরুরি।
তুলসী পাতার উপকারিতা
তুলসী পাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের গবেষক ডঃ লরা মারগোলিস বলেন, “তুলসী পাতা শরীরের কোষগুলোর প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং নানা রকম জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।”
তুলসী পাতায় আছে অ্যাডাপ্টোজেন নামক একটি উপাদান, যা শরীরকে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। ব্রিটেনের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষক ডঃ রিচার্ড বেনেডিক্ট বলেন, “তুলসী পাতায় থাকা প্রাকৃতিক রাসায়নিক পদার্থ কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা স্ট্রেস কমাতে কার্যকর।”
তুলসী পাতার রস রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, তুলসী পাতা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে, কারণ এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
তুলসী পাতায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এটি কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের কার্ডিওলজিস্ট ডঃ মেলিসা হার্স বলেন, “তুলসী পাতা রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।”
তুলসী পাতার চা কাশি, ঠান্ডা, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা রোগে উপশম দিতে পারে। তুলসী পাতায় থাকা ইউজেনল নামক তেল শ্বাসনালীকে শিথিল করে। কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিক্যাল গবেষক ডঃ স্যামুয়েল হোয়াইট বলেন, “তুলসীর ইউজেনল তেল শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে।”
তুলসী পাতার অ্যান্টিসেপটিক গুণ ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি ও চুলকানি দূর করে। চুল পড়া রোধেও এটি কার্যকর। অনেক হেয়ার কেয়ার ও স্কিন কেয়ার পণ্যে তুলসী পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
তুলসী পাতার অপকারিতা
তুলসী পাতা যতই উপকারী হোক, এটি সবসময় এবং সবার জন্য নিরাপদ নয়। কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
তুলসী পাতা ইউটেরাস সংকোচনে ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে গর্ভবতীদের জন্য অতিরিক্ত তুলসী খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আমেরিকান কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস-এর চিকিৎসক ডঃ ন্যান্সি রোজেন বলেন, “গর্ভাবস্থায় তুলসী সেবনে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়তে পারে, যদিও এটি প্রমাণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।”
তুলসী পাতায় কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা রক্তকে পাতলা করতে পারে। যারা ইতিমধ্যে ব্লাড থিনার ওষুধ নিচ্ছেন, তাঁদের জন্য তুলসী পাতা অতিরিক্ত রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কিছু গবেষণায় ইঁদুরের উপর দেখা গেছে, তুলসী পাতা পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান কিছুটা কমাতে পারে। যদিও এটি মানবদেহে প্রমাণিত নয়, তবে গবেষকরা এই দিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন।
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ যারা খান, তাঁদের জন্য তুলসী পাতা অতিরিক্ত খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপোটেনশনের আশঙ্কা থাকে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তুলসী সেবন করা উচিত নয়।
তুলসী পাতা প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। এটি বহু রোগ প্রতিরোধে এবং দৈনন্দিন স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়ক। তবে সব ভেষজ উপাদানের মতোই তুলসী পাতা খাওয়ার আগে জানতে হবে নিজের শারীরিক অবস্থা এবং প্রয়োজন। বিদেশি গবেষকদের ভাষায়ও তুলসী একদিকে যেমন শক্তিশালী প্রাকৃতিক ওষুধ, অন্যদিকে অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে হতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উৎস। তাই তুলসী খেতে হবে সচেতনভাবে, পরিমিত পরিমাণে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
সূত্র: বিবিসি
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে তুলসী পাতাকে বলা হয় "জীবন্ত ওষুধের ভাণ্ডার"। হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছকে দেবী রূপে পূজা করা হয়। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠোনে বা বারান্দায় একটি তুলসী গাছ থাকাটাই একসময় ছিল চিরাচরিত দৃশ্য। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাস ছাড়াও তুলসী পাতার রয়েছে অনেক বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত উপকারিতা, আবার কিছু অপকারিতাও আছে যা জানা খুবই জরুরি।
তুলসী পাতার উপকারিতা
তুলসী পাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের গবেষক ডঃ লরা মারগোলিস বলেন, “তুলসী পাতা শরীরের কোষগুলোর প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং নানা রকম জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।”
তুলসী পাতায় আছে অ্যাডাপ্টোজেন নামক একটি উপাদান, যা শরীরকে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। ব্রিটেনের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষক ডঃ রিচার্ড বেনেডিক্ট বলেন, “তুলসী পাতায় থাকা প্রাকৃতিক রাসায়নিক পদার্থ কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা স্ট্রেস কমাতে কার্যকর।”
তুলসী পাতার রস রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, তুলসী পাতা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে, কারণ এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
তুলসী পাতায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এটি কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের কার্ডিওলজিস্ট ডঃ মেলিসা হার্স বলেন, “তুলসী পাতা রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।”
তুলসী পাতার চা কাশি, ঠান্ডা, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা রোগে উপশম দিতে পারে। তুলসী পাতায় থাকা ইউজেনল নামক তেল শ্বাসনালীকে শিথিল করে। কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিক্যাল গবেষক ডঃ স্যামুয়েল হোয়াইট বলেন, “তুলসীর ইউজেনল তেল শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে।”
তুলসী পাতার অ্যান্টিসেপটিক গুণ ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি ও চুলকানি দূর করে। চুল পড়া রোধেও এটি কার্যকর। অনেক হেয়ার কেয়ার ও স্কিন কেয়ার পণ্যে তুলসী পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
তুলসী পাতার অপকারিতা
তুলসী পাতা যতই উপকারী হোক, এটি সবসময় এবং সবার জন্য নিরাপদ নয়। কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
তুলসী পাতা ইউটেরাস সংকোচনে ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে গর্ভবতীদের জন্য অতিরিক্ত তুলসী খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আমেরিকান কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস-এর চিকিৎসক ডঃ ন্যান্সি রোজেন বলেন, “গর্ভাবস্থায় তুলসী সেবনে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়তে পারে, যদিও এটি প্রমাণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।”
তুলসী পাতায় কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা রক্তকে পাতলা করতে পারে। যারা ইতিমধ্যে ব্লাড থিনার ওষুধ নিচ্ছেন, তাঁদের জন্য তুলসী পাতা অতিরিক্ত রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কিছু গবেষণায় ইঁদুরের উপর দেখা গেছে, তুলসী পাতা পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান কিছুটা কমাতে পারে। যদিও এটি মানবদেহে প্রমাণিত নয়, তবে গবেষকরা এই দিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন।
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ যারা খান, তাঁদের জন্য তুলসী পাতা অতিরিক্ত খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপোটেনশনের আশঙ্কা থাকে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তুলসী সেবন করা উচিত নয়।
তুলসী পাতা প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। এটি বহু রোগ প্রতিরোধে এবং দৈনন্দিন স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়ক। তবে সব ভেষজ উপাদানের মতোই তুলসী পাতা খাওয়ার আগে জানতে হবে নিজের শারীরিক অবস্থা এবং প্রয়োজন। বিদেশি গবেষকদের ভাষায়ও তুলসী একদিকে যেমন শক্তিশালী প্রাকৃতিক ওষুধ, অন্যদিকে অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে হতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উৎস। তাই তুলসী খেতে হবে সচেতনভাবে, পরিমিত পরিমাণে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
সূত্র: বিবিসি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচন এখন রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেই বেরোবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলা একাডেমির একজন কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে ফেব্রুয়ারি তো বটেই, জানুয়ারি মাসেও বইমেলা আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আবার রমজান শেষ হতে হতে মার্চের শেষভাগ চলে আসবে। তখন মেলা নিয়ে যেতে হবে এপ্রিলে, যখন আবার থাকবে গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপ।
১২ ঘণ্টা আগেদেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে। এ দুই ধরনের আদালত এখন থেকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে কাজ করবে। এর ফলে মামলার সময় বাঁচবে এবং নিষ্পত্তি হওয়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করছে সরকার।
১৩ ঘণ্টা আগেসারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৬৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে