
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে আপিলের চতুর্থ দিনে শুনানি শেষ করেছে জামায়াতে ইসলামী। শুনানি শেষে দলটির আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরলেও আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই হবে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে চতুর্থ দিনের শুনানি হয়।
এ দিন শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি অনন্য। তবে রাজনৈতিক নেতাদের দূরদর্শিতার অভাবে এই সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
এর আগে তৃতীয় দিনের শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, যে প্রক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল পরিকল্পিত।
গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেন সর্বোচ্চ আদালত। দেওয়া হয় আপিলের অনুমতি।
এরপর সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন নাগরিক এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
গত ২১ অক্টোবর এই আপিলের শুনানি শুরু হয়। পরদিন দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
ওই রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর এক সপ্তাহ পরই আরেকটি আবেদন করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর আরও একটি আবেদন করেন। আপিল বিভাগ এসব আবেদন মঞ্জুর করলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানো নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানি শুরু করেছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে আপিলের চতুর্থ দিনে শুনানি শেষ করেছে জামায়াতে ইসলামী। শুনানি শেষে দলটির আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরলেও আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই হবে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে চতুর্থ দিনের শুনানি হয়।
এ দিন শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি অনন্য। তবে রাজনৈতিক নেতাদের দূরদর্শিতার অভাবে এই সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
এর আগে তৃতীয় দিনের শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, যে প্রক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল পরিকল্পিত।
গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেন সর্বোচ্চ আদালত। দেওয়া হয় আপিলের অনুমতি।
এরপর সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন নাগরিক এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
গত ২১ অক্টোবর এই আপিলের শুনানি শুরু হয়। পরদিন দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
ওই রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর এক সপ্তাহ পরই আরেকটি আবেদন করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর আরও একটি আবেদন করেন। আপিল বিভাগ এসব আবেদন মঞ্জুর করলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানো নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানি শুরু করেছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯১২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৩০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩১ জন, খুলনা বিভাগে ৭২ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে
২ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবেন, এ ধরনের প্রত্যাশা আমরা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে
৩ ঘণ্টা আগে
প্রসঙ্গত, ভারতের দিল্লিতে লাল কেল্লার সামনে গাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম এ হামলার সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল ১-১১ নভেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ ছাড়া গত দুই দিনে রাজধানীতে ৯টি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। এতে ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭টি মামলা করা হয়েছে। গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগ
৪ ঘণ্টা আগে