
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

দীর্ঘ দিনের যুগপৎ আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার জন্য আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু খেলাপি ঋণের দায়ে এ নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ হয়ে পড়ছেন তিনি। উচ্চ আদালত তার এ সংক্রান্ত রিট খারিজ করে দিয়েছেন।
ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মাহমুদুর রহমান মান্নার রিট করেছিলেন হাইকোর্টে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সে রিট খারিজ করে দেন।
বিধি অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি ঋণখেলাপি হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। আইনজীবীরাও বলছেন, উচ্চ আদালত রিট খারিজ করে দেওয়ায় মান্না আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আদালতে মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান।
পরে শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ চেয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না রিট করেছিলেন। আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তবে মান্নার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হাইকোর্টের রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব।
এর আগে বুধবার বিএনপি তাদের দীর্ঘ দিনের যুগপৎ আন্দোলনে সঙ্গী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্য আটটি আসনে ছাড় দেওয়ার কথা জানায়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসনে নির্বাচন করবেন। এ আসনে তাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থী দেবে না বিএনপি।
গত ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের কাছে খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা। মান্না ও তার দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো এই নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। শাখা প্রধান তৌহিদ রেজার সই করা নোটিশটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানায় পাঠানো হয়।
জানা গেছে, আফাকু কোল্ড স্টোরেজের মালিকানায় মান্না ৫০ শতাংশ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ২৫ শতাংশ এবং তার স্ত্রী ও পরিচালক ইসমত আরা লাইজু ২৫ শতাংশ অংশীদার। গত ৩ ডিসেম্বর পাঠানো নোটিশে বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কাছে খেলাপি বিনিয়োগ বাবদ মোট ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ব্যাংকের নোটিশে বলা হয়, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ করেনি। ফলে বকেয়া বেড়ে বর্তমান এই পরিমাণে দাঁড়িয়েছে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কোনো অগ্রগতি না থাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা হিসেবে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ না করলে ব্যাংক আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

দীর্ঘ দিনের যুগপৎ আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার জন্য আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু খেলাপি ঋণের দায়ে এ নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ হয়ে পড়ছেন তিনি। উচ্চ আদালত তার এ সংক্রান্ত রিট খারিজ করে দিয়েছেন।
ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মাহমুদুর রহমান মান্নার রিট করেছিলেন হাইকোর্টে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সে রিট খারিজ করে দেন।
বিধি অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি ঋণখেলাপি হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। আইনজীবীরাও বলছেন, উচ্চ আদালত রিট খারিজ করে দেওয়ায় মান্না আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আদালতে মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান।
পরে শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ চেয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না রিট করেছিলেন। আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তবে মান্নার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হাইকোর্টের রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব।
এর আগে বুধবার বিএনপি তাদের দীর্ঘ দিনের যুগপৎ আন্দোলনে সঙ্গী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্য আটটি আসনে ছাড় দেওয়ার কথা জানায়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসনে নির্বাচন করবেন। এ আসনে তাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থী দেবে না বিএনপি।
গত ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের কাছে খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা। মান্না ও তার দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো এই নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। শাখা প্রধান তৌহিদ রেজার সই করা নোটিশটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানায় পাঠানো হয়।
জানা গেছে, আফাকু কোল্ড স্টোরেজের মালিকানায় মান্না ৫০ শতাংশ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ২৫ শতাংশ এবং তার স্ত্রী ও পরিচালক ইসমত আরা লাইজু ২৫ শতাংশ অংশীদার। গত ৩ ডিসেম্বর পাঠানো নোটিশে বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কাছে খেলাপি বিনিয়োগ বাবদ মোট ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ব্যাংকের নোটিশে বলা হয়, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ করেনি। ফলে বকেয়া বেড়ে বর্তমান এই পরিমাণে দাঁড়িয়েছে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কোনো অগ্রগতি না থাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা হিসেবে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ না করলে ব্যাংক আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে ডিটেনশনের আদেশ জারি করা হয়। উপসচিব আবেদা আফসারীর সই করা আদেশে বলা হয়েছে, আটকাদেশ জারির তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগে
এই বিধান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি সরকারি যানবাহন, অফিস বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করার ওপরও পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে