মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপটে কমছে না ইন্টারনেটের দাম

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

অতিমাত্রায় দালাল ও কমিশনখোরদের নেটওয়ার্কের (মধ্যস্বত্বভোগী) দাপট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় ইন্টারনেটের দাম প্রত্যাশা অনুযায়ী কমানো যাচ্ছে না। শনিবার সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি বিভাগের এক বার্তায় এ কথা বলা হয় ৷

ইন্টারনেট পরিষেবা বিস্তৃতিতে সরকারকে এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হচ্ছে বলে জানায় এ মন্ত্রণালয়।

সরকার দাবি করেছে, পুরানো লাইসেন্স নীতি অ্যাকসেস টু ইন্টারনেট, এক্সেস টু ডিভাইস এবং এক্সেস টু ফাইবার- এই তিনের কোনোটাই নিশ্চিত করতে পারেনি। তাই বাংলাদেশের ঘরে ঘরে, ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ফাইবার পৌঁছেনি, মোবাইল টাওয়ারে ফাইবার (২২ শতাংশ মাত্র) সেভাবে পৌঁছেনি। যেহেতু ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ হয়নি, তাই ডেটা ব্যবহারের ভলিউম ভারতের তুলনায় পার ক্যাপিটা হিসেবে ৫০ ভাগের এক ভাগেই রয়ে গেছে।

এক দিকে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) এবং ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জের আবেদন শেষ হয়ে গেছে। অর্থাৎ, নতুন কোনো কোম্পানি এই লাইসেন্স পেতে পারবে না এবং এই লাইসেন্সে ব্যবহৃত সুইচ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির বয়সও শেষের দিকে। যন্ত্রপাতিগুলো পুরনো হয়ে গেছে৷ তাই এগুলো খুব তাড়াতাড়ি প্রতিস্থাপন করবে আইসিটি বিভাগ।

সরকারের বার্তায় বলা হয়, পুরানো লাইসেন্স পলিসিতে টেলিযোগাযোগ এখনও কানেকশনে থেকে গেছে। এই ইন্ডাস্ট্রিকে কানেকশন থেকে ডিজিটাল সার্ভিস বেইজে রূপান্তর করতে হবে। এখনো টেলিকমের প্রোডাক্ট মোবাইল ফোনের বান্ডেল এবং আইএসপির প্যাকেজনির্ভর। কিন্তু এখানে এডটেক, হেলথটেক, এগ্রিটেক, ফিনটেক, লজিস্টিক্স টেকসহ অপরাপর স্টার্টআপভিত্তিক ডিজিটাল সেবা পণ্য আসেনি।

নিরাপদ ইন্টারনেট কেন নিশ্চিত করা যায়নি তার ব্যাখ্যাও আছে এই বার্তায়। এতে বলা হয়, আইএসপি কিংবা মোবাইল ইন্টারনেট, এনটিটিএন কিংবা আইআইজি কোথাও কোয়ালিটি অফ সার্ভিস (QoS) ভিত্তিক ইন্টারনেটসেবা এবং ডিজিটালসেবার সূচনা হয়নি। বাংলাদেশে এখনও নিরাপদ ইন্টারনেটের ধারণা আসেনি। অধিকাংশ আইএসপি এবং মোবাইল ফোন অপারেটরের ইন্টারনেটসেবা অনিরাপদ। এখানে কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা সফটওয়্যার- যেমন হার্ডওয়্যার সিকিউরিটি মডিউল, প্যাম, ফায়ারওয়াল- কিছুই নেই। তাই ইন্টারনেট ব্যবসা এগিয়েছে অনিরাপদভাবে।

সরকার বলছে, ডিজিটাল ইকোনোমি উন্নয়নের জন্য ২৬ ধরনের জটিল লাইসেন্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছুর জন্য একক লাইসেন্স দেওয়া হয়নি, কারণ দেশীয় বাস্তবতা এবং মনোপলি বিষয়গুলো মাথায় রাখা হয়েছে। তবুও নতুন টেলিকম লাইসেন্সের চার স্তর খাতের প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং প্রতিটি স্তরের কোম্পানির কাজের সুযোগ আরও বেড়ে যাবে।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে চলতে চায়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

তৌ‌হিদ হো‌সেন ব‌লেন, বাংলাদেশ নিজেকে একটি সক্রিয়, সার্বভৌম ও দায়িত্বশীল প্লেয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। বাংলাদেশ নিষ্ক্রিয় করিডোর নয়, আত্মবিশ্বাসী হিসেবে চলতে চায়। আমরা দৃঢ়ভাবে জড়িত থাকব। প্রয়োজনে দৃঢ়ভাবে কথা বলব এবং জাতীয় স্বার্থ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর রেখে সর্বদা উৎপাদনশীল অংশীদা

৩ ঘণ্টা আগে

একইদিনে গণভোট করতে ইসিকে সরকারের চিঠি

ইসি সচিব বলেন, সরকার চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, গণভোট করা ইসির দায়িত্ব। এক্ষেত্রে একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার জন্য বলা হয়েছে।

৩ ঘণ্টা আগে

জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলেনি: প্রধান বিচারপতি

জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলে নি বরং এটি সংবিধানের প্রতি আমাদের আনুগত্য ও দায়িত্ববোধকে শুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল। ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং অতীতের কাটাছেড়ার পরও বর্তমান সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

৬ ঘণ্টা আগে

‘নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসছেন’

তিনি আরও জানান, এই নির্বাচনের সাক্ষী হতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

৭ ঘণ্টা আগে