রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বিধিবর্হিভূতভাবে ছয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের ক্ষমার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে তার বেতন গ্রেডের ধাপে নিম্ন অবনতিকরণ লঘুদণ্ড বহাল থাকলো। গত ৩১ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শৃঙ্খলা বিষয়ক শাখার সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে ওএসডি হয়ে থাকা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ছয়জন কর্মকর্তাকে বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতির আদেশ প্রদান ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের জন্য নির্ধারিত তারিখ অবহিত থাকা সত্ত্বেও তদন্তে অনুপস্থিত থেকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় একই বিধিমালার বিধি ৪(২)(ঘ) বিধি মোতাবেক ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই প্রজ্ঞাপনমূলে ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকর’ সূচক লঘুদণ্ড প্রদান করা হয়। এরপর তিনি উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ মার্জনা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বরাবর পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি পুর্নবিবেচনার আবেদন না মঞ্জুর করে পূর্বের দণ্ড বহাল রেখেছেন। কাজেই ড. মোহা, মোকবুল হোসেনের ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ সূচক লঘুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখা হলো।
এ বিষয়ে ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্তে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতিতে অনিয়ম ধরা পড়ে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের আলাদা দুই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সরেজমিনে এ বিষয়ে তদন্ত করে।
২০২২ জানুয়ারিতে এ কমিটি দুদক ও মাউশিতে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ওই ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পর পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও অধ্যাপক মো. মোকবুল হোসেনের নিজ নিজ আমলে পদোন্নতির এসব অনিয়ম ঘটে। দুদফায় ১৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে নানা অনিয়ম করেছেন তারা। সিলেকশন কমিটিও নিয়ম না মেনে তাদের পদোন্নতির সুপারিশ করেছিল। প্রথমে ২০১৭ সালে ৯ জন সপ্তম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পান। এদের পদোন্নতি দিতে সিলেকশন কমিটি ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে ৪৮ জন কর্মকর্তার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। কমিটির সভাপতি ছিলেন বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ৪৮ জনের মধ্যে কমিটি ৯ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করলে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। শুধু মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ৯ জনের পদোন্নতির তালিকাটি করা হয়। ওই মেধাতালিকা থেকে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন আরও ৬ জনকে পঞ্চম গ্রেডে পদোন্নতি দেন। প্রথমে বিতর্কিত ওই মেধাতালিকার ১ থেকে ৯ নম্বর ক্রমিকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হলেও দ্বিতীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ ক্রমিক অনুসরণ করা হয়নি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চূড়ান্তভাবে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন অধ্যাপক মোকবুল হোসেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বিধিবর্হিভূতভাবে ছয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের ক্ষমার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে তার বেতন গ্রেডের ধাপে নিম্ন অবনতিকরণ লঘুদণ্ড বহাল থাকলো। গত ৩১ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শৃঙ্খলা বিষয়ক শাখার সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে ওএসডি হয়ে থাকা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ছয়জন কর্মকর্তাকে বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতির আদেশ প্রদান ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের জন্য নির্ধারিত তারিখ অবহিত থাকা সত্ত্বেও তদন্তে অনুপস্থিত থেকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় একই বিধিমালার বিধি ৪(২)(ঘ) বিধি মোতাবেক ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই প্রজ্ঞাপনমূলে ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকর’ সূচক লঘুদণ্ড প্রদান করা হয়। এরপর তিনি উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ মার্জনা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বরাবর পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি পুর্নবিবেচনার আবেদন না মঞ্জুর করে পূর্বের দণ্ড বহাল রেখেছেন। কাজেই ড. মোহা, মোকবুল হোসেনের ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ সূচক লঘুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখা হলো।
এ বিষয়ে ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্তে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতিতে অনিয়ম ধরা পড়ে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের আলাদা দুই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সরেজমিনে এ বিষয়ে তদন্ত করে।
২০২২ জানুয়ারিতে এ কমিটি দুদক ও মাউশিতে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ওই ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পর পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও অধ্যাপক মো. মোকবুল হোসেনের নিজ নিজ আমলে পদোন্নতির এসব অনিয়ম ঘটে। দুদফায় ১৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে নানা অনিয়ম করেছেন তারা। সিলেকশন কমিটিও নিয়ম না মেনে তাদের পদোন্নতির সুপারিশ করেছিল। প্রথমে ২০১৭ সালে ৯ জন সপ্তম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পান। এদের পদোন্নতি দিতে সিলেকশন কমিটি ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে ৪৮ জন কর্মকর্তার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। কমিটির সভাপতি ছিলেন বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ৪৮ জনের মধ্যে কমিটি ৯ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করলে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। শুধু মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ৯ জনের পদোন্নতির তালিকাটি করা হয়। ওই মেধাতালিকা থেকে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন আরও ৬ জনকে পঞ্চম গ্রেডে পদোন্নতি দেন। প্রথমে বিতর্কিত ওই মেধাতালিকার ১ থেকে ৯ নম্বর ক্রমিকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হলেও দ্বিতীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ ক্রমিক অনুসরণ করা হয়নি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চূড়ান্তভাবে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন অধ্যাপক মোকবুল হোসেন।
ঢাবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর এ তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থান পেয়েছিলেন ১০ জন। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫-এ। গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্স, কনসিস্টেন্সি ও সহলেখকদের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণ
৯ ঘণ্টা আগেঢাবি শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শতভাগ মেধাভিত্তিক হতে হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের স্বজনদের জন্য চালু করা সব ধরনের পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে আবারও কোনো আইওয়াশ করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
৯ ঘণ্টা আগেফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা করে কেন নতুন আসন গঠন করা হবে না— তা জানতে নির্বাচন কমিশনকে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বর্তমানে ফরিদপুর-৪ আসনের আওতাধীন রয়েছে ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা।
১৩ ঘণ্টা আগেতবে নিবন্ধন পেতে যাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নাম এখনই প্রকাশ করছে না ইসি। কমিশনের বৈঠকে চূড়ান্ত হওয়ার পর রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১৩ ঘণ্টা আগে