
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

সাপের নাম শুনলেই আমাদের অনেকের গা ছমছম করে ওঠে। বিশেষ করে যদি বলা হয় ‘কালনাগিনী’! সিনেমা-নাটক বা পুরান কাহিনিতে কালনাগিনীকে এমনভাবে দেখানো হয়, যেন সে অতিপ্রাকৃত শক্তির অধিকারী, চোখের দৃষ্টিতে মানুষ মেরে ফেলতে পারে! বাস্তবে কি সত্যিই এমন ভয়ংকর এই সাপটি?
চলুন, আজ আমরা কালনাগিনী সাপকে নিয়ে ছড়িয়ে থাকা ভ্রান্ত ধারণা ভাঙি এবং বিজ্ঞানের আলোয় জেনে নিই এর প্রকৃত রূপ।
কালনাগিনী মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় পাওয়া যায়, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ এবং আশেপাশের কয়েকটি দেশে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Boiga forsteni। এটি একটি বিষধর সাপ হলেও, তার বিষের শক্তি তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, এটি এমন কোনো সাপ নয় যার কামড়ে সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের প্রাণ হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
এই সাপটি মাঝারি আকারের হয় এবং এর গায়ের রং গাঢ়, কিছুটা কালচে হওয়ায় একে ‘কালনাগিনী’ বলা হয়। এটি রাতে বেশি সক্রিয় থাকে এবং সাধারণত ছোট প্রাণী যেমন টিকটিকি, ব্যাঙ, ছোট সাপ ইত্যাদি খেয়ে থাকে।
বিষ কতটা মারাত্মক?
বিজ্ঞান বলছে, কালনাগিনীর বিষ মৃদু নিউরোটক্সিক ধরনের। অর্থাৎ এই বিষ স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। তবে মানুষের শরীরে এটি খুব একটা তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। ছোট প্রাণীদের জন্য এ বিষ কার্যকর হলেও, মানুষের শরীরে এর পরিমাণ ও শক্তি—দু'টোই এতটাই কম যে, সাধারণত এটা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে না।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. রোমান উইটলেস জানিয়েছেন, “কালনাগিনী সাধারণত বিষাক্ত হলেও এটি মানুষ মারার জন্য যথেষ্ট নয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে কোনো বড় ক্ষতি হয় না।”
কামড়ালে কী হতে পারে?
যদি কাউকে কালনাগিনী কামড়ায়, তাহলে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন—
কামড়ের জায়গায় ব্যথা বা ফোলাভাব
মাথা ঘোরা বা শরীরে ঝিমঝিম ভাব
অল্প মাত্রায় স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া
কিছু মানুষের শরীরে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে, আবার ক্ষতস্থানে জীবাণু সংক্রমণ হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তবে এসবই বিরল ঘটনা, এবং দ্রুত চিকিৎসা পেলে কোনো বড় সমস্যা হয় না।
কালনাগিনী মানুষকে আক্রমণ করে?
এই ধারণাটা অনেকটাই ভুল। কালনাগিনী সাধারণত লাজুক প্রকৃতির এবং মানুষের কাছাকাছি আসলে নিজেই পালিয়ে যেতে চায়। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব হেরপেটোলজির গবেষক রাজীব মেননের মতে, “কালনাগিনীর কামড় অত্যন্ত বিরল, এবং এটি মানুষকে দেখে ভয় পেলেই পালায়—আক্রমণ করে না।”
কামড়ালে কী করবেন?
প্রথম কথা হলো আতঙ্কিত না হওয়া। ভয় পেলে শরীরের রক্তসঞ্চালন দ্রুত হয়, এতে বিষ শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই—
কামড়ের জায়গা পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন
দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যান
ভুলেও কোনো ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নেবেন না।
ভয় নয়, সচেতনতা জরুরি
সিনেমা-নাটকের কারণে আমাদের সমাজে সাপ নিয়ে ভীতির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে কালনাগিনীকে নিয়ে যত রকমের গল্প শোনা যায়, তার বেশিরভাগই বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। বরং এই ধরনের সাপ প্রকৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে—পোকামাকড় ও ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তাই অকারণে সাপ দেখলেই মেরে ফেলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। বরং সচেতন হতে হবে, সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে এবং সাপদের তাদের নিজের মতো করে বাঁচতে দিতে হবে।
কালনাগিনী সম্পর্কে বহু কাহিনি প্রচলিত থাকলেও, বাস্তবতা হলো—এটি ভয়ংকর নয়, বরং আমাদের পরিবেশের জন্য উপকারী এক প্রাণী। ভয় নয়, জানুন ও সচেতন হোন।

সাপের নাম শুনলেই আমাদের অনেকের গা ছমছম করে ওঠে। বিশেষ করে যদি বলা হয় ‘কালনাগিনী’! সিনেমা-নাটক বা পুরান কাহিনিতে কালনাগিনীকে এমনভাবে দেখানো হয়, যেন সে অতিপ্রাকৃত শক্তির অধিকারী, চোখের দৃষ্টিতে মানুষ মেরে ফেলতে পারে! বাস্তবে কি সত্যিই এমন ভয়ংকর এই সাপটি?
চলুন, আজ আমরা কালনাগিনী সাপকে নিয়ে ছড়িয়ে থাকা ভ্রান্ত ধারণা ভাঙি এবং বিজ্ঞানের আলোয় জেনে নিই এর প্রকৃত রূপ।
কালনাগিনী মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় পাওয়া যায়, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ এবং আশেপাশের কয়েকটি দেশে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Boiga forsteni। এটি একটি বিষধর সাপ হলেও, তার বিষের শক্তি তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, এটি এমন কোনো সাপ নয় যার কামড়ে সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের প্রাণ হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
এই সাপটি মাঝারি আকারের হয় এবং এর গায়ের রং গাঢ়, কিছুটা কালচে হওয়ায় একে ‘কালনাগিনী’ বলা হয়। এটি রাতে বেশি সক্রিয় থাকে এবং সাধারণত ছোট প্রাণী যেমন টিকটিকি, ব্যাঙ, ছোট সাপ ইত্যাদি খেয়ে থাকে।
বিষ কতটা মারাত্মক?
বিজ্ঞান বলছে, কালনাগিনীর বিষ মৃদু নিউরোটক্সিক ধরনের। অর্থাৎ এই বিষ স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। তবে মানুষের শরীরে এটি খুব একটা তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। ছোট প্রাণীদের জন্য এ বিষ কার্যকর হলেও, মানুষের শরীরে এর পরিমাণ ও শক্তি—দু'টোই এতটাই কম যে, সাধারণত এটা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে না।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. রোমান উইটলেস জানিয়েছেন, “কালনাগিনী সাধারণত বিষাক্ত হলেও এটি মানুষ মারার জন্য যথেষ্ট নয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে কোনো বড় ক্ষতি হয় না।”
কামড়ালে কী হতে পারে?
যদি কাউকে কালনাগিনী কামড়ায়, তাহলে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন—
কামড়ের জায়গায় ব্যথা বা ফোলাভাব
মাথা ঘোরা বা শরীরে ঝিমঝিম ভাব
অল্প মাত্রায় স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া
কিছু মানুষের শরীরে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে, আবার ক্ষতস্থানে জীবাণু সংক্রমণ হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তবে এসবই বিরল ঘটনা, এবং দ্রুত চিকিৎসা পেলে কোনো বড় সমস্যা হয় না।
কালনাগিনী মানুষকে আক্রমণ করে?
এই ধারণাটা অনেকটাই ভুল। কালনাগিনী সাধারণত লাজুক প্রকৃতির এবং মানুষের কাছাকাছি আসলে নিজেই পালিয়ে যেতে চায়। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব হেরপেটোলজির গবেষক রাজীব মেননের মতে, “কালনাগিনীর কামড় অত্যন্ত বিরল, এবং এটি মানুষকে দেখে ভয় পেলেই পালায়—আক্রমণ করে না।”
কামড়ালে কী করবেন?
প্রথম কথা হলো আতঙ্কিত না হওয়া। ভয় পেলে শরীরের রক্তসঞ্চালন দ্রুত হয়, এতে বিষ শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই—
কামড়ের জায়গা পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন
দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যান
ভুলেও কোনো ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নেবেন না।
ভয় নয়, সচেতনতা জরুরি
সিনেমা-নাটকের কারণে আমাদের সমাজে সাপ নিয়ে ভীতির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে কালনাগিনীকে নিয়ে যত রকমের গল্প শোনা যায়, তার বেশিরভাগই বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। বরং এই ধরনের সাপ প্রকৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে—পোকামাকড় ও ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তাই অকারণে সাপ দেখলেই মেরে ফেলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। বরং সচেতন হতে হবে, সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে এবং সাপদের তাদের নিজের মতো করে বাঁচতে দিতে হবে।
কালনাগিনী সম্পর্কে বহু কাহিনি প্রচলিত থাকলেও, বাস্তবতা হলো—এটি ভয়ংকর নয়, বরং আমাদের পরিবেশের জন্য উপকারী এক প্রাণী। ভয় নয়, জানুন ও সচেতন হোন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩০ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৬ জন, ময়মনসিহং বিভাগে ৫৪ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী রয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমানে দেশ একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলমান সময়ে দেশবাসী সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন চায়। নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে শঙ্কা আছে। সেই শঙ্কা দূর করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার গভীর রাতে মিরপুর-১ এলাকার বাসা থেকে পিয়াসকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয় বলে জানান স্ত্রী সুমাইয়া চৌধুরী।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার ভাই ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং রনির স্ত্রী মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান চৌধুরী’র নামে থাকা মেঘনা ব্যাংকের প্রায় সাড়ে চার কোটি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছে সিআইডি। অনুসন্ধানে অবৈধ অর্থ দিয়ে এসব শেয়ার ক্র
১৭ ঘণ্টা আগে