
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

মালয়েশিয়ায় ‘জঙ্গিবাদে জড়িত’ থাকার অভিযোগে ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান গত রোববার (৬ জুলাই) মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১১ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন।
পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের (এটিইউ) ইনটেলিজেন্স শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন গত ৫ জুলাই বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ, পারভেজ মাহমুদ পাবেল, শরীফ উদ্দিন, রহমান মোহাম্মদ হাবিবুর, সালেহ আহমেদ, মো. আব্দুস সহিদ মিয়া, মো. মতিন, ফয়সাল আলম, রায়হান আহমেদ, মো. রাজ, মো. মনসুরুল হক, ইমন মহিদুজ্জামান, আকরাম মো. ওয়াসিম, শেখ সালাম, মোহাম্মদ রাজ মাহমুদ মন্ডল, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন, মাহফুজ, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মো. আফসার ভূইয়া, হোসাইন সাহেদ, মো. আশিকুর বিশ্বাস, মো. শাওন শেখ, ইয়াসিন আলী, মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ, মহিউদ্দিন, সাব্বির হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাকিল মিয়া, আসাদুজ্জামান হোসাইন এবং মো. সোহাগ রানা।
বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) এসএম বখতিয়ার খালেদ জানান, ‘জঙ্গিবাদে জড়িত’ থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিনই দেশে আসার পর তাদের হেফাজতে নেন পুলিশের এটিইউ সদস্যরা।
আটক তিনজন হলেন- নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং জাহেদ আহমেদ।
এই তিনজনকে বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিইউ ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কে. এম. তারিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তারা মলয়েশিয়ায় অবস্থান করা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি কতিপয় নাগরিকদের পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধামে সদস্য সংগ্রহ এবং প্রচার-প্ররোচণা চালিয়ে আসছিল।
তারা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সেদেশের জননিরাপত্তা, জনসাধারণের আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে কর্যক্রম পরিচালনা করে। পরে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ান পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আসামিরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হয়ে আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী স্বেচ্ছায় দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেন। পরে সংগৃহীত অর্থ ই-ওয়ালেট এবং আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর পরিষেবার মাধ্যমে অন্যান্য দেশে অর্থ প্রেরণ করে। সংগঠনটির সদস্য হিসেবে বছরে ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা প্রদান করতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার আসামিদের মালয়েশিয়ান পুলিশ পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আসামিরা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে এসে সন্ত্রাসবাদে জড়িত হয়ে উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জননিরাপত্তা, জনসাধারণের কোন অংশে আতঙ্ক সৃষ্টি উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে যে কোন সময় বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সম্ভবনা রয়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়ার পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে ওই ৩৫ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়; তারা মূলত কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে মালয়েশিয়া পুলিশের আইজি খালিদ ইসমাইল বলছেন, বাংলাদেশিদের ওই চক্রটি অন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে থেকে সদস্য বাড়াচ্ছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘উগ্রবাদী মতাদর্শ’ ছড়াচ্ছিল।
তিনি বলেন, এই চক্র আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে ‘আইএসের জন্য’ অর্থ পাঠাত। মালয়েশিয়া পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাউন্টার টেরোরিজম ডিভিশন অর্থ সংগ্রহের প্রমাণ পেয়েছে।

মালয়েশিয়ায় ‘জঙ্গিবাদে জড়িত’ থাকার অভিযোগে ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান গত রোববার (৬ জুলাই) মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১১ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন।
পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের (এটিইউ) ইনটেলিজেন্স শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন গত ৫ জুলাই বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ, পারভেজ মাহমুদ পাবেল, শরীফ উদ্দিন, রহমান মোহাম্মদ হাবিবুর, সালেহ আহমেদ, মো. আব্দুস সহিদ মিয়া, মো. মতিন, ফয়সাল আলম, রায়হান আহমেদ, মো. রাজ, মো. মনসুরুল হক, ইমন মহিদুজ্জামান, আকরাম মো. ওয়াসিম, শেখ সালাম, মোহাম্মদ রাজ মাহমুদ মন্ডল, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন, মাহফুজ, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মো. আফসার ভূইয়া, হোসাইন সাহেদ, মো. আশিকুর বিশ্বাস, মো. শাওন শেখ, ইয়াসিন আলী, মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ, মহিউদ্দিন, সাব্বির হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাকিল মিয়া, আসাদুজ্জামান হোসাইন এবং মো. সোহাগ রানা।
বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) এসএম বখতিয়ার খালেদ জানান, ‘জঙ্গিবাদে জড়িত’ থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিনই দেশে আসার পর তাদের হেফাজতে নেন পুলিশের এটিইউ সদস্যরা।
আটক তিনজন হলেন- নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং জাহেদ আহমেদ।
এই তিনজনকে বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিইউ ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কে. এম. তারিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তারা মলয়েশিয়ায় অবস্থান করা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি কতিপয় নাগরিকদের পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধামে সদস্য সংগ্রহ এবং প্রচার-প্ররোচণা চালিয়ে আসছিল।
তারা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সেদেশের জননিরাপত্তা, জনসাধারণের আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে কর্যক্রম পরিচালনা করে। পরে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ান পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আসামিরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হয়ে আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী স্বেচ্ছায় দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেন। পরে সংগৃহীত অর্থ ই-ওয়ালেট এবং আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর পরিষেবার মাধ্যমে অন্যান্য দেশে অর্থ প্রেরণ করে। সংগঠনটির সদস্য হিসেবে বছরে ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা প্রদান করতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার আসামিদের মালয়েশিয়ান পুলিশ পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আসামিরা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে এসে সন্ত্রাসবাদে জড়িত হয়ে উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জননিরাপত্তা, জনসাধারণের কোন অংশে আতঙ্ক সৃষ্টি উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে যে কোন সময় বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সম্ভবনা রয়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়ার পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে ওই ৩৫ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়; তারা মূলত কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে মালয়েশিয়া পুলিশের আইজি খালিদ ইসমাইল বলছেন, বাংলাদেশিদের ওই চক্রটি অন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে থেকে সদস্য বাড়াচ্ছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘উগ্রবাদী মতাদর্শ’ ছড়াচ্ছিল।
তিনি বলেন, এই চক্র আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে ‘আইএসের জন্য’ অর্থ পাঠাত। মালয়েশিয়া পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাউন্টার টেরোরিজম ডিভিশন অর্থ সংগ্রহের প্রমাণ পেয়েছে।

সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় বাবা ও তার ১২ বছর বয়সী ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শখের বশে বাবার সঙ্গে মাছ ধরা দেখতে সাগরে গিয়েছিল শিশু সিয়াম। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের সেই আনন্দের যাত্রাই পরিণত হয় বাবা–ছেলের জীবনের শেষযাত্রায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন ‘হিসাব সহকারী’ পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। নানা কারণে সে পদের নিয়োগ পরীক্ষা আর হয়নি। শেষ পর্যন্ত এ বছর আবার সে বিজ্ঞপ্তি পুনর্প্রকাশিত হয়েছিল। পরীক্ষার দিনও নির্ধারিত হয়েছিল। সেই পরীক্ষার কিছু সময় আগে চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারলেন, পরীক্ষা স্থগিত!
১৪ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত আটজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামের একটি লঞ্চসহ এর চারজন কর্মীকে আটক করেছে জেলা পুলিশ।
১৬ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসের তথ্য বলছে, আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে— ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৮ ঘণ্টা আগে