রংপুর প্রতিনিধি
টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে রংপুর বিভাগের চার জেলায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে রংপুর ৪ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে-রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা ও হারাগাছসহ মিঠাপুকুরের কিছু অংশে পানি ঢুকে পড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। পানির স্রোতে অনেক ভয়ানকভাবে ব্রিজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার আশপাশের রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী, কোলকোন্দ, গজঘণ্টা, আলমবিদির, নোহালী, কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, মধুপুর, হারাগাছ, ঢুসমারা, শহীদবাগের গান্নার চর, পীরগাছা উপজেলার ছাওলা, পাওটানার প্রায় ৫০টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বন্যার আতঙ্কে এসব এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। চরম দুর্ভোগে পড়ছে বানভাসি মানুষগুলো। পানিবন্দি পরিবারগুলো খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। আর এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো বন্যার কবলে পড়ল তিস্তাপারের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দুপুরের দিকে পানি সামান্য কমলেও সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি আবারও বাড়বে। তাই চরাঞ্চলবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাই এখন যে যার স্থানে দায়িত্ব, সেই স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
গংগাচড়া উপজেলার ইউপি সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে যে বন্যা ও পানির আশঙ্কা করা হয়েছিল তা-ই হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের খুব বেশি তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। হয়তো এখন আসবে, খোঁজখবর নেবে। আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কী করতে পারি, প্রশাসন বরাদ্দ দিলে তখন আমরা বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কয়েক দফা মিটিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সব সময় কথা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবে। অন্য বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহ হচ্ছে। যা রাতে আরো বাড়বে। তা ছাড়া পানি বাড়ায় তিস্তা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে সব সময় মনিটরিং করা হচ্ছে। যাতে রাস্তাঘাট, ব্রিজ ভেঙে না যায় সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। তবে দু-এক দিনে মধ্যে কমতে শুরু করবে।
টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে রংপুর বিভাগের চার জেলায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে রংপুর ৪ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে-রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা ও হারাগাছসহ মিঠাপুকুরের কিছু অংশে পানি ঢুকে পড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। পানির স্রোতে অনেক ভয়ানকভাবে ব্রিজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার আশপাশের রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী, কোলকোন্দ, গজঘণ্টা, আলমবিদির, নোহালী, কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, মধুপুর, হারাগাছ, ঢুসমারা, শহীদবাগের গান্নার চর, পীরগাছা উপজেলার ছাওলা, পাওটানার প্রায় ৫০টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বন্যার আতঙ্কে এসব এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। চরম দুর্ভোগে পড়ছে বানভাসি মানুষগুলো। পানিবন্দি পরিবারগুলো খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। আর এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো বন্যার কবলে পড়ল তিস্তাপারের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দুপুরের দিকে পানি সামান্য কমলেও সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি আবারও বাড়বে। তাই চরাঞ্চলবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাই এখন যে যার স্থানে দায়িত্ব, সেই স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
গংগাচড়া উপজেলার ইউপি সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে যে বন্যা ও পানির আশঙ্কা করা হয়েছিল তা-ই হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের খুব বেশি তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। হয়তো এখন আসবে, খোঁজখবর নেবে। আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কী করতে পারি, প্রশাসন বরাদ্দ দিলে তখন আমরা বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কয়েক দফা মিটিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সব সময় কথা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবে। অন্য বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহ হচ্ছে। যা রাতে আরো বাড়বে। তা ছাড়া পানি বাড়ায় তিস্তা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে সব সময় মনিটরিং করা হচ্ছে। যাতে রাস্তাঘাট, ব্রিজ ভেঙে না যায় সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। তবে দু-এক দিনে মধ্যে কমতে শুরু করবে।
ঝড়ের কবলে পড়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ের পর গাছে চাপা পড়ে জাটিয়া ইউনিয়নের নিজতুলন্দর গ্রামের সুরুজ আলীর দুটি, নুরুল ইসলামের একটি, আব্দুর রহিমের দুটি, আবু সিদ্দিকের একটি ও ইদ্রিস আলীর দুটি এবং সোহাগী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের রিপনের দুটি, শাহ্ নেওয়াজের একটি ও সিরাজুল ইসলামের একটি বসতঘর ভেঙে গেছে
১ দিন আগেপ্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা সারোয়ার আলমকে সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
১ দিন আগেপ্রার্থীরা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে। অথচ সরকারি উদাসীনতার কারণে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে দেশের সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে শূন্যপদ বাড়ছে, অন্যদি
১ দিন আগে