
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে ২৩ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ সংঘর্ষ হয়। শ্রমিকরা কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের জেরে গত শনিবার থেকে ২৩ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষে নিহত হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫) নীলফামারী সদর উপজেলা সংগলশী ইউনিয়নের দুলালের ছেলে। তিনি ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি নিটিং কারখানায় কর্মরত ছিলেন।
শ্রমিকরা জানান, ২৩ দফা দাবি নিয়ে শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন তারা। প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— জেনারেল ম্যানেজারের পদত্যাগ, পুরনো শ্রমিকদের ছাঁটাই বন্ধ করে আগের লেঅফ সিস্টেমে ফেরত আনা, নামাজের সময় নিশ্চিত করা, স্যালারি কার্ড বাতিল, কোনো শ্রমিক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে লেঅফ পদ্ধতির সুবিধা দেওয়া, পুরনো শ্রমিকদের আগের আইডিতে পুনর্বহাল করা।
শ্রমিকরা বলছেন, সম্প্রতি এই ইপিজেডের এভারগ্রিন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৫১ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে। এ নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে আজ মঙ্গলবার ইপিজেডের প্রধান ফটকে নোটিশ দিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে সে কথা জানতে পারেন। বেতন-ভাতা না দিয়েই কারখানা বন্ধের এ ঘোষণায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকরা ভেতরে ঢুকতে না পারলে ইপিজেডের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এতে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় হাবিবুর গুলিবিদ্ধ হয়ে তৎক্ষণাৎ মারা যান।
এভারগ্রিন কারখানার শ্রমিক আঁখি আক্তার বলেন, আমরা প্রতিদিনের মতো সকালে অফিসে যাই। গিয়ে দেখি গেট বন্ধ। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ছিল। আমাদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়। আমরা তো কারও ক্ষতি করিনি। শুধু ন্যায্য পাওনা চেয়েছি। তাহলে আমাদের ওপর গুলি চালালো কেন?
আরেক শ্রমিক সাদিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ দেওয়ার তিন দিন পরেও কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো জবাব আসেনি। সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলাম, বেপজা ও এভারগ্রিন কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার এসে আমাদের দাবির কাগজ হাতে নিলেই আমরা সরে যাব। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি। বেপজার কাছে অভিযোগ দিলে সমাধান পাই না। বরং যে অভিযোগ করে তার চাকরি চলে যায়। তাহলে আমরা কার কাছে বিচার চাইব?
এদিকে সংঘর্ষে আরও অন্তত ১০ জন আহত হন। নিহত হাবিবের মরদেহসহ আহতদের নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে মোমিনুর রহমান (২৫), মো. শাহিন (২৬), নুর আলম (৩০), মোস্তাক আহমেদ (২৫), লিপি আক্তার (২৬) ও জমিলা খাতুনকে (৩৫) হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানজিরুল ইসলাম ফারহান বলেন, হাবিবকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্ত করলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, একজনের মৃত্যুর কথা শুনেছি, কিন্তু নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। আমরা নিজেরাই এখনো সড়কে অবস্থান করছি।

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে ২৩ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ সংঘর্ষ হয়। শ্রমিকরা কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের জেরে গত শনিবার থেকে ২৩ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষে নিহত হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫) নীলফামারী সদর উপজেলা সংগলশী ইউনিয়নের দুলালের ছেলে। তিনি ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি নিটিং কারখানায় কর্মরত ছিলেন।
শ্রমিকরা জানান, ২৩ দফা দাবি নিয়ে শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন তারা। প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— জেনারেল ম্যানেজারের পদত্যাগ, পুরনো শ্রমিকদের ছাঁটাই বন্ধ করে আগের লেঅফ সিস্টেমে ফেরত আনা, নামাজের সময় নিশ্চিত করা, স্যালারি কার্ড বাতিল, কোনো শ্রমিক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে লেঅফ পদ্ধতির সুবিধা দেওয়া, পুরনো শ্রমিকদের আগের আইডিতে পুনর্বহাল করা।
শ্রমিকরা বলছেন, সম্প্রতি এই ইপিজেডের এভারগ্রিন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৫১ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে। এ নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে আজ মঙ্গলবার ইপিজেডের প্রধান ফটকে নোটিশ দিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে সে কথা জানতে পারেন। বেতন-ভাতা না দিয়েই কারখানা বন্ধের এ ঘোষণায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকরা ভেতরে ঢুকতে না পারলে ইপিজেডের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এতে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় হাবিবুর গুলিবিদ্ধ হয়ে তৎক্ষণাৎ মারা যান।
এভারগ্রিন কারখানার শ্রমিক আঁখি আক্তার বলেন, আমরা প্রতিদিনের মতো সকালে অফিসে যাই। গিয়ে দেখি গেট বন্ধ। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ছিল। আমাদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়। আমরা তো কারও ক্ষতি করিনি। শুধু ন্যায্য পাওনা চেয়েছি। তাহলে আমাদের ওপর গুলি চালালো কেন?
আরেক শ্রমিক সাদিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ দেওয়ার তিন দিন পরেও কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো জবাব আসেনি। সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলাম, বেপজা ও এভারগ্রিন কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার এসে আমাদের দাবির কাগজ হাতে নিলেই আমরা সরে যাব। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি। বেপজার কাছে অভিযোগ দিলে সমাধান পাই না। বরং যে অভিযোগ করে তার চাকরি চলে যায়। তাহলে আমরা কার কাছে বিচার চাইব?
এদিকে সংঘর্ষে আরও অন্তত ১০ জন আহত হন। নিহত হাবিবের মরদেহসহ আহতদের নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে মোমিনুর রহমান (২৫), মো. শাহিন (২৬), নুর আলম (৩০), মোস্তাক আহমেদ (২৫), লিপি আক্তার (২৬) ও জমিলা খাতুনকে (৩৫) হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানজিরুল ইসলাম ফারহান বলেন, হাবিবকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্ত করলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, একজনের মৃত্যুর কথা শুনেছি, কিন্তু নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। আমরা নিজেরাই এখনো সড়কে অবস্থান করছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে ওই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুল ইসলামের শরীরে আগুন ধরে যায়। এ সময় তিনি আগুনে দগ্ধ অবস্থায় দৌড়াতে থাকেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় হঠাৎ বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতাকর্মী ও সমর্থক মিছিল নিয়ে উপজেলার মুশুলি ইউনিয়নের তারেরঘাট বাজারে হাজির হন। বাজারের সামনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে মিছিল করে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন তারা।
১৯ ঘণ্টা আগে
গণশুনানির বিচারক প্যানেলে ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের খেপুপাড়া নদী উপকেন্দ্রের প্রধান ও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল হক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকূলীয় অধ্যয়ন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক অসীম আবরার, বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের সদস্য শুভঙ্
১৯ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে। সাপটির দৈঘ্য ১০ ফুট এবং এর ওজন ১৫ কেজি বলে জানান বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন।
১৯ ঘণ্টা আগে