
রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলরকেন্দ্রিক নাগরিক সেবাসহ সব ধরনের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়া এই সেবা কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নাগরিকত্ব (স্থায়ী-অস্থায়ী), চারিত্রিক, উত্তরাধিকারসহ (ওয়ারিশ) বিভিন্ন সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র, অনাপত্তিপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকার যাচাইকারী হিসেবে একজন কাউন্সিলরকে স্বাক্ষর দিতে হয়।
তবে গত ১৯ আগস্ট আরসিসি মেয়র পদ থেকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে ও ২৬ সেপ্টেম্বর সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে সরকার। পাশাপাশি নাগরিকদের সকল সেবা অব্যাহত রাখতে মেয়রের স্থলে বিভাগীয় কমিশনার ও কাউন্সিলদের স্থলে সরকারি দপ্তরের ১৮ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নিজ দপ্তরের কাজের বাইরে অতিরিক্ত এই দায়িত্ব ঠিকভাবে করতে পারছেন না। ফলে বিভিন্ন সেবা পেতে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের।
সেবাপ্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর একাধিক ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের চেনেন না। আবার তারা সপ্তাহে দুই দিন ছুটিতে থাকেন। বাকি পাঁচ দিন বিকেল ৫টার পর তাদের পাওয়া যায় না। এ ছাড়া নিজ দপ্তরের কাজে তারা মাঝে মধ্যে জেলার বাইরে থাকেন। এতে আগের মতো সেবা এখন পাওয়া যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই যুবক বলেন, ‘১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে ২০০-২৫০ মিটার দূরে একটি ভাড়া বাসায় থাকি। পূরণ করা ভাড়াটিয়া ফরম, বিদ্যুৎ বিলের কাগজসহ যাবতীয় প্রমাণ নিয়ে গেলেও অস্থায়ী নাগরিকত্ব সনদ আমাকে দেওয়া হয়নি।
আবু সুফিয়ান নামে অন্য এক ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন আগে ছেলের জন্মনিবন্ধনের জন্য ওয়ার্ড কার্যালয়ে গিয়ে ফরম জমা দিয়েও এখনও তা পাইনি। মূলত ওয়ার্ড কার্যালয়ে অনেক ফাইল জমা হলে কর্মকর্তার কাছে স্বাক্ষরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বলে দেরি হয়।
আরসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব ওবায়েদুর রহমান বলেন, কাউন্সিলররা সপ্তাহে সাত দিন নাগরিকদের সেবা দিতে পারলেও একজন সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে তা সম্ভব নয়। কারণ তাদের শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকে। আবার কর্মকর্তাদের নিজ দপ্তরেও কাজ থাকে বলে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে বসে সেবা দেওয়া সম্ভব না। তবে আমরা বিভিন্ন ফাইল তাদের কাছে নিয়ে গেলে তারা সেগুলোতে স্বাক্ষরসহ সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে আরসিসির ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষার রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যেহেতু এলাকার সবাইকে চিনতেন সেক্ষেত্রে তারা সহজেই যেকোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারতেন। কিন্তু আমরা সবাইকে চিনবো না, এটাই স্বাভাবিক। তাই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সঠিক হলে স্বাক্ষর দেই। এতে একটু সময়ক্ষেপণ হয়।’

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলরকেন্দ্রিক নাগরিক সেবাসহ সব ধরনের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়া এই সেবা কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নাগরিকত্ব (স্থায়ী-অস্থায়ী), চারিত্রিক, উত্তরাধিকারসহ (ওয়ারিশ) বিভিন্ন সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র, অনাপত্তিপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকার যাচাইকারী হিসেবে একজন কাউন্সিলরকে স্বাক্ষর দিতে হয়।
তবে গত ১৯ আগস্ট আরসিসি মেয়র পদ থেকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে ও ২৬ সেপ্টেম্বর সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে সরকার। পাশাপাশি নাগরিকদের সকল সেবা অব্যাহত রাখতে মেয়রের স্থলে বিভাগীয় কমিশনার ও কাউন্সিলদের স্থলে সরকারি দপ্তরের ১৮ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নিজ দপ্তরের কাজের বাইরে অতিরিক্ত এই দায়িত্ব ঠিকভাবে করতে পারছেন না। ফলে বিভিন্ন সেবা পেতে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের।
সেবাপ্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর একাধিক ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের চেনেন না। আবার তারা সপ্তাহে দুই দিন ছুটিতে থাকেন। বাকি পাঁচ দিন বিকেল ৫টার পর তাদের পাওয়া যায় না। এ ছাড়া নিজ দপ্তরের কাজে তারা মাঝে মধ্যে জেলার বাইরে থাকেন। এতে আগের মতো সেবা এখন পাওয়া যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই যুবক বলেন, ‘১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে ২০০-২৫০ মিটার দূরে একটি ভাড়া বাসায় থাকি। পূরণ করা ভাড়াটিয়া ফরম, বিদ্যুৎ বিলের কাগজসহ যাবতীয় প্রমাণ নিয়ে গেলেও অস্থায়ী নাগরিকত্ব সনদ আমাকে দেওয়া হয়নি।
আবু সুফিয়ান নামে অন্য এক ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন আগে ছেলের জন্মনিবন্ধনের জন্য ওয়ার্ড কার্যালয়ে গিয়ে ফরম জমা দিয়েও এখনও তা পাইনি। মূলত ওয়ার্ড কার্যালয়ে অনেক ফাইল জমা হলে কর্মকর্তার কাছে স্বাক্ষরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বলে দেরি হয়।
আরসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব ওবায়েদুর রহমান বলেন, কাউন্সিলররা সপ্তাহে সাত দিন নাগরিকদের সেবা দিতে পারলেও একজন সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে তা সম্ভব নয়। কারণ তাদের শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকে। আবার কর্মকর্তাদের নিজ দপ্তরেও কাজ থাকে বলে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে বসে সেবা দেওয়া সম্ভব না। তবে আমরা বিভিন্ন ফাইল তাদের কাছে নিয়ে গেলে তারা সেগুলোতে স্বাক্ষরসহ সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে আরসিসির ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষার রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যেহেতু এলাকার সবাইকে চিনতেন সেক্ষেত্রে তারা সহজেই যেকোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারতেন। কিন্তু আমরা সবাইকে চিনবো না, এটাই স্বাভাবিক। তাই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সঠিক হলে স্বাক্ষর দেই। এতে একটু সময়ক্ষেপণ হয়।’

এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে দলীয় পদ হারানোর এক বছর ১০ মাস পর আবারও ‘ঘরে ফিরলেন’ রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকাকেন্দ্রিক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন।
২ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেট সংলগ্ন একটি খাবার হোটেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুখোশধারী একদল হামলাকারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনা ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
২ দিন আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না—২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা তার প্রমাণ দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে ক্ষমতাসীনরা দানবে পরিণত
২ দিন আগে
রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিমন মিয়ার আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-৫ এর বিচারক আশিকুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২ দিন আগে