রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীতে অবৈধভাবে ভরাট করা পুকুর পূর্বের অবস্থায় ফেরাতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পুনঃখনন করছে ভূমি অফিস। আজ বৃহস্পতিবার ৩০ জন শ্রমিক পুনঃখননের কাজ শুরু করে।
জানা গেছে, নগরীর ঘোষপাড়া মোড় এলাকার পুকুরটি প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা আয়তনের। এটি ‘জোড়া পুকুর’ নামে পরিচিত। বোয়ালিয়া মৌজায় অবস্থিত এই পুকুর ব্যক্তিমালিকানাধীন। তবে সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষণের তালিকায়ও পুকুরটি আছে। ৫ আগস্টের আগে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ অল্প অল্প করে ভরাট শুরু করে পুকুরটি। আওয়ামী সরকার পলায়নের পর অংশীদারদের যোগসাজশে কিছুদিন ধরে ভরাট শুরু করেছিলেন স্থানীয় হিকু নামের এক ঠিকাদার।
পরে খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সরকার ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করেন। পরে পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু ভরাটকারী হিকুকে খুঁজে পাচ্ছে না বোয়ালিয়া ভূমি অফিস। এ অবস্থায় বোয়ালিয়া ভূমি অফিসের উদ্যোগে পুকুরটির ভরাট হওয়া অংশ পুনরায় খননের কাজ শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা পুকুরটির উদ্ধার কার্যক্রমও শুরু করেন। পুকুরের পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত থেকে পুকুর ভরাট শুরু হয়েছিল। দুই প্রান্তে শ্রমিকরা পুকুর উদ্ধারের কাজ করছেন। তারা পুকুরে ফেলা মাটি কেটে পাড়ে আনছেন। পুকুরের সামনে একটি নোটিশও টাঙানো হয়েছে। এতে লেখা, ‘এই পুকুর ভরাট করা নিষিদ্ধ। ময়লা-আবর্জনাসহ অন্য যেকোনোভাবে পুকুর ভরাট করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদেশক্রমে সহকারী কমিশনার, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।’
শ্রমিকদের সর্দার রেজাউল করিম বলেন, সকালে অ্যাসিল্যান্ড স্যার এসেছিলেন। মাপজোখ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে কত দূর পর্যন্ত মাটি কেটে ওপরে তুলতে হবে। আমরা কাজ শুরু করেছি।’
পুকুরপাড়ে ছিলেন ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী। তারা জানান, পুকুরটির আয়তন প্রায় সাড়ে তিন বিঘা। এর মধ্যে দুই পাড়ে প্রায় ১০ কাঠা ভরাট করে ফেলা হয়েছে। খতিয়ানে যে অংশটুকু পুকুর, সেটুকু তারা উদ্ধার করবেন। সেই মাটি কেটে পাড়ের অংশে ফেলা হবে।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সরকার বলেন, ‘ভরাটকারী হিকুকে খুঁজে না পাওয়ায় ভূমি অফিসের উদ্যোগেই পুনরায় খনন করা হচ্ছে। তাকে পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
উল্লেখ্য, একসময় রাজশাহী শহরে অসংখ্য পুকুর ছিল। কিন্তু অল্প কিছু পুকুর ছাড়া সবই ভরাট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করে। তখন বোয়ালিয়া ভূমি কার্যালয় গণনা করে নগরে ৯৫২টি পুকুরের অস্তিত্ব পায়।
২০২২ সালের ৮ আগস্ট হাইকোর্ট এই পুকুরগুলো সংরক্ষণসহ কয়েকটি নির্দেশনা দেন। রাজশাহী শহরে আর কোনো পুকুর যেন ভরাট না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। পাশাপাশি ভরাট হওয়া পুকুরগুলো পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনারও নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। সিটি মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনার পরও শহরে একের পর এক পুকুর ভরাট হয়েছে। দীর্ঘ সময়েও একটি পুকুরও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়নি। এই প্রথম ঘোষপাড়া ফকিরপাড়া মহল্লার পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
রাজশাহীতে অবৈধভাবে ভরাট করা পুকুর পূর্বের অবস্থায় ফেরাতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পুনঃখনন করছে ভূমি অফিস। আজ বৃহস্পতিবার ৩০ জন শ্রমিক পুনঃখননের কাজ শুরু করে।
জানা গেছে, নগরীর ঘোষপাড়া মোড় এলাকার পুকুরটি প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা আয়তনের। এটি ‘জোড়া পুকুর’ নামে পরিচিত। বোয়ালিয়া মৌজায় অবস্থিত এই পুকুর ব্যক্তিমালিকানাধীন। তবে সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষণের তালিকায়ও পুকুরটি আছে। ৫ আগস্টের আগে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ অল্প অল্প করে ভরাট শুরু করে পুকুরটি। আওয়ামী সরকার পলায়নের পর অংশীদারদের যোগসাজশে কিছুদিন ধরে ভরাট শুরু করেছিলেন স্থানীয় হিকু নামের এক ঠিকাদার।
পরে খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সরকার ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করেন। পরে পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু ভরাটকারী হিকুকে খুঁজে পাচ্ছে না বোয়ালিয়া ভূমি অফিস। এ অবস্থায় বোয়ালিয়া ভূমি অফিসের উদ্যোগে পুকুরটির ভরাট হওয়া অংশ পুনরায় খননের কাজ শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা পুকুরটির উদ্ধার কার্যক্রমও শুরু করেন। পুকুরের পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত থেকে পুকুর ভরাট শুরু হয়েছিল। দুই প্রান্তে শ্রমিকরা পুকুর উদ্ধারের কাজ করছেন। তারা পুকুরে ফেলা মাটি কেটে পাড়ে আনছেন। পুকুরের সামনে একটি নোটিশও টাঙানো হয়েছে। এতে লেখা, ‘এই পুকুর ভরাট করা নিষিদ্ধ। ময়লা-আবর্জনাসহ অন্য যেকোনোভাবে পুকুর ভরাট করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদেশক্রমে সহকারী কমিশনার, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।’
শ্রমিকদের সর্দার রেজাউল করিম বলেন, সকালে অ্যাসিল্যান্ড স্যার এসেছিলেন। মাপজোখ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে কত দূর পর্যন্ত মাটি কেটে ওপরে তুলতে হবে। আমরা কাজ শুরু করেছি।’
পুকুরপাড়ে ছিলেন ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী। তারা জানান, পুকুরটির আয়তন প্রায় সাড়ে তিন বিঘা। এর মধ্যে দুই পাড়ে প্রায় ১০ কাঠা ভরাট করে ফেলা হয়েছে। খতিয়ানে যে অংশটুকু পুকুর, সেটুকু তারা উদ্ধার করবেন। সেই মাটি কেটে পাড়ের অংশে ফেলা হবে।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সরকার বলেন, ‘ভরাটকারী হিকুকে খুঁজে না পাওয়ায় ভূমি অফিসের উদ্যোগেই পুনরায় খনন করা হচ্ছে। তাকে পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
উল্লেখ্য, একসময় রাজশাহী শহরে অসংখ্য পুকুর ছিল। কিন্তু অল্প কিছু পুকুর ছাড়া সবই ভরাট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করে। তখন বোয়ালিয়া ভূমি কার্যালয় গণনা করে নগরে ৯৫২টি পুকুরের অস্তিত্ব পায়।
২০২২ সালের ৮ আগস্ট হাইকোর্ট এই পুকুরগুলো সংরক্ষণসহ কয়েকটি নির্দেশনা দেন। রাজশাহী শহরে আর কোনো পুকুর যেন ভরাট না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। পাশাপাশি ভরাট হওয়া পুকুরগুলো পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনারও নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। সিটি মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনার পরও শহরে একের পর এক পুকুর ভরাট হয়েছে। দীর্ঘ সময়েও একটি পুকুরও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়নি। এই প্রথম ঘোষপাড়া ফকিরপাড়া মহল্লার পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
অভিযান শেষে ইউএনও মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অসাধু উপায়ে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রাথমিকভাবে ফার্মেসি মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। জনসচেতনতা তৈরির জন্যই এ অভিযান। সামনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১৪ ঘণ্টা আগেএ ঘটনায় এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা নিতে না পারলেও বুথটি ভাঙচুর করে মালামাল লুট করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক চুরির ঘটনায় মামলা রয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে