
রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে নদীর চরে জেগে ওঠা এলাকাগুলোসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে চরের বাসিন্দারা গবাদি পশু ও প্রয়োজনীয় মালপত্র নিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে লোকালয়ের দিকে সরে যাচ্ছেন। পানি বৃদ্ধির কারণে দেখা দিয়েছে গোখাদ্য ও আশ্রয়ের তীব্র সংকট।
এদিকে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধ—পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন শ্রীরামপুর এলাকার টি-বাঁধে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনসাধারণের চলাচল এবং দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো জানায়, পদ্মা নদীর ফুলে ফেঁপে ওঠা পানি বর্তমানে রাজশাহী শহরের বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার থেকে মাত্র ৫৬ সেন্টিমিটার নিচে, অর্থাৎ ১৭ দশমিক ৪৯ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আজ বুধবার বেলা ১২টায় পদ্মা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৯ মিটার, যেখানে বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। অর্থাৎ মাত্র ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের (জুলাই) ২৪ তারিখ থেকে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। সেদিন নদীর পানি ছিল ১৬ দশমিক ৩৫ মিটার। এরপর সাময়িক কমলেও ৩১ জুলাই থেকে আবারও বাড়তে থাকে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা, ৯টা, দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় পানি পরিমাপ করা হয়।
গেজ রিডার এনামুল হক জানান, “সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মার পানি ছিল ১৭ দশমিক ৩৯ মিটার। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তা বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৩ মিটার। আজ বুধবার বেলা ১২টায় হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৯ মিটার।”
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডেও পশ্চিম অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান বলেন, রাজশাহী পয়েন্টে প্রতিদিনই পদ্মার পানি বাড়ছে। এতে চরসহ পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় পানি উঠেছে। আগামী দুইদিন পানি আরো বাড়তে পারে। তবে বন্যার মত আশঙ্কা এখনো নেই।
তিনি বলেন, রাজশাহী নগরীর টি-গ্রোয়েনের নিরাপত্তায় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে প্রবেশাধিকারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয়দের সেখান থেছে সরে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় রাজশাহীর বিভিন্ন চর ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। চরবাসীরা গবাদিপশু ও মালপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছেন লোকালয়ের দিকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতলি ইউনিয়নের ১ হাজার ১০০ পরিবার পানিবন্দী। শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ২ হাজার, উজিরপুর ইউনিয়নের ৪৫০ ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী জীবন যাপন করছে।
বুধবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী তালাইমারী, বাজে কাজলা ও পঞ্চবটি এলাকার শিক্ষার্থীরা পানির মাড়িয়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।
চর খিদিরপুরের বাসিন্দা মাসুদ বলেন, “পানি বেড়ে চরের সব জমি ডুবে গেছে। অনেকেই আত্মীয়দের বাড়িতে উঠেছে, কেউবা ভাড়া বাসায়। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা গরু-ছাগল নিয়ে।”
স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব জানান, “সারাদিন চর থেকে মানুষ নৌকায় করে মালামাল নিয়ে লোকালয়ে আসছে। কিন্তু গবাদি পশু রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, গোখাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে।”
রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. সহিদুল বলেন, “অনেক চরে এখন পানি উঠে গেছে। কিছু মানুষ চর ছেড়ে এলেও এখনো অনেকেই রয়ে গেছেন। গবাদি পশু আনতে বেহাল অবস্থা।”
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে টি-বাঁধ এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী ব্যবসায়ীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা, গবাদি পশুর জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ ও গোখাদ্যের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বিশেষ করে চরবাসীদের দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নিতে উদ্যোগ জোরদারের দাবি উঠেছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী পদ্মার পানি সর্বশেষ ২০১৩ সালে ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ১৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে ওঠে। এরপর আর কখনো পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নি।

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে নদীর চরে জেগে ওঠা এলাকাগুলোসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে চরের বাসিন্দারা গবাদি পশু ও প্রয়োজনীয় মালপত্র নিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে লোকালয়ের দিকে সরে যাচ্ছেন। পানি বৃদ্ধির কারণে দেখা দিয়েছে গোখাদ্য ও আশ্রয়ের তীব্র সংকট।
এদিকে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধ—পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন শ্রীরামপুর এলাকার টি-বাঁধে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনসাধারণের চলাচল এবং দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো জানায়, পদ্মা নদীর ফুলে ফেঁপে ওঠা পানি বর্তমানে রাজশাহী শহরের বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার থেকে মাত্র ৫৬ সেন্টিমিটার নিচে, অর্থাৎ ১৭ দশমিক ৪৯ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আজ বুধবার বেলা ১২টায় পদ্মা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৯ মিটার, যেখানে বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। অর্থাৎ মাত্র ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের (জুলাই) ২৪ তারিখ থেকে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। সেদিন নদীর পানি ছিল ১৬ দশমিক ৩৫ মিটার। এরপর সাময়িক কমলেও ৩১ জুলাই থেকে আবারও বাড়তে থাকে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা, ৯টা, দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় পানি পরিমাপ করা হয়।
গেজ রিডার এনামুল হক জানান, “সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মার পানি ছিল ১৭ দশমিক ৩৯ মিটার। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তা বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৩ মিটার। আজ বুধবার বেলা ১২টায় হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৯ মিটার।”
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডেও পশ্চিম অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান বলেন, রাজশাহী পয়েন্টে প্রতিদিনই পদ্মার পানি বাড়ছে। এতে চরসহ পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় পানি উঠেছে। আগামী দুইদিন পানি আরো বাড়তে পারে। তবে বন্যার মত আশঙ্কা এখনো নেই।
তিনি বলেন, রাজশাহী নগরীর টি-গ্রোয়েনের নিরাপত্তায় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে প্রবেশাধিকারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয়দের সেখান থেছে সরে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় রাজশাহীর বিভিন্ন চর ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। চরবাসীরা গবাদিপশু ও মালপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছেন লোকালয়ের দিকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতলি ইউনিয়নের ১ হাজার ১০০ পরিবার পানিবন্দী। শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ২ হাজার, উজিরপুর ইউনিয়নের ৪৫০ ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী জীবন যাপন করছে।
বুধবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী তালাইমারী, বাজে কাজলা ও পঞ্চবটি এলাকার শিক্ষার্থীরা পানির মাড়িয়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।
চর খিদিরপুরের বাসিন্দা মাসুদ বলেন, “পানি বেড়ে চরের সব জমি ডুবে গেছে। অনেকেই আত্মীয়দের বাড়িতে উঠেছে, কেউবা ভাড়া বাসায়। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা গরু-ছাগল নিয়ে।”
স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব জানান, “সারাদিন চর থেকে মানুষ নৌকায় করে মালামাল নিয়ে লোকালয়ে আসছে। কিন্তু গবাদি পশু রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, গোখাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে।”
রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. সহিদুল বলেন, “অনেক চরে এখন পানি উঠে গেছে। কিছু মানুষ চর ছেড়ে এলেও এখনো অনেকেই রয়ে গেছেন। গবাদি পশু আনতে বেহাল অবস্থা।”
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে টি-বাঁধ এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী ব্যবসায়ীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা, গবাদি পশুর জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ ও গোখাদ্যের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বিশেষ করে চরবাসীদের দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নিতে উদ্যোগ জোরদারের দাবি উঠেছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী পদ্মার পানি সর্বশেষ ২০১৩ সালে ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ১৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে ওঠে। এরপর আর কখনো পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেট সংলগ্ন একটি খাবার হোটেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুখোশধারী একদল হামলাকারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনা ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১ দিন আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না—২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা তার প্রমাণ দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে ক্ষমতাসীনরা দানবে পরিণত
১ দিন আগে
রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিমন মিয়ার আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-৫ এর বিচারক আশিকুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও দুজনকে মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে তারা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে এবং আন্দোলন চালান।
১ দিন আগে