২০ দফা দাবি জানিয়ে রাবি ছাত্রশিবিরের ৩ দিনের আল্টিমেটাম

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কারসহ ২০ দফা দাবিতে ১২৫টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে শাখা ছাত্রশিবির। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি ও পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা। এ সময় আগামী তিন দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব দাবির প্রেক্ষিতে রোডম্যাপ প্রকাশ না করলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

ছাত্রশিবিরের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- আবাসন ব্যবস্থা সংস্কার, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংস্কার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, চিকিৎসা কেন্দ্রের সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি, ভর্তি ফরম পূরণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর ইত্যাদি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তিনি বলেন, এ সপ্তাহ অর্থাৎ ২৬ জুনের মধ্যে রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ৩১ শে জুলাই এর মধ্যেই রাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। রাকসু বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জোরদার করতে হবে। সিসিটিভি নজরদারি, গোয়েন্দা তৎপরতা, পুলিশ টহল বৃদ্ধিসহ বহিরাগত প্রবেশ সীমিত করতে হবে।

একাডেমিক, প্রশাসনিক ও শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কার সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিটি বিভাগে পাঁচ অথবা দশ বছর মেয়াদী অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠদানের ব্যাপারে শিক্ষকদের মনোযোগ, শ্রম, নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষার উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীর রোল নম্বরের ক্ষেত্রে কোডিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। রাবি অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর আলোকে সিন্ডিকেট ৩ জনের প্যানেল নির্ধারণ করবে। তার মধ্যে থেকে আচার্য একজনকে ভিসি হিসাবে নিয়োগ দিবেন। এ প্রক্রিয়ায় ভিসি নিয়োগ দিতে হবে। রেজিষ্ট্রার অফিসে কাজের দীর্ঘ সূত্রিতা, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সার্টিফিকেট মার্কশিট শাখায় ভোগান্তি বিলোপ করতে হবে। চলমান শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা সংস্কার করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

আবাসন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও চিকিৎসা কেন্দ্রের সংস্কার সম্পর্কে মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এ সংক্রান্ত রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে। হল উন্নয়নের নামে ৫০ টাকার আবশ্যিক ফিসহ অযৌক্তিক সকল ফি বাতিল করতে হবে। নারী শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককেই ১ম বর্ষ থেকে আবাসিক সিট নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা চালু করতে হবে। রিডিং রুমের সিট সংখ্যা ও পরিসর বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রন্থাগারে প্রশাসক নয়, লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দিতে হবে।সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লাইব্রেরী খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রকে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যালে রূপান্তরিত করতে হবে। চিকিৎসা কেন্দ্রে তত্ত্ববাধয়নে পূর্বপাড়া এবং পশ্চিমপাড়ায় ২টি স্বতন্ত্র ও সমৃদ্ধ ফার্মেসী স্থাপন করতে হবে।চিকিৎসা কেন্দ্রে অন্তত ২০ শয্যাবিশিষ্ট ওয়ার্ড স্থাপন করতে হবে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদ ফয়সাল বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা ব্যর্থ প্রশাসন হিসেবেই আখ্যায়িত করতে চাই। গত ৮ মাসে তারা ক্যাম্পাসে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আনতে পারেনি। বিপ্লব পরবর্তী প্রশাসন হিসেবে তারা আমাদের ৫-১০ শতাংশ প্রত্যাশাও পূরণ করতে পারেনি। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ না করলে আমরা মাঠের আন্দোলনে নামবো।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

সাপের কামড়ে প্রাণ গেল ইজিবাইকের চালকের

১ দিন আগে

হঠাৎ ঝড়ে ঘরবাড়ি-গাছপালা লণ্ডভণ্ড, পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি

ঝড়ের কবলে পড়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ের পর গাছে চাপা পড়ে জাটিয়া ইউনিয়নের নিজতুলন্দর গ্রামের সুরুজ আলীর দুটি, নুরুল ইসলামের একটি, আব্দুর রহিমের দুটি, আবু সিদ্দিকের একটি ও ইদ্রিস আলীর দুটি এবং সোহাগী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের রিপনের দুটি, শাহ্ নেওয়াজের একটি ও সিরাজুল ইসলামের একটি বসতঘর ভেঙে গেছে

১ দিন আগে

আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এখন সিলেটের ডিসি

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা সারোয়ার আলমকে সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

১ দিন আগে

৩ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ৪৩তম নন-ক্যাডারদের

প্রার্থীরা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে। অথচ সরকারি উদাসীনতার কারণে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে দেশের সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে শূন্যপদ বাড়ছে, অন্যদি

২ দিন আগে