রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন নিয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় পর ক্যাম্পাসে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য ও রাজনৈতিক উত্তাপ। গত ২৮ জুলাই ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৫৬-৫৭ বর্ষে। সে সময় এই সংসদের নাম ছিল ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (রাকসু)। ১৯৬২ সালে ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ রাকসু’ নামে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৬ বার আয়োজন করা হয়েছে রাকসু নির্বাচন। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩৫ বছর পর ২৪-এর পটপরিবর্তনের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা রাকসু কার্যকরের দাবিতে আন্দোলন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাকসুতে মোট ২৩টি, হল সংসদে ১৫টি এবং সিনেটে ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল ঘোষণার পর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। পদপ্রত্যাশী প্রার্থীরা এবং ছাত্র সংগঠনগুলো প্যানেল গোছাতে নড়েচড়ে বসেছেন। শীর্ষ পদগুলোতে কারা নেতৃত্বে আসবেন এবং কোন কোন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা ও বিশ্লেষণ।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৭-১৯ আগস্ট মনোনয়নপত্র বিতরণ; ২১, ২৪ ও ২৫ আগস্ট মনোনয়নপত্র দাখিল; ২৭-২৮ আগস্ট যাচাই-বাছাই; ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা প্রকাশ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ এবং ফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনে রাকসুর ২৩টি পদ, হল সংসদের ১৫টি পদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ৫টি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতিটি আবাসিক হল, ডিপার্টমেন্ট ও ক্যাম্পাসের চায়ের দোকানে জমে উঠেছে নির্বাচনি আলোচনা। প্যানেল গঠনে ব্যস্ত ছাত্র সংগঠনগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সাবেক সমন্বয়কদের প্যানেল
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়করা মিলে একটি প্যানেলে রাকসু নির্বাচন করবেন। সম্ভাব্য এই প্যানেলে সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব ভিপি এবং জিএস পদপ্রার্থী ফাহিম রেজা, জি এস সাব্বির, সালাহউদ্দিন আম্মারসহ একাধিক নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া এই প্যানেলে মিডিয়া সম্পাদক হিসেবে আসতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বিজয়। তবে সাবেক সমন্বয়করা বিভিন্ন ইস্যুতে আলাদা হয়ে পড়েছেন। সবাইকে এক টেবিলে বসানোর চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে মেহেদী সজীব বলেন, ‘আমাদের প্যানেল এখনো প্রস্তুত হয়নি তবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ২৪-এর অভ্যুত্থানে একসঙ্গে কাজ করা সমমনাদের নিয়ে একটা প্যানেল করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ছাত্রদল
রাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের আলাদা প্যানেল হবে বলে জানান সংগঠনটির একাধিক নেতা। প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী। ছাত্রদলের প্যানেল থেকে জিএস পদপ্রার্থী হিসেবে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু নির্বাচন করতে পারেন বলে ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়। এদিকে হল সংসদে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের যৌথ প্যানেলের আলোচনাও শোনা যাচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে একটা প্যানেল করেছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়ার) মতো রাকসু নিয়েও একটা ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রদল প্রতিহত করবে। রুয়ার ব্যাপারে আমরা দেখেছি নির্বাচন হওয়ার পরপরই শিক্ষক নিয়োগে রুয়ার সদস্য সুপারিশ করা শুরু করেছে। রাকসু নিয়েও প্রশাসনের এমন পরিকল্পনা রয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্যানেল চূড়ান্ত করার আগে আমরা আমাদের সুস্পষ্ট কিছু দাবি নিয়ে ৭ আগস্ট থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
ছাত্রশিবির
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর রাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এ কারণে আমরা খুবই আনন্দিত। ছাত্রশিবির অবশ্যই রাকসুতে অংশগ্রহণ করবে। প্যানেল একক হবে নাকি সম্মিলিত হবে, এ বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। শিবির এককভাবে নির্বাচনে আসতে পারে, আবার অন্য ব্যক্তি বা সংগঠনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবেও নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে।’ এদিকে ছেলেদের বিভিন্ন হলে ছাত্রশিবিরের হল শাখার নেতারা ফেসবুকে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে জনসংযোগ শুরু করেছেন। শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতিও রাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘রাকসুর ব্যাপারে আমরা প্রথম থেকেই তৎপর। ছাত্রশিবির পূর্ণ প্যানেল দেওয়ার সক্ষমতা রাখে। তবে আমরা সব স্টেক হোল্ডারের প্রতি সম্মান জানিয়ে যৌথ প্যানেলও দিতে পারি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আগ্রহী যে কাউকে আমরা স্বাগত জানাব।’ তার প্রার্থিতা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
ইসলামী ছাত্রী সংস্থা
এবারের রাকসু নির্বাচনে মেয়েদের ছয়টি হলে আলাদা প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাকসুতে ছাত্রীবিষয়ক দুটি পদ আছে সেগুলোতেও এই প্যানেল থেকে প্রার্থী হবে বলে জানায় একটি সূত্র। তবে মেয়েদের হলগুলোতে অন্য প্যানেলের আলোচনা না থাকায় ছাত্রী সংস্থা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ
রাকসুর ভিপি ও জিএস পদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ এবং সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী মারুফ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে আমিও আমার জায়গা থেকে অংশগ্রহণ করব। রাকসুর ভিপি পদে নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি সাপেক্ষে অন্য সিদ্ধান্তও আসতে পারে। ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে সমমনা কোনো সংগঠন চাইলে নির্বাচন করতে পারবে। এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাইলেও আমাদের সঙ্গে অংশ নিতে পারে।’
বামপন্থি ছাত্রসংগঠন
বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ বামপন্থি সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট মিলে একটা প্যানেল করবে বলে জানান কয়েকজন নেতা। এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘আমরা সংগঠনগুলোর বাইরেও বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্টের সঙ্গে আলোচনা করছি। কয়েকজন আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনের জন্য সম্মত হয়েছেন। প্যানেল চূড়ান্ত হলে আমরা গণমাধ্যমে এটি প্রকাশ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের এখনো সন্দেহের জায়গাটা রয়ে গেছে। কেননা রাকসুকেন্দ্রিক কোনো সংগঠনের কোনো রকম পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে জোটের আলোচনা চলছে, শিগগিরই প্যানেল ঘোষণা করা হবে। রাকসুর পাশাপাশি হল সংসদেও প্রার্থী দেওয়ার কথা চলছে।’
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত প্যানেল অনুযায়ী নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে সংগঠনের সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আকন্দ নির্বাচন করবেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে সংগঠনটি।
সাংবাদিকদের প্যানেল
রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্যানেলে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরাও রাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মনির হোসেন মাহিন রাকসু এবং সংগঠনটির ১ নম্বর সহসভাপতি সৈয়দ সাকিব সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের বিষয়টি নিজেই প্রকাশ করেছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা মিলে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল হতে পারে উল্লেখ করে প্রেসক্লাবের সভাপতি মনির হোসেন মাহিন বলেন, ‘প্রেসক্লাব থেকে আমরা প্যানেলের চিন্তা করছি। এটা প্রেসক্লাব এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্যানেল হতে পারে। যেসব শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এবং ক্যাম্পাসে ভালো পরিচিতি আছে, তারা চাইলে রাকসুতে প্রেসক্লাবের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচন করতে পারবেন। এ ছাড়া রাকসুর পাশাপাশি হল সংসদেও আমাদের প্যানেল থেকে প্রার্থিতার বিষয়ে আলোচনা চলছে। প্যানেল চূড়ান্ত হলে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
সাধারণ শিক্ষার্থী প্যানেল
এদিকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংগঠনের বাইরে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের সম্মিলিত একটি প্যানেলের আলোচনা শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ প্যানেল থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিচ্ছেন।
মেহেদি হাসান বকুল নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)নির্বাচনে শহিদ হবিবুর রহমান হল সংসদে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে আপনাদের নিকট দোয়া প্রার্থী।’
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘১৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব রকমের প্রস্তুতি চলছে। কোনো সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন পেছানোর দাবি করেনি। নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবে না।’ সুষ্ঠু, সুন্দরভাবেই নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এদিকে, রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। গত বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পাশাপাশি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন আরএমপি কমিশনার।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন নিয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় পর ক্যাম্পাসে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য ও রাজনৈতিক উত্তাপ। গত ২৮ জুলাই ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৫৬-৫৭ বর্ষে। সে সময় এই সংসদের নাম ছিল ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (রাকসু)। ১৯৬২ সালে ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ রাকসু’ নামে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৬ বার আয়োজন করা হয়েছে রাকসু নির্বাচন। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩৫ বছর পর ২৪-এর পটপরিবর্তনের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা রাকসু কার্যকরের দাবিতে আন্দোলন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাকসুতে মোট ২৩টি, হল সংসদে ১৫টি এবং সিনেটে ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল ঘোষণার পর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। পদপ্রত্যাশী প্রার্থীরা এবং ছাত্র সংগঠনগুলো প্যানেল গোছাতে নড়েচড়ে বসেছেন। শীর্ষ পদগুলোতে কারা নেতৃত্বে আসবেন এবং কোন কোন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা ও বিশ্লেষণ।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৭-১৯ আগস্ট মনোনয়নপত্র বিতরণ; ২১, ২৪ ও ২৫ আগস্ট মনোনয়নপত্র দাখিল; ২৭-২৮ আগস্ট যাচাই-বাছাই; ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা প্রকাশ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ এবং ফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনে রাকসুর ২৩টি পদ, হল সংসদের ১৫টি পদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ৫টি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতিটি আবাসিক হল, ডিপার্টমেন্ট ও ক্যাম্পাসের চায়ের দোকানে জমে উঠেছে নির্বাচনি আলোচনা। প্যানেল গঠনে ব্যস্ত ছাত্র সংগঠনগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সাবেক সমন্বয়কদের প্যানেল
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়করা মিলে একটি প্যানেলে রাকসু নির্বাচন করবেন। সম্ভাব্য এই প্যানেলে সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব ভিপি এবং জিএস পদপ্রার্থী ফাহিম রেজা, জি এস সাব্বির, সালাহউদ্দিন আম্মারসহ একাধিক নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া এই প্যানেলে মিডিয়া সম্পাদক হিসেবে আসতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বিজয়। তবে সাবেক সমন্বয়করা বিভিন্ন ইস্যুতে আলাদা হয়ে পড়েছেন। সবাইকে এক টেবিলে বসানোর চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে মেহেদী সজীব বলেন, ‘আমাদের প্যানেল এখনো প্রস্তুত হয়নি তবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ২৪-এর অভ্যুত্থানে একসঙ্গে কাজ করা সমমনাদের নিয়ে একটা প্যানেল করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ছাত্রদল
রাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের আলাদা প্যানেল হবে বলে জানান সংগঠনটির একাধিক নেতা। প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী। ছাত্রদলের প্যানেল থেকে জিএস পদপ্রার্থী হিসেবে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু নির্বাচন করতে পারেন বলে ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়। এদিকে হল সংসদে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের যৌথ প্যানেলের আলোচনাও শোনা যাচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে একটা প্যানেল করেছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়ার) মতো রাকসু নিয়েও একটা ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রদল প্রতিহত করবে। রুয়ার ব্যাপারে আমরা দেখেছি নির্বাচন হওয়ার পরপরই শিক্ষক নিয়োগে রুয়ার সদস্য সুপারিশ করা শুরু করেছে। রাকসু নিয়েও প্রশাসনের এমন পরিকল্পনা রয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্যানেল চূড়ান্ত করার আগে আমরা আমাদের সুস্পষ্ট কিছু দাবি নিয়ে ৭ আগস্ট থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
ছাত্রশিবির
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর রাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এ কারণে আমরা খুবই আনন্দিত। ছাত্রশিবির অবশ্যই রাকসুতে অংশগ্রহণ করবে। প্যানেল একক হবে নাকি সম্মিলিত হবে, এ বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। শিবির এককভাবে নির্বাচনে আসতে পারে, আবার অন্য ব্যক্তি বা সংগঠনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবেও নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে।’ এদিকে ছেলেদের বিভিন্ন হলে ছাত্রশিবিরের হল শাখার নেতারা ফেসবুকে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে জনসংযোগ শুরু করেছেন। শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতিও রাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘রাকসুর ব্যাপারে আমরা প্রথম থেকেই তৎপর। ছাত্রশিবির পূর্ণ প্যানেল দেওয়ার সক্ষমতা রাখে। তবে আমরা সব স্টেক হোল্ডারের প্রতি সম্মান জানিয়ে যৌথ প্যানেলও দিতে পারি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আগ্রহী যে কাউকে আমরা স্বাগত জানাব।’ তার প্রার্থিতা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
ইসলামী ছাত্রী সংস্থা
এবারের রাকসু নির্বাচনে মেয়েদের ছয়টি হলে আলাদা প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাকসুতে ছাত্রীবিষয়ক দুটি পদ আছে সেগুলোতেও এই প্যানেল থেকে প্রার্থী হবে বলে জানায় একটি সূত্র। তবে মেয়েদের হলগুলোতে অন্য প্যানেলের আলোচনা না থাকায় ছাত্রী সংস্থা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ
রাকসুর ভিপি ও জিএস পদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ এবং সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী মারুফ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে আমিও আমার জায়গা থেকে অংশগ্রহণ করব। রাকসুর ভিপি পদে নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি সাপেক্ষে অন্য সিদ্ধান্তও আসতে পারে। ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে সমমনা কোনো সংগঠন চাইলে নির্বাচন করতে পারবে। এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাইলেও আমাদের সঙ্গে অংশ নিতে পারে।’
বামপন্থি ছাত্রসংগঠন
বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ বামপন্থি সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট মিলে একটা প্যানেল করবে বলে জানান কয়েকজন নেতা। এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘আমরা সংগঠনগুলোর বাইরেও বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্টের সঙ্গে আলোচনা করছি। কয়েকজন আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনের জন্য সম্মত হয়েছেন। প্যানেল চূড়ান্ত হলে আমরা গণমাধ্যমে এটি প্রকাশ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের এখনো সন্দেহের জায়গাটা রয়ে গেছে। কেননা রাকসুকেন্দ্রিক কোনো সংগঠনের কোনো রকম পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে জোটের আলোচনা চলছে, শিগগিরই প্যানেল ঘোষণা করা হবে। রাকসুর পাশাপাশি হল সংসদেও প্রার্থী দেওয়ার কথা চলছে।’
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত প্যানেল অনুযায়ী নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে সংগঠনের সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আকন্দ নির্বাচন করবেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে সংগঠনটি।
সাংবাদিকদের প্যানেল
রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্যানেলে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরাও রাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মনির হোসেন মাহিন রাকসু এবং সংগঠনটির ১ নম্বর সহসভাপতি সৈয়দ সাকিব সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের বিষয়টি নিজেই প্রকাশ করেছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা মিলে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল হতে পারে উল্লেখ করে প্রেসক্লাবের সভাপতি মনির হোসেন মাহিন বলেন, ‘প্রেসক্লাব থেকে আমরা প্যানেলের চিন্তা করছি। এটা প্রেসক্লাব এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্যানেল হতে পারে। যেসব শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এবং ক্যাম্পাসে ভালো পরিচিতি আছে, তারা চাইলে রাকসুতে প্রেসক্লাবের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচন করতে পারবেন। এ ছাড়া রাকসুর পাশাপাশি হল সংসদেও আমাদের প্যানেল থেকে প্রার্থিতার বিষয়ে আলোচনা চলছে। প্যানেল চূড়ান্ত হলে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
সাধারণ শিক্ষার্থী প্যানেল
এদিকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংগঠনের বাইরে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের সম্মিলিত একটি প্যানেলের আলোচনা শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ প্যানেল থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিচ্ছেন।
মেহেদি হাসান বকুল নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)নির্বাচনে শহিদ হবিবুর রহমান হল সংসদে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে আপনাদের নিকট দোয়া প্রার্থী।’
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘১৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব রকমের প্রস্তুতি চলছে। কোনো সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন পেছানোর দাবি করেনি। নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবে না।’ সুষ্ঠু, সুন্দরভাবেই নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এদিকে, রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। গত বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পাশাপাশি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন আরএমপি কমিশনার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা সারোয়ার আলমকে সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রার্থীরা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে। অথচ সরকারি উদাসীনতার কারণে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে দেশের সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে শূন্যপদ বাড়ছে, অন্যদি
১৮ ঘণ্টা আগেএনজিও ও স্থানীয় সুদকারবারিদের ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে রাজশাহীতে এবার আকবর হোসেন (৫০) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেলেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামক ফিশিং বোটটি মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ৮ জন জেলেসহ সমুদ্রে গমন করে। অতঃপর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শ্যাফট বিকল হয়ে গেলে বোটটি সমুদ্রে ভাসতে থাকে।’
২০ ঘণ্টা আগে