
রাজশাহী ব্যুরো

গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস-আনন্দ ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন। আজ রোববার দুপুরে রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের সমাবর্তনে সামার ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ৫ হাজার ৩৮৪ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৫ শিক্ষার্থীকে আচার্য ও উপাচার্য পদক প্রদান করা হয়।
সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের হাতে ডিগ্রি তুলে দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, '১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান— যুগে যুগে সব কালজয়ী পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিয়েছে তরুণ প্রজন্ম।'
তিনি আরও বলেন, 'স্বল্প সময়ের মধ্যেই বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় একটি সৃজনশীল ও মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। যথাযথ নেতৃত্ব, পরিকল্পনা ও শিক্ষার মান বজায় রাখার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।'
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্বখ্যাত প্রকৌশল বিজ্ঞানী ও গবেষক, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকরাম হোসেন। তিনি বলেন, 'বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের বৈশ্বিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই জ্ঞানকে সমাজ, কর্মক্ষেত্র ও জীবনের পরবর্তী ধাপে কাজে লাগাতে হবে।'
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'জ্ঞানকে মানবিকতায় রূপ দেবেন, ক্ষমতাকে দায়িত্বে পরিণত করবেন এবং সাফল্যকে ব্যক্তিগত অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগাবেন।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. এম. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'প্রথাগত শিক্ষার মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের খরা, নদীভাঙনসহ বিভিন্ন সমস্যার টেকসই সমাধান সম্ভব নয়। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সময়োপযোগী ও আধুনিক শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে এই অঞ্চলের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।'
তিনি বলেন, 'যেসব শিক্ষার্থী আজ ডিগ্রি অর্জন করেছেন, এখন তাদের সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখার সময়।'
উত্তরাঞ্চলে বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। তিনি বলেন, 'প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি ও বৈশ্বিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিরলসভাবে কাজ করছে।'
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা বলেন, 'আন্তবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র সম্প্রসারণ, ইনোভেশন হাব গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম জোরদারে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, এখানে অর্জিত জ্ঞান মানবতার কল্যাণে ব্যবহৃত হবে।'
এবারের সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আল মুক্তাদির মুনেম এবং অর্থনীতি বিভাগের মো. সোহানুর রহমান।
আর ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পান ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অপ্সরা খান, অর্থনীতি বিভাগের শতাব্দী রাণী দাস এবং ফার্মেসি বিভাগের শিখা খাতুন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা, অভিভাবক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস-আনন্দ ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন। আজ রোববার দুপুরে রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের সমাবর্তনে সামার ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ৫ হাজার ৩৮৪ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৫ শিক্ষার্থীকে আচার্য ও উপাচার্য পদক প্রদান করা হয়।
সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের হাতে ডিগ্রি তুলে দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, '১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান— যুগে যুগে সব কালজয়ী পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিয়েছে তরুণ প্রজন্ম।'
তিনি আরও বলেন, 'স্বল্প সময়ের মধ্যেই বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় একটি সৃজনশীল ও মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। যথাযথ নেতৃত্ব, পরিকল্পনা ও শিক্ষার মান বজায় রাখার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।'
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্বখ্যাত প্রকৌশল বিজ্ঞানী ও গবেষক, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকরাম হোসেন। তিনি বলেন, 'বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের বৈশ্বিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই জ্ঞানকে সমাজ, কর্মক্ষেত্র ও জীবনের পরবর্তী ধাপে কাজে লাগাতে হবে।'
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'জ্ঞানকে মানবিকতায় রূপ দেবেন, ক্ষমতাকে দায়িত্বে পরিণত করবেন এবং সাফল্যকে ব্যক্তিগত অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগাবেন।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. এম. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'প্রথাগত শিক্ষার মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের খরা, নদীভাঙনসহ বিভিন্ন সমস্যার টেকসই সমাধান সম্ভব নয়। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সময়োপযোগী ও আধুনিক শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে এই অঞ্চলের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।'
তিনি বলেন, 'যেসব শিক্ষার্থী আজ ডিগ্রি অর্জন করেছেন, এখন তাদের সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখার সময়।'
উত্তরাঞ্চলে বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। তিনি বলেন, 'প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি ও বৈশ্বিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিরলসভাবে কাজ করছে।'
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা বলেন, 'আন্তবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র সম্প্রসারণ, ইনোভেশন হাব গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম জোরদারে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, এখানে অর্জিত জ্ঞান মানবতার কল্যাণে ব্যবহৃত হবে।'
এবারের সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আল মুক্তাদির মুনেম এবং অর্থনীতি বিভাগের মো. সোহানুর রহমান।
আর ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পান ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অপ্সরা খান, অর্থনীতি বিভাগের শতাব্দী রাণী দাস এবং ফার্মেসি বিভাগের শিখা খাতুন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা, অভিভাবক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার ইসরাত রায়হান অমির বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় পূর্ব থেকেই তিনটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্নভাবে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফেরিতে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎ চালু হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকে। এসময় ট্রাকের ধাক্কায় ফেরির নিরাপত্তা রেলিং ভেঙে একটি মোটরসাইকেল, দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও একটি ভ্যানগাড়িসহ ট্রাকটি নদীতে তলিয়ে যায়।
১১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম।
১ দিন আগে
একই সাথে, ওই চিকিৎসককে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে সে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে