
রাজশাহী ব্যুরো

চাষাবাদের ভরা মৌসুমে হঠাৎ আলুর বীজ সংকট ও সারের দাম বৃদ্ধির কারণে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকেরা। বেশি মুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ী ও কিছু কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করছেন কৃষকরা। তারা জানান, সার সংগ্রহ করতে গিয়ে চাষিদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই সঙ্গে গুনতে হচ্ছে বেশি টাকা। তবে ডিলাররা বলছেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তারা চাষিদের ঠিকমতো সার দিতে পারছেন না। আবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বীজ সরবরাহ না করায় ভালো বীজ পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। এতে আলু আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
যদিও সার সংকটের বিষয়ে কৃষি বিভাগ বলছে, বাড়তি ফলনের আশায় অনেকে কৃষকই মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার করছেন। ফলে সংকট বেড়েছে। তারা কৃষকদের সঙ্গে গ্রুপ মিটিং এবং ইয়ার্ড মিটিং করছেন এবং কৃষকদের সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন যাতে পরবর্তীতে অনুমোদিত মাত্রার বেশি সার প্রয়োগ না হয়। অনুমোদিত মাত্রায় সার ব্যবহার করলে সংকট হবে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট ১০৬ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৯ লাখ টনই উৎপাদন হয়েছে রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে শুধু রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৯৮ লাখ ৫৫ হাজার টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার রাজশাহী অঞ্চলে আলু ফলনের লক্ষ্যমাত্রা সর্বোচ্চ। ২০২৩-২৪ মৌসুমে রাজশাহীতে আলু উৎপাদিত হয়েছে ৯ লাখ টন। ২০২৪-২৫ মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। তবে আলু চাষের হিড়িক পড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত আরও সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রেকর্ড উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা থাকা থাকলেও বিএডিসি এবং বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশন চলতি মৌসুমে বীজ ও সার বরাদ্দ বাড়ায়নি। ফলে আলুবীজ ও সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত বীজ ও সারের দাম বৃদ্ধির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
রাজশাহীর বাগমারা, তানোর, পবা ও মোহনপুর উপজেলা এলাকার আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে আলুর চড়া দামের কারণে এবার আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। এ কারণে আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে জমি তৈরি করছেন চাষিরা। ফলে আলুবীজের সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে, চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, এবার সার কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডিলাররা বরাদ্দ কম থাকার অজুহাতে তাদের কাছ থেকে প্রতি বস্তা সারে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নিচ্ছেন।
তানোর উপজেলার কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের কৃষিজমিতে কখন এবং কতটা সার প্রয়োগ করতে হবে, তা আমরা আসলে জানি না। বর্তমানে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করি। আমরা দুটি বস্তা (১০০ কেজি) এমওপি (মিউরেট অব পটাশ), এক বস্তা (৫০ কেজি) ড্যাপ (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) এবং এক বস্তা টিএসপি (ট্রিপল সুপারফসফেট) প্রতি বিঘা জমিতে আলুবীজ রোপণের আগে ব্যবহার করি। আলুর পাতা গজালে আমরা আবার অল্প পরিমাণ সার দিই।
তিনি আরও বলেন, আমার ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষের জন্য ৩০ বস্তা এমওপি, ১৫ বস্তা ড্যাপ এবং ১৫ বস্তা টিএসপি প্রয়োজন। বিসিআইসি ডিলারের দোকানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও সরকার নির্ধারিত দামে মাত্র এক বস্তা এমওপি সার পেয়েছি।
পবা উপজেলার কৃষক সবুজ ইসলাম বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে আলুবীজ লাগানোর আগে দুই বস্তা এমওপি, দেড় বস্তা ড্যাপ এবং আধা বস্তা টিএসপি প্রয়োগ করছি। আমরা যত বেশি সার ব্যবহার করব, মৌসুম শেষে তত বেশি ফলন পাব।
আলু চাষের জন্য জমিতে কী পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হবে সে বিষয়ে কৃষি বিভাগের কেউ যোগাযোগ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
বাগমারা উপজেলার কৃষক খোরশেদ আলম জানান, তারাও প্রতি বিঘা জমিতে দুই বস্তা এমওপি এবং এক বস্তা টিএসপি ও ড্যাপ প্রয়োগ করছেন। বেশি ফলন পাওয়ার লক্ষ্যে তারা আলুক্ষেতে সার প্রয়োগে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
এদিকে পবা উপজেলার বায়া বাজারের একটি বিসিআইসি ডিলারের দোকানে সরেজমিন দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত দাম ১ হাজার টাকার এমওপি ১ হাজার ১৮০ টাকায়, ১ হাজার ৫০ টাকার ড্যাপ ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং ১ হাজার ৫০ টাকার টিএসপি ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দোকানে কর্মরত এক কর্মচারী বলেন, কৃষকদের চাহিদার বিপরীতে বিসিআইসির বরাদ্দ খুবই কম হওয়ায় তারা অন্য জায়গা থেকে সার সংগ্রহ করেছেন। যখন একজন কৃষকেরই ২০০ বস্তার প্রয়োজন হয়, তখন প্রত্যেক ডিলারের জন্য মোট ১২০ বস্তা টিএসপি বরাদ্দ করা হয়েছিল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক কাওসার আলী বলেন, প্রতি বিঘা জমি আলু চাষের উপযোগী করতে ২০ থেকে ২৫ কেজি এমওপি এবং টিএসপি বা ড্যাপই যথেষ্ট। সচেতনতার অভাবে কৃষকরা অতিরিক্ত সার ব্যবহার করছেন, যা সারের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহারের কারণে কৃষকদের শুধু আর্থিক ক্ষতিই হচ্ছে না, ফসলি জমির ওপরের মাটিও নষ্ট হচ্ছে, ফলে উৎপাদন কম হচ্ছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে সালমা বলেন, আমরা কৃষকদের সচেতন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। যাতে তারা তাদের ফসলি জমিতে অনুমোদিত মাত্রার সার প্রয়োগ করতে পারে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকের সঙ্গে গ্রুপ মিটিং ও ইয়ার্ড মিটিং করছি। জমিতে যাতে অনুমোদিত মাত্রার বেশি সার প্রয়োগ করা না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কোনো ডিলার যেন কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিতে না পারে। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

চাষাবাদের ভরা মৌসুমে হঠাৎ আলুর বীজ সংকট ও সারের দাম বৃদ্ধির কারণে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকেরা। বেশি মুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ী ও কিছু কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করছেন কৃষকরা। তারা জানান, সার সংগ্রহ করতে গিয়ে চাষিদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই সঙ্গে গুনতে হচ্ছে বেশি টাকা। তবে ডিলাররা বলছেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তারা চাষিদের ঠিকমতো সার দিতে পারছেন না। আবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বীজ সরবরাহ না করায় ভালো বীজ পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। এতে আলু আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
যদিও সার সংকটের বিষয়ে কৃষি বিভাগ বলছে, বাড়তি ফলনের আশায় অনেকে কৃষকই মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার করছেন। ফলে সংকট বেড়েছে। তারা কৃষকদের সঙ্গে গ্রুপ মিটিং এবং ইয়ার্ড মিটিং করছেন এবং কৃষকদের সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন যাতে পরবর্তীতে অনুমোদিত মাত্রার বেশি সার প্রয়োগ না হয়। অনুমোদিত মাত্রায় সার ব্যবহার করলে সংকট হবে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট ১০৬ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৯ লাখ টনই উৎপাদন হয়েছে রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে শুধু রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৯৮ লাখ ৫৫ হাজার টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার রাজশাহী অঞ্চলে আলু ফলনের লক্ষ্যমাত্রা সর্বোচ্চ। ২০২৩-২৪ মৌসুমে রাজশাহীতে আলু উৎপাদিত হয়েছে ৯ লাখ টন। ২০২৪-২৫ মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। তবে আলু চাষের হিড়িক পড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত আরও সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রেকর্ড উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা থাকা থাকলেও বিএডিসি এবং বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশন চলতি মৌসুমে বীজ ও সার বরাদ্দ বাড়ায়নি। ফলে আলুবীজ ও সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত বীজ ও সারের দাম বৃদ্ধির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
রাজশাহীর বাগমারা, তানোর, পবা ও মোহনপুর উপজেলা এলাকার আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে আলুর চড়া দামের কারণে এবার আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। এ কারণে আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে জমি তৈরি করছেন চাষিরা। ফলে আলুবীজের সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে, চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, এবার সার কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডিলাররা বরাদ্দ কম থাকার অজুহাতে তাদের কাছ থেকে প্রতি বস্তা সারে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নিচ্ছেন।
তানোর উপজেলার কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের কৃষিজমিতে কখন এবং কতটা সার প্রয়োগ করতে হবে, তা আমরা আসলে জানি না। বর্তমানে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করি। আমরা দুটি বস্তা (১০০ কেজি) এমওপি (মিউরেট অব পটাশ), এক বস্তা (৫০ কেজি) ড্যাপ (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) এবং এক বস্তা টিএসপি (ট্রিপল সুপারফসফেট) প্রতি বিঘা জমিতে আলুবীজ রোপণের আগে ব্যবহার করি। আলুর পাতা গজালে আমরা আবার অল্প পরিমাণ সার দিই।
তিনি আরও বলেন, আমার ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষের জন্য ৩০ বস্তা এমওপি, ১৫ বস্তা ড্যাপ এবং ১৫ বস্তা টিএসপি প্রয়োজন। বিসিআইসি ডিলারের দোকানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও সরকার নির্ধারিত দামে মাত্র এক বস্তা এমওপি সার পেয়েছি।
পবা উপজেলার কৃষক সবুজ ইসলাম বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে আলুবীজ লাগানোর আগে দুই বস্তা এমওপি, দেড় বস্তা ড্যাপ এবং আধা বস্তা টিএসপি প্রয়োগ করছি। আমরা যত বেশি সার ব্যবহার করব, মৌসুম শেষে তত বেশি ফলন পাব।
আলু চাষের জন্য জমিতে কী পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হবে সে বিষয়ে কৃষি বিভাগের কেউ যোগাযোগ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
বাগমারা উপজেলার কৃষক খোরশেদ আলম জানান, তারাও প্রতি বিঘা জমিতে দুই বস্তা এমওপি এবং এক বস্তা টিএসপি ও ড্যাপ প্রয়োগ করছেন। বেশি ফলন পাওয়ার লক্ষ্যে তারা আলুক্ষেতে সার প্রয়োগে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
এদিকে পবা উপজেলার বায়া বাজারের একটি বিসিআইসি ডিলারের দোকানে সরেজমিন দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত দাম ১ হাজার টাকার এমওপি ১ হাজার ১৮০ টাকায়, ১ হাজার ৫০ টাকার ড্যাপ ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং ১ হাজার ৫০ টাকার টিএসপি ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দোকানে কর্মরত এক কর্মচারী বলেন, কৃষকদের চাহিদার বিপরীতে বিসিআইসির বরাদ্দ খুবই কম হওয়ায় তারা অন্য জায়গা থেকে সার সংগ্রহ করেছেন। যখন একজন কৃষকেরই ২০০ বস্তার প্রয়োজন হয়, তখন প্রত্যেক ডিলারের জন্য মোট ১২০ বস্তা টিএসপি বরাদ্দ করা হয়েছিল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক কাওসার আলী বলেন, প্রতি বিঘা জমি আলু চাষের উপযোগী করতে ২০ থেকে ২৫ কেজি এমওপি এবং টিএসপি বা ড্যাপই যথেষ্ট। সচেতনতার অভাবে কৃষকরা অতিরিক্ত সার ব্যবহার করছেন, যা সারের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহারের কারণে কৃষকদের শুধু আর্থিক ক্ষতিই হচ্ছে না, ফসলি জমির ওপরের মাটিও নষ্ট হচ্ছে, ফলে উৎপাদন কম হচ্ছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে সালমা বলেন, আমরা কৃষকদের সচেতন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। যাতে তারা তাদের ফসলি জমিতে অনুমোদিত মাত্রার সার প্রয়োগ করতে পারে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকের সঙ্গে গ্রুপ মিটিং ও ইয়ার্ড মিটিং করছি। জমিতে যাতে অনুমোদিত মাত্রার বেশি সার প্রয়োগ করা না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কোনো ডিলার যেন কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিতে না পারে। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে দলীয় পদ হারানোর এক বছর ১০ মাস পর আবারও ‘ঘরে ফিরলেন’ রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকাকেন্দ্রিক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন।
২ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেট সংলগ্ন একটি খাবার হোটেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুখোশধারী একদল হামলাকারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনা ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
২ দিন আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না—২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা তার প্রমাণ দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে ক্ষমতাসীনরা দানবে পরিণত
২ দিন আগে
রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিমন মিয়ার আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-৫ এর বিচারক আশিকুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২ দিন আগে