
রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ স্মরণে আয়োজিত ফিস্টের খাবার খেয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে বিজয়-২৪ হলের অন্তত ৮৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। খাবার গ্রহণের কিছুক্ষণ পর থেকেই শিক্ষার্থীরা পেটব্যথা, বমি, মাথা ঘোরা, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা উপসর্গে ভুগতে শুরু করেন। এ ঘটনায় দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। এ ছাড়া অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে বিজয় ফিস্টের আয়োজন করা হয়। আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ৫০ টাকা ফি দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করে এই খাবার খেয়েছেন। পরে খাবারের নিম্নমান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিজয় চব্বিশ হলের বেশকয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন বলে ফেসবুকে জানান। এরপরই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি জানান, 'চিকিৎসাকেন্দ্রে সাধারণত প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু আজ (বুধবার) শুধু সকাল শিফটেই চার শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে পেটের বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসা নিয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। আর অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই বিজয়-২৪ হলের আবাসিক ছাত্র। তবে অন্য হলের অনেক শিক্ষার্থীও একই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে আসেন।'
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফিস্টে পরিবেশিত খাবার ছিল আগের রাতে রান্না করা, নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর। কেউ কেউ খাবারে চুল, পোকা এবং মুরগির অপ্রয়োজনীয় অংশ পেয়েছেন বলেও জানান।
বিজয়-২৪ হলের ১৩২ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী সাগর আহসান বলেন, ‘খাবার খাওয়ার পর পেটে ব্যথা অনুভব করি। রাতেও খাবার খেতে পারি নাই। পরে সকালে মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।’
হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী অর্পণ ধর বলেন, ‘আমাদের কক্ষের আমিসহ তিনজনই বিজয় ফিস্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখন পর্যন্ত ৫-৬ বার টয়লেটে গিয়েছি। সকালে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে ঔষধ নিয়ে এসেছি।’
বিজয়-২৪ হলের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খাবার খাওয়ার পরপরই পেটে গ্যাসের সমস্যা শুরু হয়। শরীরে অস্বস্তি অনুভব করি।’
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী রবিউর রহমান বলেন, ‘৫০ টাকার যে খাবার দেওয়া হয়েছিল, তা ক্যান্টিনের সস্তা খাবারের চেয়েও বাজে ছিল। রান্নাও ভালো ছিল না।’
অভিযোগ রয়েছে, ১৫০ টাকা বাজেটের খাবারের মান ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। শহীদ শামসুজ্জোহা হলের শিক্ষার্থী আরহাদ আহমেদ বলেন, ‘রোস্ট ছিল ছোট, শুকনো এবং ভালোভাবে রান্না করা হয়নি। মনে হচ্ছে বরাদ্দকৃত অর্থের পুরোটা খরচ করা হয়নি।’
বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিজয় ফিস্টের খাবার খেয়ে হলের ৮৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। কারও গ্যাস্টিক ও কারও ফুডপয়জনজনিত সমস্যা হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত। সবাইকে খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
রাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘অসুস্থ শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা জানতে সংশ্লিষ্ট প্রাধ্যক্ষদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ স্মরণে আয়োজিত ফিস্টের খাবার খেয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে বিজয়-২৪ হলের অন্তত ৮৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। খাবার গ্রহণের কিছুক্ষণ পর থেকেই শিক্ষার্থীরা পেটব্যথা, বমি, মাথা ঘোরা, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা উপসর্গে ভুগতে শুরু করেন। এ ঘটনায় দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। এ ছাড়া অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে বিজয় ফিস্টের আয়োজন করা হয়। আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ৫০ টাকা ফি দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করে এই খাবার খেয়েছেন। পরে খাবারের নিম্নমান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিজয় চব্বিশ হলের বেশকয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন বলে ফেসবুকে জানান। এরপরই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি জানান, 'চিকিৎসাকেন্দ্রে সাধারণত প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু আজ (বুধবার) শুধু সকাল শিফটেই চার শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে পেটের বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসা নিয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। আর অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই বিজয়-২৪ হলের আবাসিক ছাত্র। তবে অন্য হলের অনেক শিক্ষার্থীও একই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে আসেন।'
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফিস্টে পরিবেশিত খাবার ছিল আগের রাতে রান্না করা, নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর। কেউ কেউ খাবারে চুল, পোকা এবং মুরগির অপ্রয়োজনীয় অংশ পেয়েছেন বলেও জানান।
বিজয়-২৪ হলের ১৩২ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী সাগর আহসান বলেন, ‘খাবার খাওয়ার পর পেটে ব্যথা অনুভব করি। রাতেও খাবার খেতে পারি নাই। পরে সকালে মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।’
হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী অর্পণ ধর বলেন, ‘আমাদের কক্ষের আমিসহ তিনজনই বিজয় ফিস্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখন পর্যন্ত ৫-৬ বার টয়লেটে গিয়েছি। সকালে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে ঔষধ নিয়ে এসেছি।’
বিজয়-২৪ হলের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খাবার খাওয়ার পরপরই পেটে গ্যাসের সমস্যা শুরু হয়। শরীরে অস্বস্তি অনুভব করি।’
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী রবিউর রহমান বলেন, ‘৫০ টাকার যে খাবার দেওয়া হয়েছিল, তা ক্যান্টিনের সস্তা খাবারের চেয়েও বাজে ছিল। রান্নাও ভালো ছিল না।’
অভিযোগ রয়েছে, ১৫০ টাকা বাজেটের খাবারের মান ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। শহীদ শামসুজ্জোহা হলের শিক্ষার্থী আরহাদ আহমেদ বলেন, ‘রোস্ট ছিল ছোট, শুকনো এবং ভালোভাবে রান্না করা হয়নি। মনে হচ্ছে বরাদ্দকৃত অর্থের পুরোটা খরচ করা হয়নি।’
বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিজয় ফিস্টের খাবার খেয়ে হলের ৮৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। কারও গ্যাস্টিক ও কারও ফুডপয়জনজনিত সমস্যা হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত। সবাইকে খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
রাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘অসুস্থ শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা জানতে সংশ্লিষ্ট প্রাধ্যক্ষদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেট সংলগ্ন একটি খাবার হোটেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুখোশধারী একদল হামলাকারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনা ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১ দিন আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না—২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা তার প্রমাণ দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে ক্ষমতাসীনরা দানবে পরিণত
১ দিন আগে
রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিমন মিয়ার আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-৫ এর বিচারক আশিকুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও দুজনকে মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে তারা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে এবং আন্দোলন চালান।
১ দিন আগে