রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীতে চারদিন ধরে অধিকাংশ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত। এছাড়া আজ শুক্রবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় হাত-পা জমে যাওয়ার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। এর ফলে উত্তরের এই জেলায় শীত আরও বেড়ে গেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটি কয়দিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।’
মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে রাজশাহী। এর সঙ্গে বয়ে চলেছে উত্তরের কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। এতে কাবু হয়ে পড়েছে পথে-প্রান্তরে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। সূর্যের মুখ খুব একটা দেখা না যাওয়ায় রোদের উত্তাপ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই শীতার্ত মানুষগুলো। দিনভর কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি পেরিয়ে সন্ধ্যা নামতেই আবারও অসহনীয় হয়ে উঠছে শীতের দাপট। শহর-নগরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এখন শীতের কাঁপুনি বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য এই শীতের তীব্রতা বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দুর্ভোগ। হিমেল বাতাস আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
এদিকে, শীত নামলেও রাজশাহীতে সরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ সোমবার সকালে বলেন, আমাদের এখনও শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে জেলার সবখানেই তা বিতরণ করা হবে।
এছাড়া, হঠাৎ করে আবারও শীতের প্রকোপ বাড়ায় কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শীত যতই বাড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। শিশু ও বয়স্করাই অন্যদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে নবজাতক শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বয়স্করাও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দি, কাশি ও হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।
অন্যদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষ। ফলে শহরের রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাচল কিছুটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোরে সূর্য উঠতে দেরি করায় কুয়াশার ভেতর খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষকে।
তবে শীতবস্ত্র নিয়ে এখনও সেভাবে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে। শীত বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
অপরদিকে, রাজশাহীর মাঠজুড়ে এখন চলছে রবিশস্যের আবাদ। সরিষা, টমেটো, শিম, লাউ, শালগম, বাঁধাকপি, আলু থেকে শুরু করে একাধিক রবি ফসল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনেক ফসল ঘরে তোলার সময়ও হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ ধরে টানা কুয়াশায় অনেক ফসলেই বেড়েছে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ। এ কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি তথ্য সূত্র জানায়, কুয়াশার কারণে ধানের চারা হলদে হয়ে যেতে পারে। সরিষায় বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া আলুর পাতায় মড়ক লাগার আশঙ্কা আছে। সাধারণত এ সময় আম গাছে মুকুল আসে। তাই ভালো ফলন পেতে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। এসব বিষয়ে সমাধান পেতে নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে সমাধান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন ঘন কুয়াশা থাকলে রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
রাজশাহীতে চারদিন ধরে অধিকাংশ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত। এছাড়া আজ শুক্রবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় হাত-পা জমে যাওয়ার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। এর ফলে উত্তরের এই জেলায় শীত আরও বেড়ে গেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটি কয়দিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।’
মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে রাজশাহী। এর সঙ্গে বয়ে চলেছে উত্তরের কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। এতে কাবু হয়ে পড়েছে পথে-প্রান্তরে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। সূর্যের মুখ খুব একটা দেখা না যাওয়ায় রোদের উত্তাপ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই শীতার্ত মানুষগুলো। দিনভর কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি পেরিয়ে সন্ধ্যা নামতেই আবারও অসহনীয় হয়ে উঠছে শীতের দাপট। শহর-নগরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এখন শীতের কাঁপুনি বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য এই শীতের তীব্রতা বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দুর্ভোগ। হিমেল বাতাস আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
এদিকে, শীত নামলেও রাজশাহীতে সরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ সোমবার সকালে বলেন, আমাদের এখনও শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে জেলার সবখানেই তা বিতরণ করা হবে।
এছাড়া, হঠাৎ করে আবারও শীতের প্রকোপ বাড়ায় কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শীত যতই বাড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। শিশু ও বয়স্করাই অন্যদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে নবজাতক শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বয়স্করাও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দি, কাশি ও হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।
অন্যদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষ। ফলে শহরের রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাচল কিছুটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোরে সূর্য উঠতে দেরি করায় কুয়াশার ভেতর খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষকে।
তবে শীতবস্ত্র নিয়ে এখনও সেভাবে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে। শীত বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
অপরদিকে, রাজশাহীর মাঠজুড়ে এখন চলছে রবিশস্যের আবাদ। সরিষা, টমেটো, শিম, লাউ, শালগম, বাঁধাকপি, আলু থেকে শুরু করে একাধিক রবি ফসল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনেক ফসল ঘরে তোলার সময়ও হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ ধরে টানা কুয়াশায় অনেক ফসলেই বেড়েছে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ। এ কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি তথ্য সূত্র জানায়, কুয়াশার কারণে ধানের চারা হলদে হয়ে যেতে পারে। সরিষায় বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া আলুর পাতায় মড়ক লাগার আশঙ্কা আছে। সাধারণত এ সময় আম গাছে মুকুল আসে। তাই ভালো ফলন পেতে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। এসব বিষয়ে সমাধান পেতে নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে সমাধান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন ঘন কুয়াশা থাকলে রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মামুনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে সিপিসি-২, র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ। বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা ১২টা ২০মিনিটে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিডিয়া অফিসার অধিনায়কের পক্ষে কোম্পানি কমান্ডার স্কেয়াড্রন লীডার মোঃ আশরাফুল কবির এক প্রেস বিজ
১ দিন আগেখাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ছোট মেরু এলাকায় বিনামূল্যে নেট না দেওয়ায় স্থানীয় এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে মারধরের অভিযোগে মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসানকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।
১ দিন আগেভ্রাম্যমাণ আদালত বলেছেন, ঢাকা কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পুরো বাড়িটিই বুড়িগঙ্গা নদী ও নদীর তীরবর্তী জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল। নদী তীরের প্রায় দেড় একর জমি ছিল বাড়িটির দখলে।
১ দিন আগেঅভিযান শেষে ইউএনও মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অসাধু উপায়ে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রাথমিকভাবে ফার্মেসি মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। জনসচেতনতা তৈরির জন্যই এ অভিযান। সামনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২ দিন আগে