
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া ৩২ বস্তা টাকা গণনা শেষ করেছে প্রশাসন ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ। চার মাস ১৮ দিনে জমা হওয়া এই টাকা গুনে দেখা গেছে, এর পরিমাণ ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা। এর বাইরেও রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা এবং সোনা-রুপার অলংকার।
পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া টাকার পরিমাণ এবারই ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এর আগে গত এপ্রিলে এই মসজিদের দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। ওই অঙ্কও ছিল ওই সময় পর্যন্ত রেকর্ড, যা সাড়ে চার মাস পরই ভেঙে গেল।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। সকাল ৯টার দিকে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে টাকা ঢেলে শুরু হয় গণনা।
পাগলা মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, পাগলা মসজিদসংলগ্ন মাদরাসার ১২০ জন ও আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসার ২২০ জন ছাত্র অংশ নেয় টাকা গণনায়। এ ছাড়া পাগলা মসজিদের ৪৫ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্যসহ মোট পাঁচ শতাধিক গণনাকারীর রাত ৮টা পর্যন্ত সময় লাগে টাকা গুনে শেষ করতে।
দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এরশাদুল আহমেদ বলেন, পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। প্রায় ১১ ঘণ্টা সময় লাগে এসব টাকা গুনতে। এবার ১২ কোটির বেশি টাকা পাওয়া গেছে। এর আগে দানবাক্স খুলে কখনো এত টাকা পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা ও গণনা শেষে ব্যাংকে সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিয়োজিত ছিল। আমি নিজেও মসজিদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলাম। সুশৃঙ্খলভাবে সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া বিদেশি মুদ্রা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
দানবাক্সের টাকা গণনা দেখতে দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে এসেছিলেন। হোসেনপুর উপজেলার সিদলা এলাকা থেকে আসা জাকারিয়া হোসাইন বলেন, পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা সবসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখি। এবার ভাবলাম সামনাসামনি দেখব। তাই চলে এসেছি।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, পাগলা মসজিদে দানের টাকা থেকে বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়ে থাকে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া সোনা-রুপার অলংকার। ছবি: রাজনীতি ডটকম
দানের টাকায় পাগলা মসজিদকেন্দ্রিক একটি ইসলামি কমপ্লেক্সও গড়ে তোলা হবে বলে জানান ফৌজিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী কমপ্লেক্সটি হবে ১০ তলা। অনাথ-এতিমদের থাকা ও লেখাপড়ার ব্যবস্থা ছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষা, মাদরাসাশিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া ও আইটি সেকশন থাকবে এই কমপ্লেক্সে।
ফৌজিয়া খান বলেন, মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য নকশা জমা দিয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা করে একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মসজিদ কমিটি দ্রুত কার্যাদেশ দেবে এবং কাজ শুরু হয়ে যাবে।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া ৩২ বস্তা টাকা গণনা শেষ করেছে প্রশাসন ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ। চার মাস ১৮ দিনে জমা হওয়া এই টাকা গুনে দেখা গেছে, এর পরিমাণ ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা। এর বাইরেও রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা এবং সোনা-রুপার অলংকার।
পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া টাকার পরিমাণ এবারই ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এর আগে গত এপ্রিলে এই মসজিদের দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। ওই অঙ্কও ছিল ওই সময় পর্যন্ত রেকর্ড, যা সাড়ে চার মাস পরই ভেঙে গেল।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। সকাল ৯টার দিকে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে টাকা ঢেলে শুরু হয় গণনা।
পাগলা মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, পাগলা মসজিদসংলগ্ন মাদরাসার ১২০ জন ও আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসার ২২০ জন ছাত্র অংশ নেয় টাকা গণনায়। এ ছাড়া পাগলা মসজিদের ৪৫ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্যসহ মোট পাঁচ শতাধিক গণনাকারীর রাত ৮টা পর্যন্ত সময় লাগে টাকা গুনে শেষ করতে।
দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এরশাদুল আহমেদ বলেন, পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। প্রায় ১১ ঘণ্টা সময় লাগে এসব টাকা গুনতে। এবার ১২ কোটির বেশি টাকা পাওয়া গেছে। এর আগে দানবাক্স খুলে কখনো এত টাকা পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা ও গণনা শেষে ব্যাংকে সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিয়োজিত ছিল। আমি নিজেও মসজিদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলাম। সুশৃঙ্খলভাবে সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া বিদেশি মুদ্রা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
দানবাক্সের টাকা গণনা দেখতে দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে এসেছিলেন। হোসেনপুর উপজেলার সিদলা এলাকা থেকে আসা জাকারিয়া হোসাইন বলেন, পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা সবসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখি। এবার ভাবলাম সামনাসামনি দেখব। তাই চলে এসেছি।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, পাগলা মসজিদে দানের টাকা থেকে বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়ে থাকে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া সোনা-রুপার অলংকার। ছবি: রাজনীতি ডটকম
দানের টাকায় পাগলা মসজিদকেন্দ্রিক একটি ইসলামি কমপ্লেক্সও গড়ে তোলা হবে বলে জানান ফৌজিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী কমপ্লেক্সটি হবে ১০ তলা। অনাথ-এতিমদের থাকা ও লেখাপড়ার ব্যবস্থা ছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষা, মাদরাসাশিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া ও আইটি সেকশন থাকবে এই কমপ্লেক্সে।
ফৌজিয়া খান বলেন, মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য নকশা জমা দিয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা করে একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মসজিদ কমিটি দ্রুত কার্যাদেশ দেবে এবং কাজ শুরু হয়ে যাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ অপসারণ করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। প্রায় ৩০ লাখ ফলোয়ারসমৃদ্ধ পেজটি সম্প্রতি সরিয়ে দিয়েছে মেটা কর্তৃপক্ষ।
১৭ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সাইফুল সরদারের বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। নিহত সাইফুল আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের জনজীবন। জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২০ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা নাগাদ হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে অ্যাডভেঞ্চার-৯ ও জাকির সম্রাট-৩ নামে দুটি লঞ্চের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২১ ঘণ্টা আগে