খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
মানহানি, নিরাপত্তাহীনতা, অনিয়ম ও হুমকির অভিযোগে খাগড়াছড়িতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় দুই নেতা-নেত্রী পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা চলছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানায় জিডি করেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ও দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমা এবং একই দলের গুইমারা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক ও জেলা যুগ্ম সমন্বয়ক মো. রাসেল শেখ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, মনজিলা সুলতানা ১২ জুলাই এবং রাসেল শেখ ১৩ জুলাই জিডি করেন। উভয় জিডি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মনজিলা সুলতানা তার জিডিতে রাসেল শেখসহ ২০–২৫ জনকে অভিযুক্ত করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ও সংগঠনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বক্তব্য ছড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, রাসেল শেখ তার জিডিতে মনজিলার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক অনিয়ম, হুমকি এবং মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
এ নিয়ে গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রাসেল শেখ অভিযোগ করেন, মনজিলা সুলতানা এনসিপির নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম করছেন। তিনি দাবি করেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের গুইমারা বাজারের ইজারা থেকে লাভের অর্থ আত্মসাৎ ও একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দ নিজের নামে নিয়েছেন মনজিলা।
রাসেল শেখ জানান, অনিয়মের বিষয়ে মনজিলাকে মৌখিকভাবে একাধিকবার সতর্ক করার পরও কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের মৌখিকভাবে জানানোর পর লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্তু সে সময় চ্যাটিং গ্রুপ থেকে কেউ একজন তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মনজিলা ক্ষিপ্ত হয়ে নানা হুমকি দেন। ফলে অনেকে অভিযোগ দেয়া থেকে সরে দাড়াঁয়।
রাসেল অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনস্থ বাজার ফান্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন গুইমারা বাজারের ইজারার শেয়ারের লভ্যাংশ আত্মসাত করেন মনজিলা। পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে সংগঠনের নামে এক কোটি ৬০ লাখ টাকার কাজ ও ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন প্রকল্প নিজ নামে গ্রহণ করে অর্থ আত্মসাতও করেন তিনি।
এদিকে, মনজিলা সুলতানা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগামী ২১ জুলাই খাগড়াছড়িতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন ও পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা বানচালের উদ্দেশ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মনজিলা জিডিতে উল্লেখ করেন, রাসেল শেখ একটি ফেসবুক পোস্টে তাকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন এবং পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে একাধিক সম্মানহানিকর পোস্ট ছড়ানো হয়। এরপর থেকেই তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মনজিলা জানান, রাসেল গত ১২ জুলাই সকাল ১০টায় ফেসবুকে 'কন্যা ভুল করিস না/ ধীরে ধীরে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছি.../ বয়কট’ শীর্ষক একটি পোষ্ট করেন। ওই পোস্টের নিচে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে একাধিক নেতিবাচক মন্তব্য করেন রাসেল। এরপর বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে মনজিলার বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর পোস্ট করা হয়।
অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে তিনিও নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেন রাসেল শেখ। তিনি দাবি করেন, তার ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
এনসিপির অভ্যন্তরীণ এই বিরোধ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং বিষয়টি এখন পুলিশের তদন্তাধীন।
মানহানি, নিরাপত্তাহীনতা, অনিয়ম ও হুমকির অভিযোগে খাগড়াছড়িতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় দুই নেতা-নেত্রী পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা চলছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানায় জিডি করেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ও দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমা এবং একই দলের গুইমারা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক ও জেলা যুগ্ম সমন্বয়ক মো. রাসেল শেখ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, মনজিলা সুলতানা ১২ জুলাই এবং রাসেল শেখ ১৩ জুলাই জিডি করেন। উভয় জিডি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মনজিলা সুলতানা তার জিডিতে রাসেল শেখসহ ২০–২৫ জনকে অভিযুক্ত করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ও সংগঠনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বক্তব্য ছড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, রাসেল শেখ তার জিডিতে মনজিলার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক অনিয়ম, হুমকি এবং মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
এ নিয়ে গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রাসেল শেখ অভিযোগ করেন, মনজিলা সুলতানা এনসিপির নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম করছেন। তিনি দাবি করেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের গুইমারা বাজারের ইজারা থেকে লাভের অর্থ আত্মসাৎ ও একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দ নিজের নামে নিয়েছেন মনজিলা।
রাসেল শেখ জানান, অনিয়মের বিষয়ে মনজিলাকে মৌখিকভাবে একাধিকবার সতর্ক করার পরও কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের মৌখিকভাবে জানানোর পর লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্তু সে সময় চ্যাটিং গ্রুপ থেকে কেউ একজন তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মনজিলা ক্ষিপ্ত হয়ে নানা হুমকি দেন। ফলে অনেকে অভিযোগ দেয়া থেকে সরে দাড়াঁয়।
রাসেল অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনস্থ বাজার ফান্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন গুইমারা বাজারের ইজারার শেয়ারের লভ্যাংশ আত্মসাত করেন মনজিলা। পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে সংগঠনের নামে এক কোটি ৬০ লাখ টাকার কাজ ও ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন প্রকল্প নিজ নামে গ্রহণ করে অর্থ আত্মসাতও করেন তিনি।
এদিকে, মনজিলা সুলতানা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগামী ২১ জুলাই খাগড়াছড়িতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন ও পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা বানচালের উদ্দেশ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মনজিলা জিডিতে উল্লেখ করেন, রাসেল শেখ একটি ফেসবুক পোস্টে তাকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন এবং পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে একাধিক সম্মানহানিকর পোস্ট ছড়ানো হয়। এরপর থেকেই তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মনজিলা জানান, রাসেল গত ১২ জুলাই সকাল ১০টায় ফেসবুকে 'কন্যা ভুল করিস না/ ধীরে ধীরে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছি.../ বয়কট’ শীর্ষক একটি পোষ্ট করেন। ওই পোস্টের নিচে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে একাধিক নেতিবাচক মন্তব্য করেন রাসেল। এরপর বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে মনজিলার বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর পোস্ট করা হয়।
অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে তিনিও নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেন রাসেল শেখ। তিনি দাবি করেন, তার ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
এনসিপির অভ্যন্তরীণ এই বিরোধ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং বিষয়টি এখন পুলিশের তদন্তাধীন।
তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সাভারের আশুলিয়ার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
৫ ঘণ্টা আগেলিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী রঞ্জু আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর রায়পুর গ্রামে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা শামসুল ইসলাম, ভাই মনিরুল ইসলাম ও মন্টুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মন্টু।
৬ ঘণ্টা আগেসাভারের আশুলিয়ায় আয়েশা গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।
৭ ঘণ্টা আগেনাটোরের বনপাড়ায় বাস--অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে