চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাল্গুনের-দুপুরের ঠা-ঠা রোদ। সূর্যটা একেবারেই মাথার ওপর। তারই রশ্নি ছুরির মতো বিঁধছে গায়ে। কিন্তু সেদিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ের আশপাশের সড়ক ভরে ওঠেছে ঠাসা ভিড়ে। সেই ভিড় এক পর্যায়ে লম্বা লাইন হয়ে এগোচ্ছে সামনের জমিয়তুল ফালাহ ময়দান অভিমুখে। কারও হাতে ফুলের তোড়া, কারও বুকে শোকের কালও ব্যাজ। যাকে একনজর দেখার জন্য জনস্রোতের এমন আবেগ-উৎকণ্ঠা, ক্লান্তিহীন অপেক্ষা তারই নশ্বর দেহ যে দেহ শায়িত আছে ময়দানের একবারে সামনে রাখা হিমশীতল অ্যাম্বুলেন্সে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানকে এভাবেই শেষবারের মতো বিদায় দিয়েছেন বীর চট্টলার আপামর জনতা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান আমৃত্যু ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। ছিলেন তিনবারের সংসদ সদস্য। মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন কয়েকবার। তবে পদপদবি আর রাজনীতির মত-পথকে একপাশে রেখে সবাইকে আপন করে নেওয়ার অকৃত্রিম গুণ আবদুল্লাহ আল নোমানকে বসিয়ে দিয়েছিল সর্বমানুষের শ্রদ্ধার আসনে। ‘জনমানুষের নেতা’ খ্যাত এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্মৃতির শহরে হেলিকপ্টারে কফিনবন্দী হয়ে ফিরেন তিনি। শুক্রবার বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হয় তার প্রধান জানাজা। সেখানে জানাজা শেষে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি রাউজানের গহিরায়। সেখানে আরেকদফা জানাজার পর পড়ন্ত বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে চিরদিনের তাঁকে শুইয়ে দেওয়া হয়।
জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে জানাজার আগে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জামায়াতের মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহ আলম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, আবুল হাশেম বক্কর, তরুণ রাজনীতিক আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান প্রমুখ। জানাজা শেষে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় আবদুল্লাহ আল নোমানকে।
বক্তব্যে সবারই যেন একই কথা। বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি আক্ষরিক অর্থেই জননেতা। কেননা তিনি ছাত্র রাজনীতি করেছেন, শ্রমিক রাজনীতি করেছেন, কৃষকদের হয়েও লড়েছেন। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই আবার যুক্ত ছিলেন এই দলের রাজনীতির সঙ্গে। জীবনের প্রায় পুরোটা সময় বলতে গেলে তিনি রাজনীতির মাঠে জনকল্যাণে কাটিয়ে দিয়েছেন।
সবার শেষে বক্তব্য দেন তরুণ রাজনীতিক আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাবার দীর্ঘ রাজনীতির নানা বাঁকের কথা তুলে ধরেন। জানান মানুষের জন্য তিনি কতটা অন্তপ্রাণ ছিলেন। সাঈদ আল নোমান যখন বাবা আবদুল্লাহ আল নোমানের নানা স্মৃতিচারণ করছিলেন তখন অনেক নেতা-কর্মী আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আবদুল্লাহ আল নোমানকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে কানায় কানায় ভরে ওঠেছিল জমিয়তুল ফালাহ ময়দান। ময়দানে জায়গা না হওয়ায় আশপাশের সড়কেও জনতার ভিড় লেগে যায়। দলীয় নেতাকর্মী তো ছিলেনই, ‘প্রিয় নোমান ভাইকে’ শেষ বিদায় দিতে শোকে মুহ্যমান নানা মতের, নানা পথের মানুষও এসেছিলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের মধ্যে ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শামশুল ইসলাম। এই যুবক কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারকাসুলভ রাজনৈতিক নেতা অনেক পেয়েছে বীর চট্টলা। তবে বন্দরনগরীর স্বার্থের প্রশ্নে নিরলস আপসহীন-এমন নেতা পেয়েছে খুব কমই! আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন সেই বিরলদের অন্যতম। তিনি সারাজীবন মানুষের পাশে ছিলেন। এমন একজন গণমানুষের নেতার জানাজায় না আসলে জীবনে অপূর্ণতা থেকে যেতো।’
সেই সত্তরের দশকে রাজনৈতিক মতাদর্শে বামপন্থী হওয়াটাই ছিল প্রায় অবশ্যম্ভাবী। সেই ধারাবাহিকতায় আবদুল্লাহ আল নোমানও ভিড়েছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে। ছাত্রজীবন শেষে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে সক্রিয় হন শ্রমিক রাজনীতিতে। গোপনে ভাসানীপন্থী ন্যাপের রাজনীতিতে জড়িত হন। একাত্তরের রণাঙ্গনের এই মুক্তিযোদ্ধা ১৯৮১ সালে যোগ দেন বিএনপিতে। এরপর একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সরকারের মন্ত্রিসভায়।
চট্টগ্রামে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নোমান। দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতির নেতৃত্বও ছিল তাঁর হাতে। তাঁর অনুসারীরাই চট্টগ্রাম নগর ও জেলার নেতৃত্বের আসনে থাকতেন সব সময়। তাঁকে ছাড়া চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিও একসময় যেন ছিল অকল্পনীয়। তবে আবদুল্লাহ আল নোমান শেষদিকে দলে অবমূল্যায়িত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তার নেতাকর্মীরা। তাঁরা বলেছেন নোমানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসা অনেকে দলের বড় বড় পদে অবস্থান করলেও সেভাবে নোমানের মূল্যায়ন হয়নি দলে। ‘প্রাপ্য সম্মান’ না দিলেও অবশ্য দলের বিরুদ্ধে কখনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি তাঁকে। অভিমান আড়াল রেখে অসুস্থ শরীর নিয়েও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতেন তিনি।
‘নেতাদের নেতা’ খ্যাত আবদুল্লাহ আল নোমান সারাজীবন নিজেকে বিএনপির কর্মী পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন। আর ভীষণ গর্ব করতেন নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে। ফেসবুকের ‘বায়োতে’ তাই তো নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন এভাবে-‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি কর্মী’।
সংসদ সদস্য থেকে ডাকসাইটে মন্ত্রী; জাতীয় রাজনীতিতে অপরিহার্য নেতা। এত এত পরিচয়ের পরেও আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন বরাবরই বিনয়ী। তার অন্তিমযাত্রায় তাই তো নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা জানানোর এমন ভিড়, আর তাকে ছাপিয়ে যাওয়া নানা পেশার, নানা শ্রেণির, নানা মতের জনস্রোতের আবেগ।
ফাল্গুনের-দুপুরের ঠা-ঠা রোদ। সূর্যটা একেবারেই মাথার ওপর। তারই রশ্নি ছুরির মতো বিঁধছে গায়ে। কিন্তু সেদিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ের আশপাশের সড়ক ভরে ওঠেছে ঠাসা ভিড়ে। সেই ভিড় এক পর্যায়ে লম্বা লাইন হয়ে এগোচ্ছে সামনের জমিয়তুল ফালাহ ময়দান অভিমুখে। কারও হাতে ফুলের তোড়া, কারও বুকে শোকের কালও ব্যাজ। যাকে একনজর দেখার জন্য জনস্রোতের এমন আবেগ-উৎকণ্ঠা, ক্লান্তিহীন অপেক্ষা তারই নশ্বর দেহ যে দেহ শায়িত আছে ময়দানের একবারে সামনে রাখা হিমশীতল অ্যাম্বুলেন্সে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানকে এভাবেই শেষবারের মতো বিদায় দিয়েছেন বীর চট্টলার আপামর জনতা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান আমৃত্যু ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। ছিলেন তিনবারের সংসদ সদস্য। মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন কয়েকবার। তবে পদপদবি আর রাজনীতির মত-পথকে একপাশে রেখে সবাইকে আপন করে নেওয়ার অকৃত্রিম গুণ আবদুল্লাহ আল নোমানকে বসিয়ে দিয়েছিল সর্বমানুষের শ্রদ্ধার আসনে। ‘জনমানুষের নেতা’ খ্যাত এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্মৃতির শহরে হেলিকপ্টারে কফিনবন্দী হয়ে ফিরেন তিনি। শুক্রবার বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হয় তার প্রধান জানাজা। সেখানে জানাজা শেষে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি রাউজানের গহিরায়। সেখানে আরেকদফা জানাজার পর পড়ন্ত বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে চিরদিনের তাঁকে শুইয়ে দেওয়া হয়।
জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে জানাজার আগে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জামায়াতের মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহ আলম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, আবুল হাশেম বক্কর, তরুণ রাজনীতিক আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান প্রমুখ। জানাজা শেষে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় আবদুল্লাহ আল নোমানকে।
বক্তব্যে সবারই যেন একই কথা। বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি আক্ষরিক অর্থেই জননেতা। কেননা তিনি ছাত্র রাজনীতি করেছেন, শ্রমিক রাজনীতি করেছেন, কৃষকদের হয়েও লড়েছেন। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই আবার যুক্ত ছিলেন এই দলের রাজনীতির সঙ্গে। জীবনের প্রায় পুরোটা সময় বলতে গেলে তিনি রাজনীতির মাঠে জনকল্যাণে কাটিয়ে দিয়েছেন।
সবার শেষে বক্তব্য দেন তরুণ রাজনীতিক আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাবার দীর্ঘ রাজনীতির নানা বাঁকের কথা তুলে ধরেন। জানান মানুষের জন্য তিনি কতটা অন্তপ্রাণ ছিলেন। সাঈদ আল নোমান যখন বাবা আবদুল্লাহ আল নোমানের নানা স্মৃতিচারণ করছিলেন তখন অনেক নেতা-কর্মী আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আবদুল্লাহ আল নোমানকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে কানায় কানায় ভরে ওঠেছিল জমিয়তুল ফালাহ ময়দান। ময়দানে জায়গা না হওয়ায় আশপাশের সড়কেও জনতার ভিড় লেগে যায়। দলীয় নেতাকর্মী তো ছিলেনই, ‘প্রিয় নোমান ভাইকে’ শেষ বিদায় দিতে শোকে মুহ্যমান নানা মতের, নানা পথের মানুষও এসেছিলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের মধ্যে ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শামশুল ইসলাম। এই যুবক কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারকাসুলভ রাজনৈতিক নেতা অনেক পেয়েছে বীর চট্টলা। তবে বন্দরনগরীর স্বার্থের প্রশ্নে নিরলস আপসহীন-এমন নেতা পেয়েছে খুব কমই! আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন সেই বিরলদের অন্যতম। তিনি সারাজীবন মানুষের পাশে ছিলেন। এমন একজন গণমানুষের নেতার জানাজায় না আসলে জীবনে অপূর্ণতা থেকে যেতো।’
সেই সত্তরের দশকে রাজনৈতিক মতাদর্শে বামপন্থী হওয়াটাই ছিল প্রায় অবশ্যম্ভাবী। সেই ধারাবাহিকতায় আবদুল্লাহ আল নোমানও ভিড়েছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে। ছাত্রজীবন শেষে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে সক্রিয় হন শ্রমিক রাজনীতিতে। গোপনে ভাসানীপন্থী ন্যাপের রাজনীতিতে জড়িত হন। একাত্তরের রণাঙ্গনের এই মুক্তিযোদ্ধা ১৯৮১ সালে যোগ দেন বিএনপিতে। এরপর একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সরকারের মন্ত্রিসভায়।
চট্টগ্রামে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নোমান। দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতির নেতৃত্বও ছিল তাঁর হাতে। তাঁর অনুসারীরাই চট্টগ্রাম নগর ও জেলার নেতৃত্বের আসনে থাকতেন সব সময়। তাঁকে ছাড়া চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিও একসময় যেন ছিল অকল্পনীয়। তবে আবদুল্লাহ আল নোমান শেষদিকে দলে অবমূল্যায়িত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তার নেতাকর্মীরা। তাঁরা বলেছেন নোমানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসা অনেকে দলের বড় বড় পদে অবস্থান করলেও সেভাবে নোমানের মূল্যায়ন হয়নি দলে। ‘প্রাপ্য সম্মান’ না দিলেও অবশ্য দলের বিরুদ্ধে কখনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি তাঁকে। অভিমান আড়াল রেখে অসুস্থ শরীর নিয়েও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতেন তিনি।
‘নেতাদের নেতা’ খ্যাত আবদুল্লাহ আল নোমান সারাজীবন নিজেকে বিএনপির কর্মী পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন। আর ভীষণ গর্ব করতেন নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে। ফেসবুকের ‘বায়োতে’ তাই তো নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন এভাবে-‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি কর্মী’।
সংসদ সদস্য থেকে ডাকসাইটে মন্ত্রী; জাতীয় রাজনীতিতে অপরিহার্য নেতা। এত এত পরিচয়ের পরেও আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন বরাবরই বিনয়ী। তার অন্তিমযাত্রায় তাই তো নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা জানানোর এমন ভিড়, আর তাকে ছাপিয়ে যাওয়া নানা পেশার, নানা শ্রেণির, নানা মতের জনস্রোতের আবেগ।
তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সাভারের আশুলিয়ার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
১৬ ঘণ্টা আগেলিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী রঞ্জু আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর রায়পুর গ্রামে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা শামসুল ইসলাম, ভাই মনিরুল ইসলাম ও মন্টুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মন্টু।
১৭ ঘণ্টা আগেসাভারের আশুলিয়ায় আয়েশা গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।
১৮ ঘণ্টা আগেনাটোরের বনপাড়ায় বাস--অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে