
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

দীর্ঘ ৬৮ বছর পর নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ায় অবশেষে ধান, চাল, গম, আটা ও আলু নিত্যপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। তবে এবারও স্বীকৃতি পাচ্ছে না অবশ্য পানি।
আবার সাবান, কীটনাশক, ডিটারজেন্ট পাউডার, টুথপেস্ট—এগুলো সমাজের সর্বস্তরে প্রতিদিন কমবেশি ব্যবহৃত হলেও নিত্যপণ্য হিসেবে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে নিত্যপণ্য হিসেবে বাদ পড়ছে সিগারেট, কয়লা ও কাঠ। আর যুক্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন, ২০২৪-এর খসড়া বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। খসড়ার ওপর চলতি সপ্তাহের মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে মতামত আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
প্রচলিত আইনটির নাম ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬’। এটি পাল্টিয়ে করা হচ্ছে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন, ২০২৪’। নতুন আইন থেকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ শব্দটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।
২০১২ সালে একবার সরকার অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা সংশোধন করে। তখন ১৭ ধরনের পণ্যকে নিত্যপণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে আগের আইনটিই বহাল থাকে। বিদ্যমান আইনকে যুগোপযোগী করতে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছিল এক বছর আগেই।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকা না-থাকার মধ্যে পার্থক্য কী—জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, তালিকায় থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার যেকোনো সময় ব্যবস্থা নিতে পারে। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে কেউ কারসাজি করলে, লম্বা সময়ের জন্য মজুত রাখলে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তখন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়। শুধু মূল্য নিয়ন্ত্রণ নয়, আইন অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ করারও ক্ষমতা রাখে সরকার।
সিগারেটকে নিত্যপণ্যের তালিকায় রাখা ভালো হবে, নাকি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ভালো হবে—তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, বাদ দিলে সিগারেটের উৎপাদন, বিপণন ও মূল্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা কমে যাবে।
১৯৫৬ সালের মূল আইনে ৩৪ ধরনের নিত্যপণ্যের তালিকা দেওয়া আছে। প্রথম শ্রেণিটিই হচ্ছে ভোজ্যতেল, তৈলবীজসহ খাদ্যদ্রব্য। বিদ্যমান আইনে আরও রয়েছে নিউজপ্রিন্টসহ সব ধরনের কাগজ, জ্বালানি তেল, ইস্পাত, প্রাকৃতিক রেশম সুতা, কয়লা, ওষুধ, সাইকেল ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ, সিগারেট, চা, চিনি, শেভিং ব্লেড, সেলাই মেশিন, শিশুখাদ্য, স্কুল-কলেজের পাঠ্যবই, তুলার সুতা, গ্যাসসহ রাসায়নিক পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, গ্লাস, কাঠ, সিমেন্ট, স্যানিটারি ফিটিংস, টাইলস, সিনেমার কাঁচা ফিল্ম, রাসায়নিক সার, টাইপরাইটার ইত্যাদি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের জুলাইয়ে ১৭টি পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ঘোষণা করে। এগুলো হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, ছোলা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচি, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, তেজপাতা, সয়াবিন তেল, পাম তেল, চিনি ও খাওয়ার লবণ। চিনি ও ভোজ্যতেল মূল আইনেও ছিল, ২০১২ সালেও নতুন করে উল্লেখ করা হয়।

দীর্ঘ ৬৮ বছর পর নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ায় অবশেষে ধান, চাল, গম, আটা ও আলু নিত্যপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। তবে এবারও স্বীকৃতি পাচ্ছে না অবশ্য পানি।
আবার সাবান, কীটনাশক, ডিটারজেন্ট পাউডার, টুথপেস্ট—এগুলো সমাজের সর্বস্তরে প্রতিদিন কমবেশি ব্যবহৃত হলেও নিত্যপণ্য হিসেবে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে নিত্যপণ্য হিসেবে বাদ পড়ছে সিগারেট, কয়লা ও কাঠ। আর যুক্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন, ২০২৪-এর খসড়া বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। খসড়ার ওপর চলতি সপ্তাহের মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে মতামত আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
প্রচলিত আইনটির নাম ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬’। এটি পাল্টিয়ে করা হচ্ছে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন, ২০২৪’। নতুন আইন থেকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ শব্দটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।
২০১২ সালে একবার সরকার অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা সংশোধন করে। তখন ১৭ ধরনের পণ্যকে নিত্যপণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে আগের আইনটিই বহাল থাকে। বিদ্যমান আইনকে যুগোপযোগী করতে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছিল এক বছর আগেই।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকা না-থাকার মধ্যে পার্থক্য কী—জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, তালিকায় থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার যেকোনো সময় ব্যবস্থা নিতে পারে। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে কেউ কারসাজি করলে, লম্বা সময়ের জন্য মজুত রাখলে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তখন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়। শুধু মূল্য নিয়ন্ত্রণ নয়, আইন অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ করারও ক্ষমতা রাখে সরকার।
সিগারেটকে নিত্যপণ্যের তালিকায় রাখা ভালো হবে, নাকি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ভালো হবে—তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, বাদ দিলে সিগারেটের উৎপাদন, বিপণন ও মূল্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা কমে যাবে।
১৯৫৬ সালের মূল আইনে ৩৪ ধরনের নিত্যপণ্যের তালিকা দেওয়া আছে। প্রথম শ্রেণিটিই হচ্ছে ভোজ্যতেল, তৈলবীজসহ খাদ্যদ্রব্য। বিদ্যমান আইনে আরও রয়েছে নিউজপ্রিন্টসহ সব ধরনের কাগজ, জ্বালানি তেল, ইস্পাত, প্রাকৃতিক রেশম সুতা, কয়লা, ওষুধ, সাইকেল ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ, সিগারেট, চা, চিনি, শেভিং ব্লেড, সেলাই মেশিন, শিশুখাদ্য, স্কুল-কলেজের পাঠ্যবই, তুলার সুতা, গ্যাসসহ রাসায়নিক পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, গ্লাস, কাঠ, সিমেন্ট, স্যানিটারি ফিটিংস, টাইলস, সিনেমার কাঁচা ফিল্ম, রাসায়নিক সার, টাইপরাইটার ইত্যাদি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের জুলাইয়ে ১৭টি পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ঘোষণা করে। এগুলো হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, ছোলা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচি, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, তেজপাতা, সয়াবিন তেল, পাম তেল, চিনি ও খাওয়ার লবণ। চিনি ও ভোজ্যতেল মূল আইনেও ছিল, ২০১২ সালেও নতুন করে উল্লেখ করা হয়।

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরও এক মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রবিবার এক আদেশের মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর থেকে বৃদ্ধি করে আগামী ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করে এনবিআর।
৩ দিন আগে
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
৪ দিন আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রার্থীদের জামানত ও ভোটার তালিকার সিডি কেনার অর্থ ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমার সুবিধার্থে ২৭ ডিসেম্বর তফসিলি ব্যাংকের সকল শাখা খোলা থাকবে।
৭ দিন আগে
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই শুল্ক ছাড় ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
৮ দিন আগে