পুঁজিবাজার যেন পুঁজি হারানোর ঠিকানা

এস এম জামান, রাজনীতি ডট কম

শেয়ার দরের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ব্যাপক দরপতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নেয়া সর্বশেষ এই পদক্ষেপও কাজে আসেনি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। ডিএসইতে ৫১১ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের কর্মদিবসে ছিল প্রায় ৬০৩ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বাজার পুঁজি হারানোর ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। সেখানে কেউ পুঁজি নিয়ে লাভ করা দূরে থাক, উল্টো নিঃস্ব হচ্ছেন।

গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর মন্দা ও প্রায় স্থবির থাকা শেয়ারবাজার চাঙ্গা হবে, এমন আশায় ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন আশরাফুজ্জামান। বৃহস্পতিবার তিনি রাজনীতি ডট কমকে বলেন, গত তিন মাসে তার পুঁজি এখন সাত লাখ টাকারও কম।

দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে একজন সচল বিনিয়োগকারী সুমন মিয়া। তার পোর্টফোলিওতে রাখা বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে কমতে তলানীতে এসে ঠেকেছে। প্রতিদিনই কমে যাচ্ছে তার পোর্টফোলিওর শেয়ারের দর। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে সুমন মিয়াকে।

তিনি বলেন, ‘আমার সব শেয়ারের দর কমতে কমতে একবারে তলানীতে এসে নেমেছে। ফলে আমার পোর্টফোলিও থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে আমার পুঁজি। বর্তমানে আমি বিপুল লোকসানে রয়েছি।’

আরেক বিনিয়োগকারী জাফর আহমেদ বলেন, ‘আমি ঈদের আগে থেকেই ধারাবাহিক দরপতনে ব্যাপক লোকসানে ছিলাম। ভেবেছিলাম ঈদের পর বাজার ঠিক হয়ে যাবে। এরমধ্যে আবার বিএসইসি সার্কিট ব্রেকার দিল। বাজারের অবস্থা আরও খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। তাহলে বাজারের প্রতি মানুষের আস্থাটা কোথায়?’

আরেক বিনিয়োগকারী জসিম শেখ বলেন, ‘আমি কয়েকটা ফান্ডামেন্টাল কোম্পানির শেয়ার কিনেছিলাম। আমার জমানো সব পুঁজি এই বাজারে বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন এই ফান্ডামেন্টাল কোম্পানির শেয়ারও ব্যাপক দাম হারিয়েছে। যেন আমাদের দেখার কেউ নেই।’

দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএটিবিসি’র মতো মৌলভিত্তির প্রতিটি শেয়ারের দাম নির্বাচনের আগেও ছিল ৫৫০ টাকার কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার প্রতিটি শেয়ার ৩৬৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঈদের আগে পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়। এতে প্রায় আড়াই মাসে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে যায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মতো। ঈদের পর বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু ছুটি শেষে পুঁজিবাজারে টানা ছয় কর্মদিবস পতন হয়।

এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার ব্রোকার ও ডিলারদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানায় সংস্থাটি। এই খবরে ওই দিন সূচক বাড়ে। তবে পরের দিনই আবার পতন দেখা দেয়।

৩৮ মাস পেছনে পুঁজিবাজার

ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুঁজিবাজার ২০২১ সালের ৪ মার্চ যে অবস্থানে ছিল সেখানে ফেরত গেছে। ৩৮ মাস ২৭ দিন আগে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ৫১৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।

আর বর্তমানে ডিএসইর সূচক অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। এ হিসেবে সেই ৩ বছর ৩ মাস আগের অবস্থানে ফেরত গেছে দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থা।

বৃহস্পতিবারসহ ঈদের পর লেনদেনের নয় কর্মদিবসের মধ্যে পতন হয়েছে আট দিনই। এতে ঈদের পর ডিএসইর সূচক কমেছে ২৬০ পয়েন্ট। এমন ধারাবাহিক পতনের কারণে গত মঙ্গলবার মতিঝিলে মানববন্ধন করেন বিনিয়োগকারীরা। তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানি তালিকাভুক্তের অনুমোদন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে না পারা এবং পতন রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিবাদ জানান তারা।

এরপর গত বুধবার দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ৩ শতাংশ বেঁধে দেয় বিএসইসি। তবে মূল্যবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই ১০ শতাংশ রয়েছে।

যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

বিএসইসির এসব উদ্যোগ খুব বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করেন না বিশ্লেষক ও বাজারসংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে এগুলো কোনো স্থায়ী সমাধান না। স্থায়ী উন্নয়নের জন্য এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয় চাইলে কিছু করতে পারে। সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করলে নীতিসহায়তা দিতে পারে। কিন্তু ব্রোকারদের সঙ্গে মিটিং করে লাভ নেই। ‘

তার প্রশ্ন-সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দিয়ে কী হবে? এটা তো ফ্লোর প্রাইসের মতোই হয়ে গেল। এগুলো বাজারে টেকসই উন্নয়ন আনবে না।

পুঁজিবাজার পরিকল্পিতভাবে পতন ঘটানো হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল আমিন। তিনি বলেন, ‘দেশের পুজিবাজারের পতনের কোন সুনির্দিষ্ট কারণ লাগে না। তবে এখন একটা কারণকে কাজে লাগানো হয়েছে আর তা হচ্ছে, শেয়ার দরের লোয়ার সার্কিট সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা। কিন্তু আসল কারণ পরিকল্পিতভাবে বাজার ফেলে অনাস্থা বাড়ানো। যাদের মার্জিন শেয়ার ছিল, তারা ফোর্স সেলে আউট হতে পারে, কিন্তু যাদের ক্যাশ কোড, তাদের শেয়ারের এই অবস্থা হবে কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘তারল্য সংকট থাকলে আজকে নতুন করে লো পেইড আপ শেয়ারের দর বাড়ল কীভাবে? তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষা করতে হবে। কবে তাদের বিনিয়োগকৃত শেয়ারে মেকারদের নজর পড়ে সেই দিনের জন্য। এই বাজারে মেকারদের নজর ছাড়া শেয়ারের দাম বাড়ে না। তাই ধৈর্যের বিকল্প নেই।’

পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের এত আস্থা সংকট কেন এমন প্রশ্নের জবাবে গত সোমবার বিএসইসির কমিশনার ড. শামসুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজারের আস্থাহীনতা দূর করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটা আসলে সময় সাপেক্ষ কাজ। আমাদের দেশে অনেক বড় বড় ভালো প্রতিষ্ঠান আছে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে যার সহায়তা দরকার আমরা নেব। যদি বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরের সহায়তা লাগে সেগুলো নিয়েই এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজারে নিয়ে আসা উচিত। বিশ্বব্যাপী কিন্তু এই কাজটি করা হয়। যেসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসার যোগ্য হয় তারা দেশের জন্য ও দশের জন্য পুঁজিবাজারে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো সেই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান বাজারে আসছে না।

গত বুধবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নজরে এসেছে কিছু বিনিয়োগকারি ডে নেটিং করছিল। শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ কমে বিক্রি করে সেটা নিজেদের মধ্যে ট্রানজেকশন করতো। এরপর যখন দিনশেষে আরও লোক প্যানিকড হয়ে লসে বিক্রি করতো তখন তারা আবার সেগুলো কিনে নিতো।’

তিনি বলেন, ‘কিছু ডে ট্রেডাররা দিনশেষে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা লাভ করে বাজারের খরচ ওঠায়। এতে দেখা যায় দিনশেষে বাজারের ২০ বা ৩০ পয়েন্ট মাইনাস হয়ে যায়। কিন্তু এখন আর এটা পারবে না। এখন এটা করতে গেলে একটা শেয়ারের বিপরীতে তাকে সাড়ে তিনটা শেয়ার বিক্রি করতে হবে। এতে লস হয়ে যাবে। এখন আর ডে নেটিং হবে না।’

উপসাগরীয় অঞ্চলের পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী

বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের বেঞ্চমার্ক সূচক ঊর্ধ্বগামী হয়েছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আয় ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বানকুই সৌদি ফ্রান্সির (বিএসএফ) মুনাফা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। স্বভাবতই সৌদি সূচকে উল্লম্ফন ঘটেছে।

এক রিপোর্টে বিএসএফ জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের মুনাফা হয়েছে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন রিয়াল। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ দশমিক ০৮ রিয়াল।

দুবাইয়ের প্রধান শেয়ার সূচকের উত্থান ঘটেছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। এমিরেটস এনবিডি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে এই ঊর্ধ্বগামিতা সৃষ্টি হয়েছে।

এনবিডি জানিয়েছে, চলমান বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে তাদের করপোরেট আয় হয়েছে ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন দিরহাম। গত বছর একই সময়ে তা ছিল ৬ বিলিয়ন।

কাতারি বেঞ্চমার্ক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। কাতার ইসলামিক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। সংগত কারণে সূচকেরও উত্থান ঘটেছে। তবে আবুধাবি সূচক অপরিবর্তিত রয়েছে।

বৃহস্পতিবারের বাজার

বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে ৫১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬০২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।

আলোচ্য দিনে ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৩০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।

অপর পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার ১১ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

এদিন সিএসইতে ২১৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩টির, কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন সিএসইতে ২২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৪১টির, কমেছিল ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২০টি প্রতিষ্ঠানের।

ad
ad

অর্থের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

গ্রিন শিপবিল্ডিং খাত দেশের শিল্পায়নে সুযোগ তৈরি করবে: শিল্প উপদেষ্টা

শিল্প উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ জাহাজের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএসও) ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। যে দেশগুলো পরিবেশবান্ধব, স্বল্প-নিঃসরণ জাহাজ তৈরি ও রপ্তানি করত

৩ দিন আগে

ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান।

৫ দিন আগে

ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : অর্থ উপদেষ্টা

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কালোটাকার উৎস বন্ধ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়।

৬ দিন আগে

১২ দিনে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে

তিনি জানান, আগস্ট মাসের ১২ দিনে ১০৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে (২০২৪ সালের আগস্টের প্রথম ১২ দিন) দেশে এসেছিল ৭২ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এ হিসাবে চলতি বছর আলোচ্য সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ৪ হাজার ৬৩ কোটি টাকা বেশি এসেছে।

৬ দিন আগে