প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। যার সঙ্গে সমন্বয় করে সিমেন্টের দামও বাড়ায় খাত সংশ্লিষ্টরা। তবে বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম হ্রাস পাওয়া এবং ডলারের বিপরীতে ক্ষতি কমে আসায় এ খাতের কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক অনেক কমে এসেছে। পাশাপাশি পণ্য বিক্রিতে অতীতের তুলনায় ভালো দামও পাওয়া গেছে। এতে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির পালে হাওয়া বদল হতে শুরু করছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানিগুলোর চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসময় অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর লোকসানে থাকা কোম্পানিগুলো লোকসান কমিয়ে আনার পাশাপাশি মুনাফায় ফিরতেও সক্ষম হচ্ছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, কাঁচামালের আমদানি খরচ কমার পাশাপাশি এসময়ে তাদের ডলারের বিপরীতে ক্ষতিও কমে এসেছে। পাশাপাশি পণ্যের ভালো দাম পাওয়ায় অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিছু কিছু কোম্পানি তাদের ব্যয় কমানোর জন্য নানা মুখি পদক্ষেপও নিচ্ছে। এতে ব্যয় কমানোর মাধ্যমে তারা ভালো করতে সক্ষম হচ্ছে।
বর্তমানে দেশের বাজারে মোট ৩৫টি কোম্পানি সিমেন্ট ব্যবসা করছে। এর মধ্যে ৭টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। বহুজাতিক দুই কোম্পানি বাদে তালিকাভুক্ত দেশি সিমেন্ট কোম্পানির সংখ্যা ৫টি। সেগুলো হলো কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি, ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি, মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি এবং আরামিট সিমেন্ট পিএলসি।
কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির আয় ও মুনাফা বেড়েছে। জানুয়ারি-মার্চ সময়ে পাঁচ কোম্পানির মধ্যে আয় বেড়েছে তিনটির এবং মুনাফা বেড়েছে চার কোম্পানির।
তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কনফিডেন্স সিমেন্টের সমন্বিত আয় হয়েছে ১৩১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ২৬ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১৪ কোটি টাকা।
কনফিডেন্স সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলোচ্য সময়ে তাদের কাঁচামালের আমদানির খরচ কমেছে। এর পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে ক্ষতি কমে আসায় তারা ভালো মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া কোম্পানি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎপাদন ব্যয়ও আলোচ্য সময়ে কমছে। এতে নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্রাউন্ট সিমেন্টের সর্বশেষ প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৯১৬ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরে একই প্রান্তিকে যা ছিল ৭৯৮ কোটি টাকা। আয় বাড়লেও আলোচ্য প্রান্তিকে নিট মুনাফা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ কোটি টাকা।
ক্রাউন সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলোচ্য সময়ে আমাদের বিক্রি বেড়েছে। পাশাপাশি পণ্যের বিক্রি মূল্যও আগের সময়ের তুলনায় ভালো পাওয়া গেছে। এছাড়া পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমাতেও আমরা নানা মুখি পদক্ষেপ নিয়েছি। যার সুফল আগামী প্রান্তিকগুলোতে আসবে বলে প্রত্যাশা করছি।
সর্বশেষ প্রান্তিকে মেঘনা সিমেন্টের আয় হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৫৮ কোটি টাকা। আয় বাড়ার পাশাপাশি এ প্রান্তিকে নিট মুনাফা বেড়ে হয়েছে ৫৮ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১২ লাখ টাকা।
তৃতীয় প্রান্তিকে প্রিমিয়ার সিমেন্টের আয় হয়েছে ৭৫৩ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৬০১ কোটি টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৭ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩১ কোটি টাকা।
তবে দীর্ঘ বছর ধরে লোকসানে থাকা আরামিট সিমেন্ট চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেও লোকসান থেকে বের হতে পারেনি। তালিকাভুক্ত সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে এই একটিমাত্র কোম্পানি ধারাবাহিকভাবে লোকসানে করছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কর পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির এ লোকসান হয়েছিল ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। যার সঙ্গে সমন্বয় করে সিমেন্টের দামও বাড়ায় খাত সংশ্লিষ্টরা। তবে বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম হ্রাস পাওয়া এবং ডলারের বিপরীতে ক্ষতি কমে আসায় এ খাতের কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক অনেক কমে এসেছে। পাশাপাশি পণ্য বিক্রিতে অতীতের তুলনায় ভালো দামও পাওয়া গেছে। এতে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির পালে হাওয়া বদল হতে শুরু করছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানিগুলোর চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসময় অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর লোকসানে থাকা কোম্পানিগুলো লোকসান কমিয়ে আনার পাশাপাশি মুনাফায় ফিরতেও সক্ষম হচ্ছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, কাঁচামালের আমদানি খরচ কমার পাশাপাশি এসময়ে তাদের ডলারের বিপরীতে ক্ষতিও কমে এসেছে। পাশাপাশি পণ্যের ভালো দাম পাওয়ায় অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিছু কিছু কোম্পানি তাদের ব্যয় কমানোর জন্য নানা মুখি পদক্ষেপও নিচ্ছে। এতে ব্যয় কমানোর মাধ্যমে তারা ভালো করতে সক্ষম হচ্ছে।
বর্তমানে দেশের বাজারে মোট ৩৫টি কোম্পানি সিমেন্ট ব্যবসা করছে। এর মধ্যে ৭টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। বহুজাতিক দুই কোম্পানি বাদে তালিকাভুক্ত দেশি সিমেন্ট কোম্পানির সংখ্যা ৫টি। সেগুলো হলো কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি, ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি, মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি এবং আরামিট সিমেন্ট পিএলসি।
কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির আয় ও মুনাফা বেড়েছে। জানুয়ারি-মার্চ সময়ে পাঁচ কোম্পানির মধ্যে আয় বেড়েছে তিনটির এবং মুনাফা বেড়েছে চার কোম্পানির।
তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কনফিডেন্স সিমেন্টের সমন্বিত আয় হয়েছে ১৩১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ২৬ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১৪ কোটি টাকা।
কনফিডেন্স সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলোচ্য সময়ে তাদের কাঁচামালের আমদানির খরচ কমেছে। এর পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে ক্ষতি কমে আসায় তারা ভালো মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া কোম্পানি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎপাদন ব্যয়ও আলোচ্য সময়ে কমছে। এতে নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্রাউন্ট সিমেন্টের সর্বশেষ প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৯১৬ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরে একই প্রান্তিকে যা ছিল ৭৯৮ কোটি টাকা। আয় বাড়লেও আলোচ্য প্রান্তিকে নিট মুনাফা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ কোটি টাকা।
ক্রাউন সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলোচ্য সময়ে আমাদের বিক্রি বেড়েছে। পাশাপাশি পণ্যের বিক্রি মূল্যও আগের সময়ের তুলনায় ভালো পাওয়া গেছে। এছাড়া পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমাতেও আমরা নানা মুখি পদক্ষেপ নিয়েছি। যার সুফল আগামী প্রান্তিকগুলোতে আসবে বলে প্রত্যাশা করছি।
সর্বশেষ প্রান্তিকে মেঘনা সিমেন্টের আয় হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৫৮ কোটি টাকা। আয় বাড়ার পাশাপাশি এ প্রান্তিকে নিট মুনাফা বেড়ে হয়েছে ৫৮ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১২ লাখ টাকা।
তৃতীয় প্রান্তিকে প্রিমিয়ার সিমেন্টের আয় হয়েছে ৭৫৩ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৬০১ কোটি টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৭ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩১ কোটি টাকা।
তবে দীর্ঘ বছর ধরে লোকসানে থাকা আরামিট সিমেন্ট চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেও লোকসান থেকে বের হতে পারেনি। তালিকাভুক্ত সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে এই একটিমাত্র কোম্পানি ধারাবাহিকভাবে লোকসানে করছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কর পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির এ লোকসান হয়েছিল ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক
৫ দিন আগেদেশের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৬ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি লিটার পাম ওয়েলের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা করে।
৫ দিন আগেপাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বরং এটাকে সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন বলে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
৫ দিন আগেউদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে প্রয়োজন ছিল সাহসী নেতৃত্ব— যিনি বা যারা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বাজারচিত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। বর্তমান নেতৃত্ব পুঁজিবাজারবান্ধব নয়। সরকারও পুঁজিবাজার বিষয়ে উদাসীন। অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত বিএসইসি চেয়ারম্যানের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
৭ দিন আগে