বিশেষ প্রতিনিধি, রাজনীতি ডটকম
বড় সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার, পতনের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না। সোমবার এক দিনেই সূচক ৬৭ পয়েন্ট বা এক শতাংশের বেশি কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমে এসেছে ৫ হাজার ৮৩৪ পয়েন্টে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, মৌলভিত্তির বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমায় সূচকের পতন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ার এমনিতেই অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকও কমেছে প্রায় এক শতাংশ। দুই বাজারে একদিকে সূচক কমেছে, আরেকদিকে লেনদেনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।
এর আগে টানা আট কার্যদিবস দরপতন হওয়ার পর গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখি হয়।
ঢাকার বাজারে সোমবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৪৬ কোটি টাকা, যা গতকালের চেয়ে ১৩৪ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রামের বাজারে এদিন লেনদেন হয় ১৬ কোটি টাকা, যা গতকালের চেয়ে ৪২ কোটি টাকা কম।
গত সপ্তাহের শেষ দুই দিনে বাজারের উত্থান হয়। এরপর বিনিয়োগকারীরা বাজার নিয়ে কিছুটা আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু গত রোববার সপ্তাহ শুরুই হয় দরপতন দিয়ে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক ভর করে। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার বড় দরপতন হয়েছে।
পরিস্থিতি এমন হয় যে, ঢাকার বাজারে সোমবার লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রায় ৮১ শতাংশ বা ৩১৮টির দাম কমে যায়, ১০ শতাংশ বা ৪১টির দাম বাড়ে। অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির বা প্রায় ৯ শতাংশ শেয়ারের দাম।
বড় কোম্পানীর দরপতন
ঢাকার বাজারে সোমবার সূচকের পতনে যেসব কোম্পানির বড় ভূমিকা ছিল, তার মধ্যে সাড়ে ২৯ পয়েন্ট কমেছে ৫ কোম্পানির দরপতনের ফলে। এগুলোর মধ্যে লাফার্জহোলসিম ছাড়াও রয়েছে রেনেটা, বীকন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বা বিএটি।
অন্যদিকে ঢাকার বাজারে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির তালিকায় ছিল রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, আরামিট, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স ও এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
লেনদেনে ফিরেছে লাফার্জহোলসিম
সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিমের লেনদেন রেকর্ড ডেটের জন্য এক দিন বন্ধ ছিল। গত ৩ মার্চ কোম্পানিটি ২০২৩ সালের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দেয়। এ লভ্যাংশের জন্য রোববার রেকর্ড তারিখ ছিল। সোমবার লেনদেনে ফিরে এলে এটির শেয়ারের বড় ধরনের মূল্য সংশোধন হয়।
এদিন লাফার্জহোলসিমের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৬ টাকা বা প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে। সূচকেও বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার এটি ছিল অন্যতম কারণ। ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষে ছিল লাফার্জহোলসিম।
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি
ডিএসইতে সোমবার লেনদেনে শীর্ষে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আড়াই গুণের বেশি বেড়েছে।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রতিটি শেয়ার পেয়েছেন ২০ টাকা দামে। সেই শেয়ারের দাম ১২ কার্যদিবসে বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা।
অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে এরই মধ্যে কোম্পানিটিকে চিঠি দিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, শেয়ারের দরবৃদ্ধির কারণ তাদের জানা নেই।
বাজার বিশ্লেষকদের অনেকেরই ধারণা, একটি গোষ্ঠী শেয়ারটির মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করছে, তারা দাম বাড়িয়ে বড় অঙ্কের মুনাফা তুলে নিতে একজোট হয়েছে।
এদিকে সোমবার লেনদেন শুরু হতেই বিক্রির চাপ বাড়ান এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী। ফলে লেনদেন শুরু হতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনর সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বিক্রির চাপ। এতে সূচকের পতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে।
দিনের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন অনেক বিনিয়োগকারী। এতে বাজার আরও দ্রুত পড়তে থাকে। ফলে ক্রেতার অভাবে সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামও আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
বড় সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার, পতনের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না। সোমবার এক দিনেই সূচক ৬৭ পয়েন্ট বা এক শতাংশের বেশি কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমে এসেছে ৫ হাজার ৮৩৪ পয়েন্টে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, মৌলভিত্তির বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমায় সূচকের পতন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ার এমনিতেই অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকও কমেছে প্রায় এক শতাংশ। দুই বাজারে একদিকে সূচক কমেছে, আরেকদিকে লেনদেনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।
এর আগে টানা আট কার্যদিবস দরপতন হওয়ার পর গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখি হয়।
ঢাকার বাজারে সোমবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৪৬ কোটি টাকা, যা গতকালের চেয়ে ১৩৪ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রামের বাজারে এদিন লেনদেন হয় ১৬ কোটি টাকা, যা গতকালের চেয়ে ৪২ কোটি টাকা কম।
গত সপ্তাহের শেষ দুই দিনে বাজারের উত্থান হয়। এরপর বিনিয়োগকারীরা বাজার নিয়ে কিছুটা আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু গত রোববার সপ্তাহ শুরুই হয় দরপতন দিয়ে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক ভর করে। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার বড় দরপতন হয়েছে।
পরিস্থিতি এমন হয় যে, ঢাকার বাজারে সোমবার লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রায় ৮১ শতাংশ বা ৩১৮টির দাম কমে যায়, ১০ শতাংশ বা ৪১টির দাম বাড়ে। অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির বা প্রায় ৯ শতাংশ শেয়ারের দাম।
বড় কোম্পানীর দরপতন
ঢাকার বাজারে সোমবার সূচকের পতনে যেসব কোম্পানির বড় ভূমিকা ছিল, তার মধ্যে সাড়ে ২৯ পয়েন্ট কমেছে ৫ কোম্পানির দরপতনের ফলে। এগুলোর মধ্যে লাফার্জহোলসিম ছাড়াও রয়েছে রেনেটা, বীকন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বা বিএটি।
অন্যদিকে ঢাকার বাজারে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির তালিকায় ছিল রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, আরামিট, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স ও এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
লেনদেনে ফিরেছে লাফার্জহোলসিম
সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিমের লেনদেন রেকর্ড ডেটের জন্য এক দিন বন্ধ ছিল। গত ৩ মার্চ কোম্পানিটি ২০২৩ সালের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দেয়। এ লভ্যাংশের জন্য রোববার রেকর্ড তারিখ ছিল। সোমবার লেনদেনে ফিরে এলে এটির শেয়ারের বড় ধরনের মূল্য সংশোধন হয়।
এদিন লাফার্জহোলসিমের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৬ টাকা বা প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে। সূচকেও বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার এটি ছিল অন্যতম কারণ। ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষে ছিল লাফার্জহোলসিম।
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি
ডিএসইতে সোমবার লেনদেনে শীর্ষে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আড়াই গুণের বেশি বেড়েছে।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রতিটি শেয়ার পেয়েছেন ২০ টাকা দামে। সেই শেয়ারের দাম ১২ কার্যদিবসে বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা।
অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে এরই মধ্যে কোম্পানিটিকে চিঠি দিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, শেয়ারের দরবৃদ্ধির কারণ তাদের জানা নেই।
বাজার বিশ্লেষকদের অনেকেরই ধারণা, একটি গোষ্ঠী শেয়ারটির মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করছে, তারা দাম বাড়িয়ে বড় অঙ্কের মুনাফা তুলে নিতে একজোট হয়েছে।
এদিকে সোমবার লেনদেন শুরু হতেই বিক্রির চাপ বাড়ান এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী। ফলে লেনদেন শুরু হতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনর সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বিক্রির চাপ। এতে সূচকের পতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে।
দিনের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন অনেক বিনিয়োগকারী। এতে বাজার আরও দ্রুত পড়তে থাকে। ফলে ক্রেতার অভাবে সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামও আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ জাহাজের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএসও) ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। যে দেশগুলো পরিবেশবান্ধব, স্বল্প-নিঃসরণ জাহাজ তৈরি ও রপ্তানি করত
৩ দিন আগেবৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান।
৫ দিন আগেড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কালোটাকার উৎস বন্ধ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
৬ দিন আগেতিনি জানান, আগস্ট মাসের ১২ দিনে ১০৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে (২০২৪ সালের আগস্টের প্রথম ১২ দিন) দেশে এসেছিল ৭২ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এ হিসাবে চলতি বছর আলোচ্য সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ৪ হাজার ৬৩ কোটি টাকা বেশি এসেছে।
৬ দিন আগে