প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
দেশের পুঁজিবাজারে কোনোভাবেই কাটছে না হতাশা। ঈদের আগে এক মাসের বেশি সময় টানা দরপতনের পর বিনিয়োগকারীরা ভেবেছিল ঈদের পর হয়তো পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফিরবে। তবে বিধিবাম। ঈদের পর আরও বেশি পতন ভর করেছে পুঁজিবাজারে।
এতে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব অনেক বিনিয়োগকারী। তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারের দাম কমতে কমতে তলানীতে নেমেছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (২১ এপ্রিল) দিনের শুরু হয়েছিল বড় উত্থান প্রবণতা দিয়ে। কিন্তু সেই উত্থান পরে বড় পতনে রূপ নেয়, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
দিনের শুরুতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই’র প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হয়। এরপর গতানুগতিক ধারায় পতনে রূপ নেয়। লেনদেনের আধা ঘণ্টার মধ্যেই ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩১ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর আবার বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। বেলা সাড় ১১টায় সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮ পয়েন্টের বেশি উঠে লেনদেন হয়। তারপর আবারও পতন। এরপর ওঠা-নামার মধ্যে চলে লেনদেন। লেনদেনের শেষ পর্যায়ে ডিএসইর সূচক ৪২ পয়েন্ট পড়ে যায়। যা অ্যাডজাস্টমেন্টের পর প্রায় ৩৩ পয়েন্টে স্থির হয়।
বাজার বিশ্লেষকদের অভিযোগ, বাজার এখন আর কোনো নিয়মের মধ্যে চলছে না। বাজার এখন বড় কিছু বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক কিছু বিনিয়োগকারীদের ট্রাম্প কার্ডে পরিণত হয়েছে। যাদের ওপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তাব্যক্তিদেরও নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা যখন চাইবে, তখনই বাজার ঘুরবে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্ট একটি অংশ মনে করছেন, শিগগির বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এখন পুঁজিবাজারে যা চলছে, তা কোনো নিয়মের মধ্যে হচ্ছে না। পুঁজিবাজার এখন হয়ে গেছে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের ট্রাম্প কার্ড। যে যেভাবে পারছে সেভাবে খেলছে।”
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রভাব দেশের পুঁজিবাজারে পড়েছিল। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজার এরই মধ্যে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে। অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থাও আবার ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে। কিন্তু বাংলাদেশের পুঁজিবাজার খারাপের দিকে যাচ্ছে।
তাদের মতে, এখানে নিশ্চয় অন্য কোনো কারণ আছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র হয়তো শেয়ারের দাম কমিয়ে পরে সেগুলো হাতিয়ে নিতে চাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিনিয়োগকারীরা অস্থির হয়ে কম দামে শেয়ার বিক্রি করলে তা হবে আগুনে ঘি ঢালা।
রোববারের বাজার পর্যালোচনা
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৫৩ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৮ দশমিক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৮২ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে ৪৭৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫২২ কোটি ৫১ লাখ টাকার। এতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৪৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে ৩৯৩টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ২৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।
অপর পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রোববার ১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইতে ২১৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন সিএসইতে ২১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৩৬টির, কমেছিল ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি প্রতিষ্ঠানের।
দেশের পুঁজিবাজারে কোনোভাবেই কাটছে না হতাশা। ঈদের আগে এক মাসের বেশি সময় টানা দরপতনের পর বিনিয়োগকারীরা ভেবেছিল ঈদের পর হয়তো পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফিরবে। তবে বিধিবাম। ঈদের পর আরও বেশি পতন ভর করেছে পুঁজিবাজারে।
এতে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব অনেক বিনিয়োগকারী। তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারের দাম কমতে কমতে তলানীতে নেমেছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (২১ এপ্রিল) দিনের শুরু হয়েছিল বড় উত্থান প্রবণতা দিয়ে। কিন্তু সেই উত্থান পরে বড় পতনে রূপ নেয়, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
দিনের শুরুতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই’র প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হয়। এরপর গতানুগতিক ধারায় পতনে রূপ নেয়। লেনদেনের আধা ঘণ্টার মধ্যেই ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩১ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর আবার বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। বেলা সাড় ১১টায় সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮ পয়েন্টের বেশি উঠে লেনদেন হয়। তারপর আবারও পতন। এরপর ওঠা-নামার মধ্যে চলে লেনদেন। লেনদেনের শেষ পর্যায়ে ডিএসইর সূচক ৪২ পয়েন্ট পড়ে যায়। যা অ্যাডজাস্টমেন্টের পর প্রায় ৩৩ পয়েন্টে স্থির হয়।
বাজার বিশ্লেষকদের অভিযোগ, বাজার এখন আর কোনো নিয়মের মধ্যে চলছে না। বাজার এখন বড় কিছু বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক কিছু বিনিয়োগকারীদের ট্রাম্প কার্ডে পরিণত হয়েছে। যাদের ওপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তাব্যক্তিদেরও নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা যখন চাইবে, তখনই বাজার ঘুরবে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্ট একটি অংশ মনে করছেন, শিগগির বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এখন পুঁজিবাজারে যা চলছে, তা কোনো নিয়মের মধ্যে হচ্ছে না। পুঁজিবাজার এখন হয়ে গেছে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের ট্রাম্প কার্ড। যে যেভাবে পারছে সেভাবে খেলছে।”
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রভাব দেশের পুঁজিবাজারে পড়েছিল। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজার এরই মধ্যে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে। অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থাও আবার ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে। কিন্তু বাংলাদেশের পুঁজিবাজার খারাপের দিকে যাচ্ছে।
তাদের মতে, এখানে নিশ্চয় অন্য কোনো কারণ আছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র হয়তো শেয়ারের দাম কমিয়ে পরে সেগুলো হাতিয়ে নিতে চাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিনিয়োগকারীরা অস্থির হয়ে কম দামে শেয়ার বিক্রি করলে তা হবে আগুনে ঘি ঢালা।
রোববারের বাজার পর্যালোচনা
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৫৩ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৮ দশমিক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৮২ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে ৪৭৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫২২ কোটি ৫১ লাখ টাকার। এতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৪৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে ৩৯৩টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ২৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।
অপর পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রোববার ১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইতে ২১৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন সিএসইতে ২১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৩৬টির, কমেছিল ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি প্রতিষ্ঠানের।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক
৫ দিন আগেদেশের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৬ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি লিটার পাম ওয়েলের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা করে।
৫ দিন আগেপাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বরং এটাকে সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন বলে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
৫ দিন আগেউদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে প্রয়োজন ছিল সাহসী নেতৃত্ব— যিনি বা যারা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বাজারচিত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। বর্তমান নেতৃত্ব পুঁজিবাজারবান্ধব নয়। সরকারও পুঁজিবাজার বিষয়ে উদাসীন। অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত বিএসইসি চেয়ারম্যানের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
৭ দিন আগে