
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েমের জুলাই-আগস্ট আন্দোলন-পরবর্তী সময়ের ভূমিকা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, সাদিক কায়েম কখনো চাঁদাবাজি না করলেও ছাত্রশিবিরের একজন সাবেক সভাপতি ও আরেক ছাত্রশিবির নেতার স্ত্রী— এই দুজনে মিলে বর্তমান ও সাবেক দুই উপদেষ্টা যথাক্রমে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলামের ‘নাম ভাঙিয়ে’ আমলাতন্ত্রের বিভিন্ন স্থানে নিজেদের মতাদর্শের লোক বসানোর জন্য লিয়াজোঁ করতেন। সাদিক কায়েম কেবল ‘হিস্যা নিতেন’।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুল কাদের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। পরে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নামে নতুন সংগঠন তৈরি হলে এর ঢাবি শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এর আগে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বৃহস্পতিবারই ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, সাদিক কায়েম বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিলেন না। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে তিনি এ পরিচয় ব্যবহার করেছেন।
সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটি টকশোতে বলেছেন, ছাত্রশক্তির গঠন প্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল। শিবিরের নির্দেশনায় ছাত্রশক্তির নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলমসহ (বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা) অন্যরা কাজ করতেন। নাহিদ বলেছেন, সাদিকের এমন দাবিও মিথ্যা।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন আব্দুল কাদির। তিনি লিখেছেন, “সাদিক কায়েম ভাই কখনো চাঁদাবাজি করছে বলে আমি শুনি নাই। কিন্তু তিনি শুধু ক্ষমতার হিস্যাটা-ই চেয়েছেন। অভ্যুত্থানে তাদের অবদান, ত্যাগ অনুযায়ী হিস্যা বুঝে পেতে চেয়েছেন। সব সমস্যার মূল হচ্ছে এই ‘যথাযথ হিস্যা না পাওয়া!’”
কাদের লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জামায়াত-শিবিরের পক্ষ থেকে ঢাবি শিবিরের একজন সাবেক সভাপতি এবং এক শিবির নেতার স্ত্রী মূলত এই হিস্যার বিষয়টা ডিল করতেন। সচিবালয় থেকে মন্ত্রণালয়— আমলাতন্ত্রের সব জায়গায় নিজেদের মতাদর্শী লোকজন বসানোর ক্ষেত্রে লিয়াজোঁ করেছেন মূলত এই দুই ব্যক্তি (আমি যতদূর জানি)।’
ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্ট ওই দুজন সচিবালয় ঘুরে ঘুরে আসিফ-নাহিদের (আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম) নাম বলে বিভিন্ন ব্যক্তির বিষয়ে আসিফ-নাহিদকে না জানিয়েই সুপারিশ করতেন বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল কাদের। বলেছেন, বিষয়টি বুঝতে পেরে আসিফ-নাহিদ সে সুযোগ বন্ধ করে দেন।
আব্দুল কাদের লিখেছেন, ‘বিষয়টা সমীচীন মনে করেন নাই আসিফ-নাহিদ। কারও কনসার্ন ছাড়া এভাবে নাম বিক্রি করা সঠিক মনে করেন নাই তারা। পরে লিঁয়াজো করা জাশির (জামায়াত-শিবির) ওই দুই ব্যক্তির নামে মন্ত্রণালয়গুলোতে চিঠি পাঠানো হয়। আসিফ-নাহিদের নাম ভাঙিয়ে এই দুই লোক তদবির করতে গেলে যেন গ্রহণ করা না হয়, চিঠিতে এই মর্মে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়।’
এ ঘটনার পর সাদিক কায়েম দেখা করেন আব্দুল কাদেরের সঙ্গে। কাদেরের ভাষ্য, ‘তার পরপরই সাদিক কায়েম ভাই এক রাতে আমাকে ফোন দিলেন, দেখা করতে চান। সন্ধ্যা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত মেসেজ দিলেন। আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ছিলাম। কিন্তু ভাইয়ের পীড়াপীড়িতে ওই দিন রাতেই দেখা করতে হলো। ৪টায় ভিসি চত্বরে দেখা করলাম। কথা চলল ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় যায় পর্যন্ত।’
ওই সময় সাদিক কায়েম কী বলেছেন, স্ট্যাটাসে সেটিও উল্লেখ করেছেন কাদের। লিখেছেন, “সাদিক ভাইয়ের একটাই অভিযোগ-অনুযোগ— ‘তারা কী না করছে! অভ্যুত্থানে এত এত অবদান-ত্যাগ। তারপরও তাদের প্রতি এখন ইনজাস্টিস করা হচ্ছে। মাহফুজ-নাহিদ-আসিফরা এখন তাদের কথা শুনতেছে না, তাদের সাথে বিট্রে করতেছে। মাহফুজরা কথা রাখে নাই!’”

ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েমের জুলাই-আগস্ট আন্দোলন-পরবর্তী সময়ের ভূমিকা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, সাদিক কায়েম কখনো চাঁদাবাজি না করলেও ছাত্রশিবিরের একজন সাবেক সভাপতি ও আরেক ছাত্রশিবির নেতার স্ত্রী— এই দুজনে মিলে বর্তমান ও সাবেক দুই উপদেষ্টা যথাক্রমে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলামের ‘নাম ভাঙিয়ে’ আমলাতন্ত্রের বিভিন্ন স্থানে নিজেদের মতাদর্শের লোক বসানোর জন্য লিয়াজোঁ করতেন। সাদিক কায়েম কেবল ‘হিস্যা নিতেন’।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুল কাদের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। পরে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নামে নতুন সংগঠন তৈরি হলে এর ঢাবি শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এর আগে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বৃহস্পতিবারই ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, সাদিক কায়েম বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিলেন না। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে তিনি এ পরিচয় ব্যবহার করেছেন।
সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটি টকশোতে বলেছেন, ছাত্রশক্তির গঠন প্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল। শিবিরের নির্দেশনায় ছাত্রশক্তির নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলমসহ (বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা) অন্যরা কাজ করতেন। নাহিদ বলেছেন, সাদিকের এমন দাবিও মিথ্যা।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন আব্দুল কাদির। তিনি লিখেছেন, “সাদিক কায়েম ভাই কখনো চাঁদাবাজি করছে বলে আমি শুনি নাই। কিন্তু তিনি শুধু ক্ষমতার হিস্যাটা-ই চেয়েছেন। অভ্যুত্থানে তাদের অবদান, ত্যাগ অনুযায়ী হিস্যা বুঝে পেতে চেয়েছেন। সব সমস্যার মূল হচ্ছে এই ‘যথাযথ হিস্যা না পাওয়া!’”
কাদের লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জামায়াত-শিবিরের পক্ষ থেকে ঢাবি শিবিরের একজন সাবেক সভাপতি এবং এক শিবির নেতার স্ত্রী মূলত এই হিস্যার বিষয়টা ডিল করতেন। সচিবালয় থেকে মন্ত্রণালয়— আমলাতন্ত্রের সব জায়গায় নিজেদের মতাদর্শী লোকজন বসানোর ক্ষেত্রে লিয়াজোঁ করেছেন মূলত এই দুই ব্যক্তি (আমি যতদূর জানি)।’
ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্ট ওই দুজন সচিবালয় ঘুরে ঘুরে আসিফ-নাহিদের (আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম) নাম বলে বিভিন্ন ব্যক্তির বিষয়ে আসিফ-নাহিদকে না জানিয়েই সুপারিশ করতেন বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল কাদের। বলেছেন, বিষয়টি বুঝতে পেরে আসিফ-নাহিদ সে সুযোগ বন্ধ করে দেন।
আব্দুল কাদের লিখেছেন, ‘বিষয়টা সমীচীন মনে করেন নাই আসিফ-নাহিদ। কারও কনসার্ন ছাড়া এভাবে নাম বিক্রি করা সঠিক মনে করেন নাই তারা। পরে লিঁয়াজো করা জাশির (জামায়াত-শিবির) ওই দুই ব্যক্তির নামে মন্ত্রণালয়গুলোতে চিঠি পাঠানো হয়। আসিফ-নাহিদের নাম ভাঙিয়ে এই দুই লোক তদবির করতে গেলে যেন গ্রহণ করা না হয়, চিঠিতে এই মর্মে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়।’
এ ঘটনার পর সাদিক কায়েম দেখা করেন আব্দুল কাদেরের সঙ্গে। কাদেরের ভাষ্য, ‘তার পরপরই সাদিক কায়েম ভাই এক রাতে আমাকে ফোন দিলেন, দেখা করতে চান। সন্ধ্যা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত মেসেজ দিলেন। আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ছিলাম। কিন্তু ভাইয়ের পীড়াপীড়িতে ওই দিন রাতেই দেখা করতে হলো। ৪টায় ভিসি চত্বরে দেখা করলাম। কথা চলল ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় যায় পর্যন্ত।’
ওই সময় সাদিক কায়েম কী বলেছেন, স্ট্যাটাসে সেটিও উল্লেখ করেছেন কাদের। লিখেছেন, “সাদিক ভাইয়ের একটাই অভিযোগ-অনুযোগ— ‘তারা কী না করছে! অভ্যুত্থানে এত এত অবদান-ত্যাগ। তারপরও তাদের প্রতি এখন ইনজাস্টিস করা হচ্ছে। মাহফুজ-নাহিদ-আসিফরা এখন তাদের কথা শুনতেছে না, তাদের সাথে বিট্রে করতেছে। মাহফুজরা কথা রাখে নাই!’”

এর আগে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দু-একটা খুনখারাবি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।
৫ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসের কর্মসূচি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধি দল দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা গুম-খুন করেছে দক্ষতার সাথে। কিন্তু এখন খুনীকে ধরতে পারে না। ডিপস্টেট নিয়ে কথা বলতে হবে। ৭১ সাল থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিলো, এখনও চলছে। কাল উৎসব নয়, প্রতিরোধ যাত্রা করবো।’
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না; তাদের যেহেতু আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বাংলেদেশেও ভারতের সেপারেটিস্টদের (বিচ্ছিন্নতাবাদী) আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব।’
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশের প্রধান প্রয়োজন নির্বিঘ্ন, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক-আমরা সব ধরনের বিভাজন ও হিংসা ভু
৯ ঘণ্টা আগে