চাকসুতে ৩ হলের ফলে ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল, জিএস পদে শিবির

চবি প্রতিনিধি
চাকসুতে চলছে ভোট গণণা, সরাসরি দেখানো হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বসানো এলইডি স্ক্রিনে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে তিনটি হলের ফলাফল মিলেছে। তিনটি হলেই সহসভাপতি (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রদলের প্রার্থীরা। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে একটি হলে ছাত্রদল, একটি হলে বামপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের জোট এবং আরেকটি হলে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। তিন হলের ফল মিলিয়ে ভিপি পদে ছাত্রদল ও জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও তা শুরু হয় সাড়ে ৯টার দিকে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়ার কথা ছিল। তবে ৪টার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্রে লাইনে ছিলেন, তাদের ভোট শেষ হতে হতে সাড়ে ৪টা পেরিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর শুরু হয়েছে ভোট গণণা।

রাত পৌনে ৯টার দিকে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীর এই হোস্টেলে ১২৪ জন ভোট দিয়েছেন।

ফলাফলে দেখা গেছে, এ হোস্টেলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন ৩৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ভিপি পদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মো. ইব্রাহীম হোসেন। অন্যদিকে বামধারার ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া পেয়েছেন ২৬ ভোট।

এ হলে জিএস পদে এগিয়ে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সুদর্শন চাকমা, তিনি পেয়েছেন ২৯ ভোট। ২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী সাঈদ বিন হাবীব। ছাত্রদলের প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন ২৪ ভোট।

রাত সোয়া ১১টার দিকে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ফলাফল পাওয়া যায়। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, এ হলে ভিপি পদে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রদলের প্রার্থী, জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী।

ফলাফলে দেখা গেছে, ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ১৪১ ভোট। একই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ইব্রাহীম হোসেন রনি পেয়েছেন ১৩০ ভোট। জিএস পদে অবশ্য এগিয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব, পেয়েছেন ১৭৫ ভোট। এ হলে ছাত্রদলের শাফায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫৩ ভোট।

দিবাগত রাত ১২টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদে ডিন কার্যালয়ে অতীশ দীপঙ্কর হলের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী। এ হলে ভিপি ও জিএস— দুই পদেই এগিয়ে ছাত্রদল।

ভিপি পদে ছাত্রদলের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ২২৩ ভোট। ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ও ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলের ধ্রুব বড়ুয়া দুজনেই এ হলে ৯০টি করে ভোট পেয়েছেন।

অন্যদিকে জিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। এ পদে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলের সুদর্শন চাকমা পেয়েছেন ১৩১ ভোট, শিবির সমর্থিত সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮৩ ভোট।

সব মিলিয়ে দুটি হল ও একটি হোস্টেলের ফলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী ৩৯৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ছাত্রশিবিরের প্রার্থী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ২৪৭ ভোট নিয়ে। অন্যদিকে জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী ২৮৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ছাত্রদলের প্রার্থী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ২৪১ ভোট নিয়ে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রিজভী

এদিকে, একই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণসংযোগের মাধ্যমে বলেন, আর বিভাজন করবেন না, আর কোনো দাবি তুলে বিভেদ তৈরি করবেন না। গণভোট, পিআর নিয়ে আর আন্দোলন করবেন না। নির্বাচনটা হতে দিন, দেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের মানুষকে বাঁচাতে তাড়াতাড়ি ভোট হতে দিন।

৮ ঘণ্টা আগে

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করতে হবে, বিকল্প নেই: সালাহউদ্দিন

বুধবার (১৫ অক্টোবর) জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে কমিশন প্রধান এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও উপস্থিত আছেন।

৯ ঘণ্টা আগে

‘অশান্তির জন্য নোবেল থাকলে বাংলাদেশ উপযুক্ত বিবেচিত হতো’

জিএম কাদের বলেন, দেশের বর্তমান অবক্ষয় থেকে রক্ষাকবচ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়। সে কারনে প্রয়োজন সরকার পরিবর্তন। তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন ও সে সরকারের অধীনে আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশ গ্রহনমূলক

৯ ঘণ্টা আগে

গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টি হলে 'কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ' হতে পারে: রিজভী

'জুলাই সনদে' উল্লিখিত গণভোট প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, "এখন অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়, নির্বাচন ও গণভোটের তো একটা প্রস্তুতি আছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়, বহুবিধ কাজ থাকে।" তিনি রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা বিবেচনা করে বলেন, গণভোট আগে করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়, এতে সংকট তৈরি হব

১২ ঘণ্টা আগে