ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ভবনের সামনে সাম্য হত্যার বিচার, ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ ও ক্যাম্পাস ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) আওতায় আনার তিন দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন ছাত্রধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
বুধবার (২১ মে ) দুপুর ১২টা থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ইয়ামিন ঢাবি লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।
অনশন চলাকালে রাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দেখা করতে যান ইয়ামিনের সঙ্গে। ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান আগামী দুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকায় অনশন দ্যদিনের জন্য স্থগিত করার আহ্বান জানান তিনি।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা তো আপনাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি না। আমরা বলছি, আপনারা ফ্লেক্সিবল থাকুন। আমাদের নির্বাচন কমিশন গঠন করা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, মনোনয়নপত্র দাখিল করা, মনোনয়ন বাছাই করা ও নির্বাচনের প্রচার মিলিয়ে যৌক্তিকভাবে ২৫ দিন বা ৩০ দিন বা ৪০ দিন দুই মাস সময় লাগতে পারে। আপনারা প্রকাশ করুন, আপনাদের কতদিন লাগবে।
ইয়ামিন আরও বলেন, এটি ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থীদের চাওয়া। এ জন্য আপনাদের তরফ থেকে যখন উপাচার্য স্যার এসেছিলেন তখন বলেছিলাম, এটা শিক্ষার্থীদের একটা চাওয়া এবং শিক্ষার্থীদের জানার আকাঙ্ক্ষা আছে। কিন্তু আপনারা তা শিক্ষার্থীদের জানাচ্ছেন না। এ কারণেই আমরা বলেছি, কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পারছে না অথবা পারলে কখন পারবে, কীভাবে পারবে সেটা সবার সামনে প্রকাশ করুক। শিক্ষার্থীরা সব জানুক। আমরা যদি আপনাদের মন্তব্যে সন্তুষ্ট হই তাহলে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেব।
ইয়ামিন আরও বলেন, আমরা অনেক মিটিং করেছি। আর মিটিং করতে চাই না।এটা তো আমাদের কিছু ব্যক্তির বিষয় না যে আমরা বসলাম, আলোচনা করলাম। উত্তরটা তো সবাইকে দিতে হবে।
তার বক্তব্যের জবাবে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি তোমাদের কথাগুলো শুনেছি। এগুলো আমাদের আরও যারা অংশীজন আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং পরে আবার তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
এরপর বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর আমাদের শিক্ষার্থীদের একটি বড় দাবি হলো- ডাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা দায়িত্বশীল কারও কাছ থেকে এমন কোনো বক্তব্য বা পদক্ষেপ আশা করি না যা আমাদের বিক্ষুদ্ধ করে।এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটলে এর দায়দায়িত্বও আমারা নেব না।
এরপর প্রক্টর বলেন, তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানাবেন। তবে উপাচার্য রাজশাহী অবস্থান করছেন এবং তিনি শুক্রবার ফিরবেন বলে জানান তিনি।
প্রক্টর অনুরোধ করে বলেন, যেহেতু আগামী শুক্রবারের আগে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারছি না, সেহেতু এই দুদিন শিক্ষার্থীরা যেন বিরতি দিয়ে তারপর আবার কর্মসূচি দেয়।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, এই দুদিনে যদি আমার ভাইয়ের কিছু হয়ে যায় তাহলে এর দায় কে নেবে?আপনারা চাইলেই তো জরুরি মিটিং করতে পারেন। আমরা অনেকবার আন্দোলন করেছি। এবার কোনভাবেই কর্মসূচি ছাড়ব না।
প্রক্টর বলেন, প্রথম দাবি সাম্য হত্যার বিচার নিয়ে আমরা সবাই কাজ করছি। আর ডাকসুর আলোচনা শুরু করার মতো মানসিক অবস্থায় আছি কি না, এটা নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা তো রোডম্যাপ দেওয়ার পথেই ছিলাম। ১৩ মে আমাদের একটি সংলাপও হয়েছে এ নিয়ে। কিন্তু ওই রাতের মর্মান্তিক ঘটনার (সাম্য হত্যা) কারণে তা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল নয়। মানসিক ট্রমাটা কাটিয়ে উঠলেই আমরা কাজ শুরু করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ভবনের সামনে সাম্য হত্যার বিচার, ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ ও ক্যাম্পাস ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) আওতায় আনার তিন দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন ছাত্রধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
বুধবার (২১ মে ) দুপুর ১২টা থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ইয়ামিন ঢাবি লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।
অনশন চলাকালে রাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দেখা করতে যান ইয়ামিনের সঙ্গে। ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান আগামী দুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকায় অনশন দ্যদিনের জন্য স্থগিত করার আহ্বান জানান তিনি।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা তো আপনাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি না। আমরা বলছি, আপনারা ফ্লেক্সিবল থাকুন। আমাদের নির্বাচন কমিশন গঠন করা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, মনোনয়নপত্র দাখিল করা, মনোনয়ন বাছাই করা ও নির্বাচনের প্রচার মিলিয়ে যৌক্তিকভাবে ২৫ দিন বা ৩০ দিন বা ৪০ দিন দুই মাস সময় লাগতে পারে। আপনারা প্রকাশ করুন, আপনাদের কতদিন লাগবে।
ইয়ামিন আরও বলেন, এটি ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থীদের চাওয়া। এ জন্য আপনাদের তরফ থেকে যখন উপাচার্য স্যার এসেছিলেন তখন বলেছিলাম, এটা শিক্ষার্থীদের একটা চাওয়া এবং শিক্ষার্থীদের জানার আকাঙ্ক্ষা আছে। কিন্তু আপনারা তা শিক্ষার্থীদের জানাচ্ছেন না। এ কারণেই আমরা বলেছি, কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পারছে না অথবা পারলে কখন পারবে, কীভাবে পারবে সেটা সবার সামনে প্রকাশ করুক। শিক্ষার্থীরা সব জানুক। আমরা যদি আপনাদের মন্তব্যে সন্তুষ্ট হই তাহলে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেব।
ইয়ামিন আরও বলেন, আমরা অনেক মিটিং করেছি। আর মিটিং করতে চাই না।এটা তো আমাদের কিছু ব্যক্তির বিষয় না যে আমরা বসলাম, আলোচনা করলাম। উত্তরটা তো সবাইকে দিতে হবে।
তার বক্তব্যের জবাবে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি তোমাদের কথাগুলো শুনেছি। এগুলো আমাদের আরও যারা অংশীজন আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং পরে আবার তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
এরপর বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর আমাদের শিক্ষার্থীদের একটি বড় দাবি হলো- ডাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা দায়িত্বশীল কারও কাছ থেকে এমন কোনো বক্তব্য বা পদক্ষেপ আশা করি না যা আমাদের বিক্ষুদ্ধ করে।এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটলে এর দায়দায়িত্বও আমারা নেব না।
এরপর প্রক্টর বলেন, তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানাবেন। তবে উপাচার্য রাজশাহী অবস্থান করছেন এবং তিনি শুক্রবার ফিরবেন বলে জানান তিনি।
প্রক্টর অনুরোধ করে বলেন, যেহেতু আগামী শুক্রবারের আগে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারছি না, সেহেতু এই দুদিন শিক্ষার্থীরা যেন বিরতি দিয়ে তারপর আবার কর্মসূচি দেয়।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, এই দুদিনে যদি আমার ভাইয়ের কিছু হয়ে যায় তাহলে এর দায় কে নেবে?আপনারা চাইলেই তো জরুরি মিটিং করতে পারেন। আমরা অনেকবার আন্দোলন করেছি। এবার কোনভাবেই কর্মসূচি ছাড়ব না।
প্রক্টর বলেন, প্রথম দাবি সাম্য হত্যার বিচার নিয়ে আমরা সবাই কাজ করছি। আর ডাকসুর আলোচনা শুরু করার মতো মানসিক অবস্থায় আছি কি না, এটা নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা তো রোডম্যাপ দেওয়ার পথেই ছিলাম। ১৩ মে আমাদের একটি সংলাপও হয়েছে এ নিয়ে। কিন্তু ওই রাতের মর্মান্তিক ঘটনার (সাম্য হত্যা) কারণে তা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল নয়। মানসিক ট্রমাটা কাটিয়ে উঠলেই আমরা কাজ শুরু করব।
বিএনপির কূটনৈতিক উইংয়ের এক সদস্য জানান, বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের কাছে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
১৫ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ব্রিটিশ শোষণ থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে পূর্ববঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাস–১৯০৫-এর ভঙ্গভঙ্গ, ১৯১১-এর বঙ্গভঙ্গ রদ এবং পরে লাহোর প্রস্তাব, সব মিলিয়েই ভাগাভাগি ও শোষণের ধারাকে প্রভাবিত করেছে।
১ দিন আগেশিক্ষকদের দাবি-দওয়ার সবকিছু বিএনপির ৩১ দফার কর্মসূচিতে আছে দাবি করে দলের মহাসচিব ফখরুল বলেন, আমাদের জাতি হিসেবে আপনাদের কাছে একটা দাবি আছে, সে দাবিটা হচ্ছে যে আপনারা আপনাদের ছাত্রদেরকে ছাত্রীদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে এমন করে গড়ে তুলবেন, যেন তারা সত্যিকার অর্থেই আদর্শ নাগরিক হতে পারে, নৈতিকতার মধ্যে
১ দিন আগেতারেক রহমান বলেন, ‘মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের এই অনুষ্ঠানে আমাকে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়ায় আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। অতীতের ভালো দৃষ্টান্তগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং খারাপ দৃষ্টান্ত বর্জনই হোক আমাদের আগামী দিনের অঙ্গীকার।’
১ দিন আগে