‘রকেট’ প্রতীকে নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ১৪

আদালতের নির্দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলটি প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছে ‘রকেট’।

‎বুধবার (০৯ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিএমজেপির প্রেসিডেন্ট সুকৃতি কুমার মন্ডলের কাছে নিবন্ধন সনদ তুলে দেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। দলটির প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে ‘রকেট’। নিবন্ধন নম্বর ৫৫।

‎বিএমজেপির প্রেসিডেন্ট সুকৃতি কুমার মন্ডল বলেন, ২০১৮ সালে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিলাম। বিশেষ কারণে নিবন্ধন ওই সময় পাইনি। বাছাইয়ে আমরা ছিলাম। দুটি দলকে দেয়। আমরা প্রতিবাদ জানাই। ৫ আগস্টের পর রিট করে দলটি।

‎নিবন্ধনের কাগজ পেয়ে তিনি বলেন, আজকে কাঙ্ক্ষিত নিবন্ধন সনদ পেলাম। আজ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ৫৪ বছরে আমরা রাজনীতির স্বাদ গ্রহণ করতে চাচ্ছি। তিন কোটির মতো মাইনরিটি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে। এখন আমরা রাজনীতি করার অধিকার পেলাম। আমরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আমাদের সমর্থন আছে। আমাদের প্রতীক রকেট।

‎২০১৭ সালে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটি আবেদন করলেও বাছাই পর্ব পার হতে পারেনি। পরে এ নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিতে ইসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

‎ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

‎এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর আদালতের আদেশে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির পর বিএমজেপি নিবন্ধন পেল; এখন নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০- এ।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

'জনগণ রাস্তায় নামলে কোনো শক্তি থামাতে পারে না'

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাইয়ের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা নতুন শপথ নেবো, যাতে স্বৈরাচার আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। আশা করি, আগামী দিনে কেউ স্বৈরাচার হতে চাইলে জনগণ সঙ্গে সঙ্গে তাদের পতন ঘটাবে। জনগণ রাস্তায

৭ ঘণ্টা আগে

জুলাই আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছিল: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এক অমোঘ ডাক, এক জনতার জাগরণ। সেই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল— ফ্যাসিবাদের বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।

৭ ঘণ্টা আগে

এক দফা ঘোষণার পর পরিস্থিতি ছিল ‘ডু অর ডাই’: নাহিদ

ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বে থাকা নহিদ ইসলাম বলছেন, সরকারি বাহিনীসহ সরকারি দলের অনুসারীদের নির্বিচারে আক্রমণ-হামলাই এই আন্দোলনকে বেগবান করে। বিশেষ করে ১৬ জুলাই গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়।

১১ ঘণ্টা আগে

ইউনূস-রুবিও ফোনালাপে ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তায় জোর

তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারের প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

১২ ঘণ্টা আগে