রাষ্ট্র সংস্কারের পর নির্বাচন চান মান্না

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের সর্বস্তরে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করার পর অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবে। এমনটি আশা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

শনিবার (১০ আগস্ট) গুলশানে তার বাসভবনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় দলটির নেতারা আশা প্রকাশ করে বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশের জনগণ জীবন দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে, সেই প্রত্যাশা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে। রাষ্ট্রের গঠনমূলক সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে নাগরিক ঐক্য।

সব ধরনের নৈরাজ্য, সহিংসতা এবং দখলদারত্ব বন্ধ করতে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, অন্যথায় সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর জনগণের আস্থার সংকট দেখা দেবে।

মান্না বলেন, ‘ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটেছে। ছাত্রদের নেতৃত্বে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যেভাবে এই অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত হয়েছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। এই অভ্যুত্থান হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের সুবিধাভোগী গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। এই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের জনগণ নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। অভ্যুত্থান, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা ছিল এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’

তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতির যে অবনতি ঘটেছে, তা অতিদ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। গত ১৫ বছরে দেশের সব সাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে পুনর্গঠিত করা নতুন সরকারের প্রথম কাজ। বিচার বিভাগকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, নির্বাচন কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি দমন, বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত সব অপরাধের বিচার এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

৯ প্যানেলে জমজমাট ডাকসু— কোন প্যানেলে প্রার্থী কারা

ছয় বছরের বিরতিতে হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বহুমুখী লড়াইয়ের আভাস ছিল আগে থেকেই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে একে একে প্যানেলগুলো ঘোষণা হতে থাকলে সে আভাসের সত্যতা মিলেছে। দিন শেষে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ মোট প্যানেলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টিতে। প্যানেলগুলো আলাদা আলাদা নামও পেয়েছে।

২১ ঘণ্টা আগে

কয়েক দিনের মধ্যে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে: মেজর হাফিজ

তিনি বলেন, ‘একাত্তরে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সেই যুদ্ধ শুরু করেছিলেন আমাদের নেতা মেজর জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক দলগুলো যখন পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে, জনগণকে আশার বাণী শোনানোর জন্য কাউকে যখন খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।

১ দিন আগে

সরকারের ভেতরে সরকার আছে: জি এম কাদের

জি এম কাদের বলেন, দেশ অনিশ্চয়তার পথে চলছে। এই সরকারের কাছে ভালো একটি নির্বাচনের প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু আমরা দেখছি, এই সরকারের ভেতরে সরকার আছে। একটি অদৃশ্য ছায়া অনেক উপদেষ্টাকে সঠিকভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। এসব কারণে দেশে নির্বাচন করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সরকার।

১ দিন আগে

ডাকসুতে প্রতি পদে ১৮ প্রার্থী, মনোনয়ন জমা দেননি ১৪৯ জন

এদিকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেও জমা দেননি ১৪৯ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে মনোনয়ন নেওয়া প্রায় এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন বাছাইয়ে যাওয়ার আগেই।

১ দিন আগে