জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২: ৩৩

জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত গেজেট আজই প্রকাশ করা হতে পারে।

জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধে গত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাহী আদেশের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত গেজেট আজ বুধবার প্রকাশ করা হতে পারে।

১ আগস্ট নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল গত আওয়ামী লীগ সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়।

নির্বাহী আদেশে জামায়া‌তে ইসলামী‌কে নি‌ষিদ্ধের সিদ্ধান্ত‌কে সংবিধানবিরোধী বলে উল্লেখ করে দল‌টি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশ প্রত্যাহারে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়। বৈধতা ফিরে পেতে আবেদন করে জামায়াত ও শিবির। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো।

জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, যুক্তিসহ লিখিত আবেদন করা হয়েছে। জামায়াত ও শিবিরকে বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার জামায়াত ও শিবিরের পৃথক আবেদন পাওয়ার শুনানি হয়েছে। এতে তাদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। তবে কখন, কোথায় এ শুনানি হয়েছে, তা জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মতামত নিয়ে জামায়াত-শিবিরের বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার ফাইল আজ বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর গেজেট প্রকাশিত হবে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১ আগস্ট ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এর পরই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন হয়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন হয়েও ৫ আগস্ট থেকে জামায়াত প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠকসহ সব কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী, সরকার কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলে, এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। যা শুনানি করে ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করবে সরকার।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

৯ প্যানেলে জমজমাট ডাকসু— কোন প্যানেলে প্রার্থী কারা

ছয় বছরের বিরতিতে হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বহুমুখী লড়াইয়ের আভাস ছিল আগে থেকেই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে একে একে প্যানেলগুলো ঘোষণা হতে থাকলে সে আভাসের সত্যতা মিলেছে। দিন শেষে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ মোট প্যানেলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টিতে। প্যানেলগুলো আলাদা আলাদা নামও পেয়েছে।

২১ ঘণ্টা আগে

কয়েক দিনের মধ্যে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে: মেজর হাফিজ

তিনি বলেন, ‘একাত্তরে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সেই যুদ্ধ শুরু করেছিলেন আমাদের নেতা মেজর জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক দলগুলো যখন পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে, জনগণকে আশার বাণী শোনানোর জন্য কাউকে যখন খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।

১ দিন আগে

সরকারের ভেতরে সরকার আছে: জি এম কাদের

জি এম কাদের বলেন, দেশ অনিশ্চয়তার পথে চলছে। এই সরকারের কাছে ভালো একটি নির্বাচনের প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু আমরা দেখছি, এই সরকারের ভেতরে সরকার আছে। একটি অদৃশ্য ছায়া অনেক উপদেষ্টাকে সঠিকভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। এসব কারণে দেশে নির্বাচন করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সরকার।

১ দিন আগে

ডাকসুতে প্রতি পদে ১৮ প্রার্থী, মনোনয়ন জমা দেননি ১৪৯ জন

এদিকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেও জমা দেননি ১৪৯ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে মনোনয়ন নেওয়া প্রায় এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন বাছাইয়ে যাওয়ার আগেই।

১ দিন আগে