জামায়াতের ক্ষমা— অনুশোচনা নাকি নিছক রাজনৈতিক কৌশল?

শাহরিয়ার শরীফ
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১০: ২২
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ

জামায়াত ইসলামীর হাতে কেউ কষ্ট পেলে তার জন্য ‘বিনা শর্তে ক্ষমা’ চেয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এক টকশোতে দেওয়া তার এমন বক্তব্যে নানামুখী আলোচনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। প্রশ্ন উঠেছে— একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরার অনুশোচনা থেকে জামায়াত আমির এমন বক্তব্য দিয়েছেন, নাকি এটি জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ভোটারদের সমর্থন আদায়ে নিছক রাজনৈতিক কৌশল মাত্র?

রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ জামায়াত আমিরের এমন বক্তব্যকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জামায়াত আদৌ ক্ষমা চেয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা। বলছেন, এ ইস্যুতে ক্ষমা চাইতে হলে জামায়াতের সুনির্দিষ্টভাবেই ক্ষমা চাওয়া উচিত।

জামায়াতের আমির একাত্তরে দলটির ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন কি না— এ প্রশ্নের জবাবেও কৌশল নিচ্ছেন দলটির নেতারা। বলছেন, ওই ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে সবকিছুই চলে এসেছে।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর একাধিক নেতা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড সাজা পেয়েছেন। রাজনীতিবিদরা বলছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিচালিত ওই বিচার কার্যক্রমের কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকলেও একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে দলটির মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ততা প্রশ্নাতীত।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য দলটিকে প্রকাশ্যে ও সুস্পষ্টভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিভিন্ন সময় জানিয়েছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম। শুধু তাই নয়, খোদ জামায়াতের মধ্য থেকেও ক্ষমা চাওয়া নিয়ে বারবার আলোচনা উঠেছে। কিন্তু কখনোই জামায়াত নেতারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাননি। দলের পক্ষ থেকেও ক্ষমা চাওয়া হয়নি। এ কারণেই জামায়াত আমিরের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে বক্তব্য নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জামায়াত আমিরের বক্তব্য কৌশলী হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্মুখ সমরে বীরত্ব দেখানো এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও মনে করেন, জামায়াতের রাখঢাক না করেই ক্ষমা চাওয়া উচিত।

কাদের সিদ্দিকী রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘জামায়াত আমির যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি কৌশলী বক্তব্য হতে পারে। আন্তরিকভাবে চাইলে অন্যভাবে ক্ষমা চাওয়ার কথা। আসলে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের যে ভুল, তার ক্ষমা হয় না। তবে আজ হোক, কাল হোক— জামায়াতকে ক্ষমা চাইতেই হবে।’

বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম অবশ্য সরাসরিই জামায়াত আমিরের বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক স্টান্টবাজি’ বলে অভিহিত করেছেন।

সেলিম বলেন, ‘এরই মধ্যে নানা সময়ে নানা কথা বলে জামায়াতের আমির তার গ্রহণযোগ্যতা অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন। ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটিও তিনি জাস্ট রাজনৈতিক স্টান্ট হিসেবে নিয়েছেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতা করার ব্যাপারে এবং রাজাকার, আল-বদর বাহিনী গঠন করে বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ নানা অপকর্মের জন্য তিনি সরাসরি ক্ষমা চাননি।’

জামায়াত ছেড়ে এসে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি গড়ে তোলা মজিবুর রহমান মঞ্জু অবশ্য শফিকুর রহমানের ক্ষমা চাওয়াকে কিছুটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। রাজনীতি ডটকমকে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের আমির সাহস করে দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষিত নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এ জন‍্য তাকে অশেষ ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।’

‘একাত্তর ইস‍্যুতে জামায়াতের রাজনীতিকে যারা এতদিন সমলোচনা করতেন, আশা করি তারা এটাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি যারা এতদিন জামায়াতের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত নয় বলে মত ও মনোভাব পোষণ করতেন, তারাও এটাকে সাধুবাদ জানাবেন,’— বলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু। একইভাবে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগকেও বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

টকশোতে ক্ষমা চাওয়া নিয়ে জামায়াত আমিরের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার কৌশলী জবাব দেন। তিনিও সুস্পষ্টভাবে কোনো উত্তর দেননি।

গোলাম পরওয়ার রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘সত্যি বলতে, একজনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা আরেকজনের পক্ষে দেওয়া কঠিন। তবে তার বক্তব্যে শুধু একাত্তর বা কোনো সাল বা দিনক্ষণ নয়, এখন পর্যন্ত আমাদের দলের কারও আচরণে কেউ কষ্ট পেলে তার জন্য কোনো শর্ত ছাড়াই ক্ষমা চেয়েছেন। এখন এই ক্ষমা চাওয়াকে একেকজন একেকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন, সেটা তার ব্যাপার।’

শফিকুর রহমান সুনির্দিষ্টভাবে একাত্তরের অবস্থানের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমি তো মনে করি এখান থেকে ওনার মূল কথাটাই নেওয়া উচিত। এর মধ্যে তো আসলে সব কথাই থাকে। জ্ঞানী মানুষের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। আমি মনে করি, এখানে কোনো কিছুকে আলাদা করার সুযোগ নেই।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের এমন ব্যাখ্যা পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। তারও পর্যবেক্ষণ, মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভুলের জন্য ক্ষমা না চেয়ে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন জামায়াত আমির।

জাহেদ উর রহমান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে জামায়াত আমির ভাষার মারপ্যাচে অত্যন্ত কূটকৌশল করেছেন। তিনি আদতে মোটেও ক্ষমা চাননি। কারণ ক্ষমার আলাপের মধ্যেই আবার বলেছেন, এখন যেটা ভুল মনে হয় সেটা একসময় সঠিক হতে পারে। অর্থাৎ তারা যে ভুল করেছেন সেটা এখনো নিশ্চিত নন। অথচ একাত্তরে জামায়াত নেতারা সবচেয়ে ছোট যে ভুল করেছেন সেটাও হলো— তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন।’

জামায়াত আমিরের ক্ষমা প্রার্থনা

জামায়াত আমিরের ক্ষমা প্রার্থনা ইস্যুর সূত্রপাত গত ২৮ মে। ওই দিন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পান। ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বা তার কোনো নেতাকর্মীর মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে তার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই।’

এই ক্ষমা প্রার্থনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সময়টাও আছে কি না— এ বিষয়টি সেদিন জামায়াতের আমির স্পষ্ট করেননি বলে গত সপ্তাহের ওই টকশোতে উল্লে করেন উপস্থাপক। বলেন, ‘আজকে এটা স্পষ্ট করবেন কি? অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে জামায়াতের আমির ক্ষমা কীসের জন্য চাইলেন?’

এ প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘শুধু একাত্তর নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যত মানুষ কষ্ট পেয়েছেন, কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন সেই সকল মানুষের সকলের কাছে আমি বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়েছি।’

তার পরের বক্তব্যই অবশ্য ফের প্রশ্ন জাগায়— জামায়াত আদৌ একাত্তরের অবস্থানকে ভুল মনে করে কি না। শফিকুর রহমান বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে মানুষ যেমন ভুল করতে পারে, মানুষের সমষ্টি একটি দলেরও ভুল সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। কোনটা ভুল কোনটা সঠিক, সেটা ইতিহাস নির্ধারণ করবে। আজ যেটাকে ভুল বলা হচ্ছে কাল সেটাই হয়তো সবচেয়ে বড় সঠিক হিসেবে প্রমাণিত হবে।’

পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কৌশলী

একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে দলটির নেতারা গুরুত্ব দেননি। উলটো মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কথা এখন অস্বীকার করেছেন তাঁরা।

জামায়াতের আমির এর আগে গত নভেম্বরে এক টকশোতে বলেছিলেন, জামায়াত একাত্তরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমরা (জামায়াত) স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলাম না। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভারতের সহযোগিতায় যদি দেশ স্বাধীন হয় তাহলে স্বাধীনতার সুফল পাওয়া যাবে না।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এরপরেও এটি সঠিক যে জামায়াত চেয়েছিল এক পাকিস্তান। কিন্তু পরে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের কারণে জাতি ফুঁসে উঠেছিল। মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা আমাদের কলিজা দিয়ে ভালোবেসে কবুল করে নিয়েছি।’

দলের ওই সময়কার ভূমিকার মূল্যায়নের ভার জনগণের ওপর দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘তখনকার সময়ে আমাদের চিন্তা বিজয়ী হয়নি। সেই সময় আমাদের চিন্তা পরাজিত হয়েছে, আমাদের সিদ্ধান্ত পরাজিত হয়েছে। এখন জনগণ মূল্যায়ন করবে আমাদের সেই ভূমিকা কতটা যথার্থ ছিল।’

২১ নভেম্বর যুক্তরাজ্য সফরে পূর্ব লন্ডনের যুক্তরাজ্যে বাংলাভাষী সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে জামায়াত ‘বাধ্য হয়ে’ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল বলে দাবি করেন জামায়াত আমির। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ওয়ান পাকিস্তানের পক্ষে সাপোর্ট দিয়েছিল। এটি রাজনীতিতে অপরাধ না। তখন পাকিস্তানের অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান।’

ক্ষমার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় দল ছাড়েন ব্যারিস্টার রাজ্জাক

এদিকে জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে জোর আলোচনা ছিল দলের ভেতরেও। এমন আলোচনা চালিয়ে যাওয়া নেতাদের অন্যতম সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন তিনি। অনেক চেষ্টাতেও দলকে ক্ষমা চাওয়াতে ব্যর্থ হয়ে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দল ছাড়েন।

ওই সময় দলের আমির মকবুল আহমদকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে রাজ্জাক তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় দলটির ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেছেন, যেন একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতে ইসলামী জাতির কাছ ক্ষমা চায়। কিন্তু তার এই আহ্বানে সাড়া দেননি নেতারা।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি আন্তরিক : সালাহউদ্দিন

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘ঐকমত্য কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা ঠিক করতে হবে। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে সেসব বিষয়ে সনদ করি, যেগুলোতে হবে না সেগুলো বাস্তবায়ন হবে না। ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সব প্রস্তাব মানতে হবে, সেই ধারণা থেকে বের হতে হবে।’

২১ ঘণ্টা আগে

নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে লাভ নাই: আমীর খসরু

নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে লাভ নাই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো লক্ষণ আমি দেখছেন না, বরং নির্বাচন হওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সারা দেশের মানুষ প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনের জন্য। আগামী দিনের নির্বাচনকে ব্যাহত করার

১ দিন আগে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে গণতন্ত্র রক্ষা পাবে: দুদু

যতই বাধা-বিপত্তি আসুক ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতে হবে জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, নির্বাচনের দিনটার জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে গণতন্ত্র রক্ষা পাবে।

১ দিন আগে

কিছু মানুষ নির্বাচন পিছিয়ে দেশ ও জাতির সর্বানাশ করতে চাচ্ছে: মির্জা আব্বাস

দেশকে ভালোবেসে সবাইকে এক জায়গায় আসার আহ্বান জানান মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, একটা জায়গায় আসেন। যে জায়গায় গেলে পরে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতি হবে।

১ দিন আগে