‘অমীমাংসিত দিকগুলো সমাধান না হলে জনগণকে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত’

বিবিসি বাংলা
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ০৮
ছবি : সংগৃহীত

জুলাই সনদের বিষয়ে অমীমাংসিত দিকগুলোর সমাধান না হলে ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ’ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের অনেকগুলো দিক নিয়ে স্বাক্ষরের আগেই সরকারের দিক থেকে নিশ্চিত হতে চাইলেও সনদ বাস্তবায়নের পথটাই অনুল্লেখ থেকে যায়, সেখানে ধোঁয়াশা থাকে, তাহলে আমাদের সমস্ত অর্জন বিফলে যাবে, একারণেই আমরা আজকের সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থেকেছি।

তিনি জানান, ঐক্যমত্য কমিশনের যে সময় বাড়ানো হয়েছে, এর মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের পথ খোলাসা করা, বিরোধ থাকা বিষয়গুলোর সমাধান, আদেশের বিষয়ে পরিষ্কার খসড়া এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে ২০২৬ এর কথা উল্লেখ করবে—এ বিষয়গুলোয় সমাধান চায় এনসিপি।

আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান না হলে এনসিপি কী করবে? এর উত্তরে আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছি, সনদে যতটুকু অর্জিত হয়েছে সেটাকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন, এটার যে ড্রাফট আদেশের প্রাপ্তি, গণভোটের বিষয়ে ফয়সালা, নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) এর জায়গাগুলো পরিষ্কার করা—এই বিষয়গুলোতেই আমরা কমিশনের সঙ্গে আলাপ জারি রাখব। প্রয়োজনে আমাদের যে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, সেগুলো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পালন করব।’

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১০১১টি

এ সময় তিনি জানান, এনসিপির হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনে যাওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ১০১১ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তাদের মধ্যে ডাক্তার, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে।

১৮ ঘণ্টা আগে

প্রার্থিতা নিয়ে এখনো ‘বিভক্তি’ কাটেনি বিএনপির তৃণমূলে

পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, ভোটে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে নিজেদের মধ্যেই লড়তে হচ্ছে বিএনপিকে। কেন্দ্র বলছে, দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ‘আপত্তি’ আমলে নেওয়া হবে। প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বিএনপিকে সতর্ক থাকতে বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।

১৮ ঘণ্টা আগে

‘উগ্র ডানপন্থা রুখতে বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক সরকার গড়তে হবে’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বারবার স্বৈরাচারী শাসনের কবলে পড়েছে। দেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারদের উৎখাত করেছে। নতুন কোনো ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী শাসন আমরা দেখতে চাই না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বারবার নানা আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে।

১৯ ঘণ্টা আগে

একটি পরাজিত শক্তি নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়: আমীর খসরু

আমির খসরু বলেন, আপনারা জানেন নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ নির্বাচনে তাদের জেতার কোনো সুযোগ নেই। তারা বিগত দিনেও পরাজিত শক্তি ছিল, এখনো পরাজিত শক্তি, ভবিষ্যতেও তারা পরাজিত শক্তি থাকবে। সুতরাং তারা নির্বাচন চায় না, তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস

১৯ ঘণ্টা আগে