যশোর প্রতিনিধি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বিচার আর সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’ শুক্রবার বিকেলে যশোর ঈদগাহ মোড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রার পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে নাহিদ বলেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃত্ব। আমরা স্বাধীনতা এনেছি। আমরা সংস্কার আনব। আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
সেনাবাহিনীকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করবে। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর অফিসাররা গুমের সঙ্গে জড়িত হোক।’
এনসিপির এই আহ্বায়ক বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করতে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পুলিশ নিরপেক্ষভাবে জনগণের পক্ষে কাজ করবে। পুলিশ কোনো দলের অনুসারী হবে না। সরকারি দলের অনুসারীও হবে না। আমরা চাই আমলাতন্ত্র প্রশাসন কোনো দলের অনুসারী হবে না। কোনো সরকারি দলের নেতার ওপর নির্ভর করবে না। মেধা, যোগ্যতার ওপর তাদের প্রমোশন নির্ভর করবে। আমরা ইনসাফভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশে কোনো দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ থাকবে না। তাদের কেউ ভয় পাবেন না। একটি রাজনৈতিক দল দাবি করে, তাদের দল নাকি কোটি কোটি মানুষের। এই কোটি কোটি, লাখ লাখ মানুষ আমাদের দেখায়েন না। আমরা ফ্যাসিবাদের আমলে দেখেছি কত মানুষ ছিল তাদের। সেই মানুষেরা কত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ১০ জন দাঁড়িয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১০ জন, ২০ জন, ১০০ জন নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। পরে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ আবাবিল পাখির মতো আমাদের সঙ্গে রাজপথে দাঁড়িয়েছিল। ফলে মানুষের হিসাব আমাদের দেখায়েন না। যদি নৈতিকতার সঙ্গে থাকেন, ইনসাফের সঙ্গে থাকেন, তাহলে একজন মানুষ লাখো মানুষের সমান শক্তিশালী হয়ে যায়। ইনশাআল্লাহ আমরা সেই একজন মানুষ হতে চাই। আমরা দায় ও দরদের ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই। যারা ইনসাফের পক্ষে দাঁড়াবে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবে, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তেমন রাষ্ট্র চাই। যেখানে সমাজের সব ধরনের মানুষের সমান হক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
যশোর জেলার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যশোরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট পূর্ণাঙ্গ চালু হয়নি। সেখানে আইসিইউ চালু হয়নি। যশোরের মানুষকে খুলনায় যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। আমরা চাই যশোরের মানুষ যশোরেই সেবা পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার কথা জানি। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সেই সমস্যার কথা জানি। এই সমস্যা দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের। আমরা বেনাপোলের দুর্নীতি, মাদক কারবারের কথা জানি। দুর্নীতি-মাদকের বিরুদ্ধে তরুণ ছাত্র-জনতাকে দাঁড়াতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে যেমন আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমনি যশোরসহ সারা দেশের মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়াতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসানত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বিচার আর সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’ শুক্রবার বিকেলে যশোর ঈদগাহ মোড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রার পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে নাহিদ বলেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃত্ব। আমরা স্বাধীনতা এনেছি। আমরা সংস্কার আনব। আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
সেনাবাহিনীকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করবে। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর অফিসাররা গুমের সঙ্গে জড়িত হোক।’
এনসিপির এই আহ্বায়ক বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করতে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পুলিশ নিরপেক্ষভাবে জনগণের পক্ষে কাজ করবে। পুলিশ কোনো দলের অনুসারী হবে না। সরকারি দলের অনুসারীও হবে না। আমরা চাই আমলাতন্ত্র প্রশাসন কোনো দলের অনুসারী হবে না। কোনো সরকারি দলের নেতার ওপর নির্ভর করবে না। মেধা, যোগ্যতার ওপর তাদের প্রমোশন নির্ভর করবে। আমরা ইনসাফভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশে কোনো দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ থাকবে না। তাদের কেউ ভয় পাবেন না। একটি রাজনৈতিক দল দাবি করে, তাদের দল নাকি কোটি কোটি মানুষের। এই কোটি কোটি, লাখ লাখ মানুষ আমাদের দেখায়েন না। আমরা ফ্যাসিবাদের আমলে দেখেছি কত মানুষ ছিল তাদের। সেই মানুষেরা কত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ১০ জন দাঁড়িয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১০ জন, ২০ জন, ১০০ জন নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। পরে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ আবাবিল পাখির মতো আমাদের সঙ্গে রাজপথে দাঁড়িয়েছিল। ফলে মানুষের হিসাব আমাদের দেখায়েন না। যদি নৈতিকতার সঙ্গে থাকেন, ইনসাফের সঙ্গে থাকেন, তাহলে একজন মানুষ লাখো মানুষের সমান শক্তিশালী হয়ে যায়। ইনশাআল্লাহ আমরা সেই একজন মানুষ হতে চাই। আমরা দায় ও দরদের ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই। যারা ইনসাফের পক্ষে দাঁড়াবে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবে, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তেমন রাষ্ট্র চাই। যেখানে সমাজের সব ধরনের মানুষের সমান হক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
যশোর জেলার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যশোরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট পূর্ণাঙ্গ চালু হয়নি। সেখানে আইসিইউ চালু হয়নি। যশোরের মানুষকে খুলনায় যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। আমরা চাই যশোরের মানুষ যশোরেই সেবা পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার কথা জানি। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সেই সমস্যার কথা জানি। এই সমস্যা দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের। আমরা বেনাপোলের দুর্নীতি, মাদক কারবারের কথা জানি। দুর্নীতি-মাদকের বিরুদ্ধে তরুণ ছাত্র-জনতাকে দাঁড়াতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে যেমন আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমনি যশোরসহ সারা দেশের মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়াতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসানত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা।
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পর এসে জানা যাচ্ছে, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল– এই দুজনকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ভূমিকা থাকবে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিরও।
৭ ঘণ্টা আগেমিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানানো হলেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বরং এর পরিবর্তে নৃত্য, গান, বাজনা শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেভোটাররা বলছেন, ছয় বছরের বিরতিতে এবার যে ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে, তা অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর অংশ নিচ্ছেন এবারের নির্বাচনে। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশে বাধাহীনভাবে সবাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এমনকি নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের পর ঢাবি ক্যাম্পাসে সব সংগঠন ম
১৭ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশিদ বলেন, ‘এনসিপির যে কোনো স্থানে যে কোনো কার্যক্রম দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট। সরকারের পক্ষ থেকে দলটিকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এটি মোটেও কাম্য নয়।’
২১ ঘণ্টা আগে